কলকাতা, 10 অগাস্ট : বড়বাজার এলাকার অফিস পাড়ায় বহুতলে বিধ্বংসী আগুন । একটি পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের চার এবং পাঁচতলায় আগুন লাগে । বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কালো ধোঁয়া দেখেন এলাকার ব্যবসায়ী এবং অফিস ফেরত যাত্রীরা । খবর দেওয়া হয় দমকলে ৷ দমকল বাহিনীর প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবহার করা হয় দমকলের 22টি ইঞ্জিন । ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই । আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করতে ফরেনসিক তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
পোলক স্ট্রিট এবং হেয়ার স্ট্রিটের সংযোগস্থল । ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে লালবাজার । এলাকাটি ঘিঞ্জি, চারপাশে রয়েছে বেশকিছু অফিস । কাছেই ইলেকট্রিকের জিনিসপত্রের বড় মার্কেট । হেয়ারস্ট্রিট এবং পোলক স্ট্রিটের সংযোগস্থলে বিল্ডিংটিতে রয়েছে দুটি ব্যাঙ্ক । আছে কয়েকটি বেসরকারি অফিসও । ওই বিল্ডিংয়ে বসবাস করে কয়েকটি পরিবার। কালো ধোঁয়া দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলের অনতি দূরেই লালবাজার ফায়ার স্টেশন । দ্রুত ঘটনাস্থানে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। একে একে আসে 22টি ইঞ্জিন । এরই মাঝে জানা যায় ওই বিল্ডিংয়ের চারতলায় আটকে পড়েছেন আগুনে এক ব্যক্তি। তিনি কোনওভাবে ছাদে আশ্রয় নেন ।
এদিকে দুর্ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থানে আসেন DC ট্রাফিক ও DCP সেন্ট্রাল সুধীরকুমার । ব্রাবোন রোডের এক পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় । দুর্ঘটনাস্থানে আসেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এবং দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু । ঘটনাস্থানে আসেন কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা গ্রুপের সদস্যরা । তাঁদের চেষ্টাতেই উদ্ধার করা হয় আটকে পড়া ব্যক্তিকে । ওই ব্যক্তির নাম গোপাবন্ধু দাস (52) ৷ ওই বিল্ডিংয়ের লিফট ম্যানের কাজ করতেন তিনি ৷
দমকলমন্ত্রী বলেন, "পাঁচতলা ওই বিল্ডিংয়ের চার এবং পাঁচতলায় আগুন লেগে । ভিতরে অনেক দাহ্যবস্তু মজুত ছিল । ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি । তবে দমকলকর্মীরা খুব ভালো কাজ করেছেন । তাদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে । আগুন লাগার কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি । ফরেনসিক পরীক্ষার পরেই বোঝা যাবে কিভাবে লাগে এই আগুন ।"