ETV Bharat / state

এক শিশু সহ বাজিতে মৃত 2

তুবড়ি ফেটে শহরে মৃত দুই ।

আদি দাস
author img

By

Published : Oct 28, 2019, 1:20 PM IST

Updated : Oct 28, 2019, 9:26 PM IST

কলকাতা, 28 অক্টোবর : কোনও নিষিদ্ধ বাজি নয় । তুবড়ি ফেটে মৃত্যু হল দু'জনের । বেহালার আদি দাস (5) ও কসবার দীপকুমার কোলে (40) । দু'জনেরই গলায় তুবড়ির খোল বিঁধে মৃত্যু হয়েছে । ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷

এদিকে বাজি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা না মানায় ও অন্যান্য কারণে কলকাতায় সবমিলে গতকাল রাত থেকে 1190 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷

গতকাল সন্ধ্যায় বেহালার শীলপাড়ায় ঠাকুমার সঙ্গে কালীপূজা দেখতে বেরিয়েছিল আদি । রাস্তায় বাজি পোড়ানোর মজা নিতে নিতেই হাঁটছিল সে । দেখছিল তুবড়ি পোড়ানো । আচমকা রাস্তার ধারের একটি তুবড়ি ফেটে খোলের একাংশ লাগে আদির গলায় । বিঁধে যায় সেটি । বিদ্যাসাগর স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে সেখানেই মৃত্যু হয় তার । ঘটনার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে । বিষয়টি সম্পর্কে বিশদে জানতে চান তিনি । আজ হরিদেবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে বাজি বিক্রেতাকে ৷

এদিকে কসবার উত্তরপাড়ায় নিজেই তুবড়ি জ্বালাচ্ছিলেন দীপ কুমার কোলে । সেখানেও একটি তুবড়ি ফেটে যায় । খোল গিয়ে বিঁধে যায় গলায় । দ্রুত শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, কোনও লাভ হয়নি । সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । বিষয়টি জানতে পেরে দীপ কোলের দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর বাড়িতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।

অন্যদিকে, শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা ছিলই । ব্যাপকভাবে চালানো হয়েছিল প্রচারও । কিন্তু তারপরও ঠেকানো গেল না নিষিদ্ধ বাজি । কালীপুজা এবং দীপাবলির সন্ধ্যা থেকেই শহর কলকাতা এবং শহরতলী দেখল শব্দবাজির তাণ্ডব । রাত বাড়তে পরিমাণ আরও বেড়ে রীতিমতো কান ঝালাপালা হওয়ার পরিস্থিতি হয় শহরবাসীর ।

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল রাত 8 টা থেকে 10টা পর্যন্ত ফাটানো যাবে বাজি । মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার কথা । রীতিমতো লিফলেট ছড়িয়ে, পোস্টার লাগিয়ে সেই প্রচার চালিয়েছিল পুলিশ । কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতায় দেশপ্রিয় পার্ক এবং ট্রায়াঙ্গুলার পার্ককে বাজি ফাটানোর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল । কিন্তু শহরবাসীর একাংশই রাত বাড়তে উৎসবকে পরিণত করল শব্দ তাণ্ডবে ।

শব্দবাজি আটকাতে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ । গতকাল পর্যন্ত 10693 কেজি শব্দবাজি আটক করা হয় । মোট 21 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ঘটনায় । কিন্তু শেষ বছর থেকে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি ।

গতরাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি পোড়ানোর জন্য সবথেকে বেশি গ্রেপ্তার করা হল পূর্ব সাব-আরবান ডিভিশনে । সেখানে গ্রেপ্তারের সংখ্যা 134 । দক্ষিণ সাব-বারবান ডিভিশনে গ্রেপ্তারির সংখ্যাটা 130 । দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনে 102 । সব মিলিয়ে নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানোর দায়ে এখনও পর্যন্ত শহরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে 758 জনকে । মদ্যপান করে গাড়ি চালানো, মদ্যপান করে অন্যান্য কাজের জন্য এবং অন্য কারণে 400 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এছাড়াও জুয়া খেলার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে 32 জনকে ।

কলকাতা, 28 অক্টোবর : কোনও নিষিদ্ধ বাজি নয় । তুবড়ি ফেটে মৃত্যু হল দু'জনের । বেহালার আদি দাস (5) ও কসবার দীপকুমার কোলে (40) । দু'জনেরই গলায় তুবড়ির খোল বিঁধে মৃত্যু হয়েছে । ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷

এদিকে বাজি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা না মানায় ও অন্যান্য কারণে কলকাতায় সবমিলে গতকাল রাত থেকে 1190 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷

গতকাল সন্ধ্যায় বেহালার শীলপাড়ায় ঠাকুমার সঙ্গে কালীপূজা দেখতে বেরিয়েছিল আদি । রাস্তায় বাজি পোড়ানোর মজা নিতে নিতেই হাঁটছিল সে । দেখছিল তুবড়ি পোড়ানো । আচমকা রাস্তার ধারের একটি তুবড়ি ফেটে খোলের একাংশ লাগে আদির গলায় । বিঁধে যায় সেটি । বিদ্যাসাগর স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি । অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে সেখানেই মৃত্যু হয় তার । ঘটনার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে । বিষয়টি সম্পর্কে বিশদে জানতে চান তিনি । আজ হরিদেবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে বাজি বিক্রেতাকে ৷

এদিকে কসবার উত্তরপাড়ায় নিজেই তুবড়ি জ্বালাচ্ছিলেন দীপ কুমার কোলে । সেখানেও একটি তুবড়ি ফেটে যায় । খোল গিয়ে বিঁধে যায় গলায় । দ্রুত শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, কোনও লাভ হয়নি । সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । বিষয়টি জানতে পেরে দীপ কোলের দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর বাড়িতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।

অন্যদিকে, শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা ছিলই । ব্যাপকভাবে চালানো হয়েছিল প্রচারও । কিন্তু তারপরও ঠেকানো গেল না নিষিদ্ধ বাজি । কালীপুজা এবং দীপাবলির সন্ধ্যা থেকেই শহর কলকাতা এবং শহরতলী দেখল শব্দবাজির তাণ্ডব । রাত বাড়তে পরিমাণ আরও বেড়ে রীতিমতো কান ঝালাপালা হওয়ার পরিস্থিতি হয় শহরবাসীর ।

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল রাত 8 টা থেকে 10টা পর্যন্ত ফাটানো যাবে বাজি । মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার কথা । রীতিমতো লিফলেট ছড়িয়ে, পোস্টার লাগিয়ে সেই প্রচার চালিয়েছিল পুলিশ । কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতায় দেশপ্রিয় পার্ক এবং ট্রায়াঙ্গুলার পার্ককে বাজি ফাটানোর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল । কিন্তু শহরবাসীর একাংশই রাত বাড়তে উৎসবকে পরিণত করল শব্দ তাণ্ডবে ।

শব্দবাজি আটকাতে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ । গতকাল পর্যন্ত 10693 কেজি শব্দবাজি আটক করা হয় । মোট 21 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ঘটনায় । কিন্তু শেষ বছর থেকে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি ।

গতরাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি পোড়ানোর জন্য সবথেকে বেশি গ্রেপ্তার করা হল পূর্ব সাব-আরবান ডিভিশনে । সেখানে গ্রেপ্তারের সংখ্যা 134 । দক্ষিণ সাব-বারবান ডিভিশনে গ্রেপ্তারির সংখ্যাটা 130 । দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশনে 102 । সব মিলিয়ে নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানোর দায়ে এখনও পর্যন্ত শহরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে 758 জনকে । মদ্যপান করে গাড়ি চালানো, মদ্যপান করে অন্যান্য কাজের জন্য এবং অন্য কারণে 400 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । এছাড়াও জুয়া খেলার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে 32 জনকে ।

Intro:কলকাতা, 28 অক্টোবর: কোনো নিষিদ্ধ বাজি নয়। তুবড়ি পোড়াতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো শহরে। আর বেহালায় ঠাকুমার হাত ধরে রাস্তায় হাঁটার সময় তুবড়ির খোল গলায় বিঁধে মৃত্যু হল শিশুর। নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানোর জেরে শহরে মোট 758 জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা ১১৯০। Body:গতরাতে বেহালার শীলপাড়ার বছর পাঁচেকের আদি দাস ঠাকুরমার হাত ধরে রাস্তায় হাটছিল। বাজি পোড়ানোর জেরে দৃশ্যমানতা কম ছিল ওই এলাকায়। হঠাৎই তীব্র গতিতে তুবড়ির খোল এসে বেঁধে আদির গলায়। ঠাকুরমার গায়ে ঢলে পরে সে। গলা দিয়ে ফিনকি দিয়ে ওঠে রক্তস্রোত। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে। বিষয়টি আসলে কি তা জানতে চান। অন্যদিকে কসবার উত্তরপাড়ায় নিজেই তুবড়ি পোড়াচ্ছিলেন দীপ কুমার কোলে। বয়স ৪০। সেখানেও একটি তুড়ড়ি ফেটে যায়। খোল গিয়ে বেঁধে গলায়। দ্রুত শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, কোনো সদর্থক ফল মেলেনি। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দীপবাবুর দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তার বাড়িতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

নিষেধাজ্ঞা ছিল। ব্যাপক ভাবে চালানো হয়েছিল প্রচারও। তারপরেও ঠেকানো গেল না নিষিদ্ধ বাজি। কালী পূজা এবং দীপাবলীর সন্ধ্যা থেকেই শহর কলকাতা এবং শহরতলী দেখল শব্দবাজির তাণ্ডব। রাত বাড়তে রীতিমত কান ঝালাপালা হলো শহরবাসীর।

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সন্ধ্যা 8 টা থেকে 10 টা পর্যন্ত ফাটানো যাবে বাজি। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার কথা। রীতিমতো লিফলেট ছড়িয়ে, পোস্টার লাগিয়ে সেই প্রচার চালিয়েছিল পুলিশ। কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কলকাতায় দেশপ্রিয় পার্ক এবং ট্রায়াঙ্গুলার পার্ককে বাজি ফাটানোর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু সে সবে থোরাই কেয়ার। শহরবাসীর একাংশ আগের উৎসবকে পরিণত করল শব্দ তান্ডবে।Conclusion:শব্দবাজি আটকাতে পথে নেমেছিল পুলিশ। তথ্য বলছে গতকাল পর্যন্ত 10693 kg শব্দ বাজি আটক করেছে পুলিশ। মোট 21 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেষ বছর থেকে যে সংখ্যাটা অনেক বেশি। গতবছর 7268 kg শব্দবাজি আটক করেছিল পুলিশ।

গতরাতে নিষিদ্ধ শব্দ বাজি পোড়ানোর জন্য সবথেকে বেশি গ্রেপ্তার করা হলো ইস্ট সুবারবান ডিভিশনে। সেখানে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ১৩৪। সাউথ সুবারবান ডিভিশনে গ্রেপ্তারি ১৩০। সাউথ ইস্ট ডিভিশনে ১০২। সব মিলিয়ে নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানোর দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৫৮ জনকে। মাতলাবি এবং অন্য কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে 400 জনকে। জুয়া খেলার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে 32 জন কে।

Last Updated : Oct 28, 2019, 9:26 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.