ETV Bharat / state

ওভারলোডিং রুখতে জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে , জানালেন পরিবহণমন্ত্রী

পরিবহণ দফতরের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর মঙ্গলবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেন । এর মধ্যে ট্রাক ও লরির ওভারলোডিংয়ের সমস্যা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে জরিমানার কথা বারবার বলেন তিনি ।

ওভারলোডিং রুখতে জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে , জানালেন পরিবহণমন্ত্রী
ওভারলোডিং রুখতে জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে , জানালেন পরিবহণমন্ত্রী
author img

By

Published : May 12, 2021, 7:51 AM IST

কলকাতা, 12 মে : ট্রাক বা লরির ওভারলোডিং এর সমস্যাকে রুখতে জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্ৰী ফিরহাদ হাকিম ।

পরিবহণ দফতরের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর মঙ্গলবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেন । এর মধ্যে ট্রাক ও লরির ওভারলোডিংয়ের সমস্যা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে জরিমানার কথা বারবার বলেন তিনি ।

তবে ট্রাক মালিক সংগঠন মনে করছে যে ওভারলোডিং বা ট্রাকে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জরিমানা বাড়ালে সমস্যার সমাধান কখনও হবে না । উল্লেখ্য, ওভারলোডেড ট্রাকের ক্ষেত্রে প্রথমে 4000 টাকা তারপর টনপ্রতি 1000 টাকা করে জরিমানা করা হয় ।

ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন যে, "যেখান থেকে ওভারলোড হচ্ছে (যেমন উদাহরণস্বরূপ বালি খাদান) এই জায়গাগুলিকে লোডিং পয়েন্ট বলা হয় । সেই লোডিং পয়েন্টগুলিতে চেকপয়েন্ট করলে বা লোডিংয়ের সময় তল্লাশি চালালেই আসল সমস্যা মিটে যায় । কিন্তু তা না করে সেখান থেকে ট্রাক বা লরিগুলি ওভারলোডেড হয়ে বেরোবার পরে রাস্তায় ট্রাকগুলো আটকে চালকদের থেকে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে । এর ফলে পুলিশের হাতে লরির খালাসি ও চালকদের হেনস্থা হতে হচ্ছে । এরপর যদি আরও জরিমানা বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেই জরিমানার টাকা তুলতে পরের দিন তাঁরা আরও একটু বেশি পণ্য লোড করবে । এটা চলতেই থাকবে ।" রাজ্যে যে চেকপয়েন্ট বা ওয়েটব্রীজগুলি রয়েছে সেগুলি কতটা কাজ করে সে নিয়েও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে ।


আরও পড়ুন : 1 জুন থেকে অসম্ভব মাধ্যমিক, পরীক্ষা পিছোবে নাকি একবারেই বাতিল ? বাড়ছে ধোঁয়াশা


সজলবাবু আরও বলেন যে, "রাজ্যে ওভারলোড বন্ধ না হওয়ার একটা বড় কারণ হল রাস্তায় নিয়মিতভাবে পুলিশের হাতে টাকা গুঁজে দিলেই ওভারলোডেড ট্রাকগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয় । ওভারলোডিং বন্ধ হয়ে গেলে বহু পুলিশের উপরিউপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে । তাই সেই উপার্জনকে চালু রাখতে ওভারলোডের মত একটি ব্যাধিকে জিইয়ে রাখছে সরকার । আর টাকা না দিলেই পুলিশি অত্যাচারের কবলে পড়তে হয় বা মিথ্যে কেস ঠুকে দেওয়া হয় । এর ফলে সরকারের ঘরে সেই রাজস্ব ঢুকছে না ।"

শুধু ট্রাক চালকদের ক্ষেত্রেই নয়, যে কোম্পানি অতিরিক্ত মাল লোড করিয়ে দিচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।
নিয়মানুসারে ছ'চাকার লরি নয় টন পণ্য বহন করতে পারে ৷ দশ চাকার লরি 16 টন পণ্য বহন করতে পারে ৷ 12 চাকার লরি 21 টন পণ্য বহন করতে পারে ও 14 চাকার লরি 30 টনের পণ্য বহন করতে পারে । এ বিষয়টি যাতে মালিক পক্ষ দেখে সেই ব্যাপারেও বলেন সজলবাবু ৷

কলকাতা, 12 মে : ট্রাক বা লরির ওভারলোডিং এর সমস্যাকে রুখতে জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্ৰী ফিরহাদ হাকিম ।

পরিবহণ দফতরের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর মঙ্গলবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতির জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেন । এর মধ্যে ট্রাক ও লরির ওভারলোডিংয়ের সমস্যা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে জরিমানার কথা বারবার বলেন তিনি ।

তবে ট্রাক মালিক সংগঠন মনে করছে যে ওভারলোডিং বা ট্রাকে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র জরিমানা বাড়ালে সমস্যার সমাধান কখনও হবে না । উল্লেখ্য, ওভারলোডেড ট্রাকের ক্ষেত্রে প্রথমে 4000 টাকা তারপর টনপ্রতি 1000 টাকা করে জরিমানা করা হয় ।

ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন যে, "যেখান থেকে ওভারলোড হচ্ছে (যেমন উদাহরণস্বরূপ বালি খাদান) এই জায়গাগুলিকে লোডিং পয়েন্ট বলা হয় । সেই লোডিং পয়েন্টগুলিতে চেকপয়েন্ট করলে বা লোডিংয়ের সময় তল্লাশি চালালেই আসল সমস্যা মিটে যায় । কিন্তু তা না করে সেখান থেকে ট্রাক বা লরিগুলি ওভারলোডেড হয়ে বেরোবার পরে রাস্তায় ট্রাকগুলো আটকে চালকদের থেকে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে । এর ফলে পুলিশের হাতে লরির খালাসি ও চালকদের হেনস্থা হতে হচ্ছে । এরপর যদি আরও জরিমানা বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেই জরিমানার টাকা তুলতে পরের দিন তাঁরা আরও একটু বেশি পণ্য লোড করবে । এটা চলতেই থাকবে ।" রাজ্যে যে চেকপয়েন্ট বা ওয়েটব্রীজগুলি রয়েছে সেগুলি কতটা কাজ করে সে নিয়েও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে ।


আরও পড়ুন : 1 জুন থেকে অসম্ভব মাধ্যমিক, পরীক্ষা পিছোবে নাকি একবারেই বাতিল ? বাড়ছে ধোঁয়াশা


সজলবাবু আরও বলেন যে, "রাজ্যে ওভারলোড বন্ধ না হওয়ার একটা বড় কারণ হল রাস্তায় নিয়মিতভাবে পুলিশের হাতে টাকা গুঁজে দিলেই ওভারলোডেড ট্রাকগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয় । ওভারলোডিং বন্ধ হয়ে গেলে বহু পুলিশের উপরিউপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে । তাই সেই উপার্জনকে চালু রাখতে ওভারলোডের মত একটি ব্যাধিকে জিইয়ে রাখছে সরকার । আর টাকা না দিলেই পুলিশি অত্যাচারের কবলে পড়তে হয় বা মিথ্যে কেস ঠুকে দেওয়া হয় । এর ফলে সরকারের ঘরে সেই রাজস্ব ঢুকছে না ।"

শুধু ট্রাক চালকদের ক্ষেত্রেই নয়, যে কোম্পানি অতিরিক্ত মাল লোড করিয়ে দিচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।
নিয়মানুসারে ছ'চাকার লরি নয় টন পণ্য বহন করতে পারে ৷ দশ চাকার লরি 16 টন পণ্য বহন করতে পারে ৷ 12 চাকার লরি 21 টন পণ্য বহন করতে পারে ও 14 চাকার লরি 30 টনের পণ্য বহন করতে পারে । এ বিষয়টি যাতে মালিক পক্ষ দেখে সেই ব্যাপারেও বলেন সজলবাবু ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.