ETV Bharat / entertainment

ঘরেরই কেউ আঘাত করেছে সইফ আলি খানকে ? বিস্ফোরক তসলিমা - TASLIMA NASRIN ON SAIF ALI KHAN

গ্রেফতার ওপর হামলাকারীর সিসিটিভি ফুটেজ-গ্রেফতার হওয়ার ব্যক্তির মুখের মিল খুঁজে পাচ্ছেন না তসলিমা ৷ নাকি বাইরের কেউ নয়, ঘরের কেউ আঘাত করেছে সইফকে ?

Taslima Nasrin on Saif Ali Khan
তসলিমা নাসরিন/সইফ আলি খান (এএনআই)
author img

By ETV Bharat Entertainment Team

Published : Jan 23, 2025, 12:59 PM IST

হায়দরাবাদ, 23 জানুয়ারি: সইফ আলি খানের ওপর হামলা ও গ্রেফতার অভিযুক্ত ৷ সেটা কি আদৌ বিশ্বাস যোগ্য ৷ সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলে সরব লেখিকা তসলিমা নাসরিন ৷ 16 তারিখ থেকে শুরু হওয়া ঘটনাবহুল নাটকীয় মোড় নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন 'আমার মেয়েবেলা' লেখিকা ৷

নবাব পুত্র সইফ ৷ তিনি যে বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকবেন সেখানে প্রহরী ব্যবস্থা যে নিশ্ছিন্দ্র হবে তেমনটাই স্বাভাবিক ৷ কিন্তু একজন দুষ্কৃতী সে সিঁড়ি দিয়ে উঠে বাথরুমের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে ফেলল ৷ টাকার দাবি করে ফেলল ৷ আবার অভিনেতার ওপর হামলাও করে ফেলল ৷ পুরো বিষয়টা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন তসলিমা ৷ তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "সইফ আলি খানের কোনও গল্পই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। যে লোকটাকে ধরা হয়েছে, আর যে লোকটাকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে , তারা এক লোক বলে মনে হচ্ছে না। বিখ্যাত এবং ধনাঢ্য মানুষদের বিল্ডিং-এ কোনও সিকিউরিটি গার্ড নেই, বিশ্বাস করা যায় না।"

তিনি এরপর লেখেন, "সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস্য, সইফকে ছুরিকাঘাত করার পর বিল্ডিং থেকে নির্বিঘ্নে চোর বাবাজি বেরিয়ে গেল। হেঁটে 11 তলার সিঁড়ি পার হলো, গেট পার হলো। না দারোয়ান, না সাইফের বাড়ির কোনও কাজের লোক, কেউ এসে তাকে আটকালো না। সইফকে হাসপাতালের পথে সঙ্গ দিতে হলো সাত বছর বয়সী তৈমুরকে। তাও আবার অটোরিক্সায়। করিনা অথবা কোনও আত্মীয় বা প্রতিবেশী কেউ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেল না হাসপাতালে, বিশ্বাসযোগ্য নয়।"

এরপর সইফের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া ও সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ কারণ লেখিকার মতে, যাঁর মেরুদন্ডের খুব কাছে আড়াই ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত ছুরি ঢুকে গিয়েছিল, দীর্ঘ ছ' ঘণ্টা অস্ত্রোপাচার হয়েছে, স্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে গিয়েছিল, আইসিইউতেও ছিলেন সেই ব্যক্তি চারদিন পর এমন হেঁটে এলেন যেন কিছুই হয়নি ৷

তসলিমা লেখেন, "খুব অদ্ভুত লাগছে যে সইফ আলি খান জানিয়ে দিচ্ছেন না কী ঘটেছিল সে রাতে, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে অপরাধী কি না। তিনিই জানেন কী উদ্দেশ্য ছিল চোরের, শুধুই চুরি করা নাকি অন্য কিছু। নাকি বাইরের কেউ নয়, ঘরের কেউ তাঁকে আঘাত করেছে! এসব তথ্য পুলিশের চেয়ে বেশি জানেন সইফ।"

16 তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হন সইফ আলি খান ৷ 21 তারিখ তিনি ছাড়া পান লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ৷ সৎগুরু শরণ বিল্ডিংয়ে গিয়ে মুম্বইয় পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ৷

হায়দরাবাদ, 23 জানুয়ারি: সইফ আলি খানের ওপর হামলা ও গ্রেফতার অভিযুক্ত ৷ সেটা কি আদৌ বিশ্বাস যোগ্য ৷ সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলে সরব লেখিকা তসলিমা নাসরিন ৷ 16 তারিখ থেকে শুরু হওয়া ঘটনাবহুল নাটকীয় মোড় নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন 'আমার মেয়েবেলা' লেখিকা ৷

নবাব পুত্র সইফ ৷ তিনি যে বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকবেন সেখানে প্রহরী ব্যবস্থা যে নিশ্ছিন্দ্র হবে তেমনটাই স্বাভাবিক ৷ কিন্তু একজন দুষ্কৃতী সে সিঁড়ি দিয়ে উঠে বাথরুমের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে ফেলল ৷ টাকার দাবি করে ফেলল ৷ আবার অভিনেতার ওপর হামলাও করে ফেলল ৷ পুরো বিষয়টা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন তসলিমা ৷ তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "সইফ আলি খানের কোনও গল্পই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। যে লোকটাকে ধরা হয়েছে, আর যে লোকটাকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে , তারা এক লোক বলে মনে হচ্ছে না। বিখ্যাত এবং ধনাঢ্য মানুষদের বিল্ডিং-এ কোনও সিকিউরিটি গার্ড নেই, বিশ্বাস করা যায় না।"

তিনি এরপর লেখেন, "সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস্য, সইফকে ছুরিকাঘাত করার পর বিল্ডিং থেকে নির্বিঘ্নে চোর বাবাজি বেরিয়ে গেল। হেঁটে 11 তলার সিঁড়ি পার হলো, গেট পার হলো। না দারোয়ান, না সাইফের বাড়ির কোনও কাজের লোক, কেউ এসে তাকে আটকালো না। সইফকে হাসপাতালের পথে সঙ্গ দিতে হলো সাত বছর বয়সী তৈমুরকে। তাও আবার অটোরিক্সায়। করিনা অথবা কোনও আত্মীয় বা প্রতিবেশী কেউ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেল না হাসপাতালে, বিশ্বাসযোগ্য নয়।"

এরপর সইফের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া ও সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷ কারণ লেখিকার মতে, যাঁর মেরুদন্ডের খুব কাছে আড়াই ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত ছুরি ঢুকে গিয়েছিল, দীর্ঘ ছ' ঘণ্টা অস্ত্রোপাচার হয়েছে, স্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে গিয়েছিল, আইসিইউতেও ছিলেন সেই ব্যক্তি চারদিন পর এমন হেঁটে এলেন যেন কিছুই হয়নি ৷

তসলিমা লেখেন, "খুব অদ্ভুত লাগছে যে সইফ আলি খান জানিয়ে দিচ্ছেন না কী ঘটেছিল সে রাতে, যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে অপরাধী কি না। তিনিই জানেন কী উদ্দেশ্য ছিল চোরের, শুধুই চুরি করা নাকি অন্য কিছু। নাকি বাইরের কেউ নয়, ঘরের কেউ তাঁকে আঘাত করেছে! এসব তথ্য পুলিশের চেয়ে বেশি জানেন সইফ।"

16 তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হন সইফ আলি খান ৷ 21 তারিখ তিনি ছাড়া পান লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ৷ সৎগুরু শরণ বিল্ডিংয়ে গিয়ে মুম্বইয় পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.