কলকাতা, 14 এপ্রিল : রাজ্যে একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা থেকে শুরু করে শিশুদের যৌন হেনস্তা এবং খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই । কিন্তু এবার তদন্ত প্রক্রিয়ায় যাতে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে সুবিধা হয় ও নির্যাতিতারা বা গ্রাম্য মহিলারা যাতে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে ইতস্তত বোধ না করে, তার জন্য মহিলা অফিসার আনছে সিবিআই (Female CBI Officers for better investigation in state)।
কারণ বেশিরভাগ তদন্তের ক্ষেত্রে একরম ঘটনার সম্মুখীন হয় তদন্তকারি আধিকারিকরা যেখানে মহিলারা খুলে কথা বলতে ইতস্তত বোধ করেন ৷ নারী নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতিতার অনেক সময়ই অন্যান্য তদন্তকারীদের সকল খুঁটিনাটি তথ্য দিয়ে তদন্তে সাহায্য করতে পারেন না । তার জন্যই এই ভাবনা সিবিআইয়ের তরফে বলে জানা গিয়েছে । সিবিআইয়ের অনুমান যদি একজন মহিলা তদন্তকারী আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সেক্ষেত্রে সঠিক তথ্য এবং খুঁটিনাটি তথ্য সামনে আসাটা অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে ।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পর নদীয়ার হাঁসখালির ধর্ষণ কাণ্ডে দুই মহিলা সিবিআই আধিকারিককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে । সিবিআই সূত্রের খবর, আরও তিন মহিলা আধিকারিককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে ।
আরও জানা গিয়েছে, উড়িশা-সহ একাধিক বাইরের রাজ্য থেকে বাংলা ভাষা জানা মহিলা সিবিআই আধিকারিকদের এরাজ্যে আনতে চলেছে নিজাম প্যালেস । এর মধ্যেই আবেদন সিবিআইয়ের তরফে দিল্লির সদর দফতরে জানানো হয়েছে বলে খবর (Bengali investigation woman officers in CBI) ।
মূলত নদিয়ার হাঁসখালির ধর্ষণ কাণ্ড থেকে ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনা-সহ একাধিক মামলার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে ৷ ফলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের অনুমান যদি গ্রামের একাধিক ঘটনার নিরপেক্ষ এবং সত্য তদন্ত প্রক্রিয়া করতে হয় তাহলে গ্রাম্য মহিলাদের সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । আর এক্ষেত্রে সিবিআইয়ের মহিলা আধিকারিকদের প্রয়োজন আবশ্যক হয়ে দাঁড়াচ্ছে ।
আরও পড়ুন : CBI Probe on Hanskhali Rape : হাঁসখালি গণধর্ষণের তদন্তে অভিযুক্তের বাড়ির দরজা ভাঙল সিবিআই