ETV Bharat / state

Suvendu Accuses Mamata: ডিএ আন্দোলনে ভয় পেয়ে 2 কঠোর নির্দেশ জারি রাজ্যের, যা ইমার্জেন্সির সময়ও হয়নি: শুভেন্দু

রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ আন্দোলনে ভয় পেয়ে দুটি কঠোর নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার, যা জরুরি অবস্থার সময়েও জারি হয়নি ৷ টুইটে এমনই তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷

author img

By

Published : May 25, 2023, 6:29 PM IST

Suvendu Accuses Mamata
শুভেন্দু অধিকারী

কলকাতা, 25 মে: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের সরকারকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ বৃহস্পতিবার দীর্ঘ এক টুইটে তিনি রাজ্যের দুটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ৷ শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের গান্ধিবাদী ডিএ আন্দোলনে ভীত হয়ে রাজ্য এমন দুটি কঠোর নির্দেশ জারি করেছে, যা জরুরি অবস্থার সময়েও জারি করা হয়নি ।

সরকারি সেই নির্দেশের বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে শুভেন্দু লিখেছেন, অর্থ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত দুটি নির্দেশ জারি করেছেন যা থেকে স্পষ্ট যে, আন্দোলনের কারণে নবান্নের আধিকারিকদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে ৷ 3371-F(P2) নং নির্দেশকে স্বেচ্ছাচারী বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা ৷ তিনি বলেন, এই নির্দেশে বলা হয়েছে যে, 22.5.2023 (সোমবার) থেকে কোনও দিনে কোনও কর্মচারীর কোনও ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ছুটি গ্রাহ্য হবে না, যদি না ওই কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি হন বা গুরুতর অসুস্থতায় ভোগেন বা কর্মচারীর পরিবারে কেউ মারা যান ।

বিজ্ঞপ্তিতে এই অংশটি চিহ্নিত করে এ প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি যে প্রশ্নগুলি করেছেন,

1. তাহলে একজন কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁকে অগত্যা এবং বাধ্যতামূলকভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে ?

2. তাহলে কোনও অসুস্থতা যার জন্য হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না, তা অসুস্থতা হিসাবে যোগ্য নয় ?

3. নাকি কর্মচারীকে অসুস্থতা বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে রুটিন চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ওপিডি-তে একজন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ?

4. বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে গুরুতর রোগীদের ভর্তি হতে বঞ্চিত হওয়ার সাম্প্রতিক খবরগুলির মতো একজন কর্মচারী যদি শয্যার স্বল্পতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারেন ?

5. পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হলে কী হবে ? এটি একটি ক্যাজুয়াল লিভের জন্য যথেষ্ট কারণ নয় ?

6. পরিবারে বিবাহ বা জন্মদিন বা বার্ষিকীর মতো যে কোনও আনন্দের উপলক্ষ উদযাপনের জন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কি ক্যাজুয়াল লিভ নেওয়ার স্বাধীনতা নেই ?

7. এটা কি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন কখন এটি একটি আনন্দের উপলক্ষ এবং জামাইষষ্ঠীর মতো দিনে অর্ধদিবস ছুটি বরাদ্দ করা হবে ?

8. কর্মচারীদের অন্যান্য ব্যক্তিগত ঘটনা কি গ্রাহ্য হবে না ?

9. কোন অনুষ্ঠান বা উপলক্ষ তাঁদের উদযাপন করা উচিত, এই সিদ্ধান্ত কি তাঁরা নিতে পারেন না ?

3370-F(P2) নং নির্দেশের বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করে শুভেন্দু আরও কতগুলি প্রশ্নের উত্থাপন করেছেন ৷ তিনি লিখেছেন, এই নির্দেশে বলা হয়েছে যে, কোনও অফিসার বা কর্মীকে অফিস চলাকালীন অফিস ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না ৷ দুপুর 1.30টা থেকে দুপুর 2টো পর্যন্ত টিফিনের বিরতি শুধু টিফিন করার উদ্দেশ্যে এবং সেই সময় অন্য কিছু করা যাবে না ৷

  • Order no. 3370-F(P2) states that no Officer or Staff shall be allowed to leave the office during office hours and that tiffin break between 1.30 P.M. and 2.00 P.M. is meant only for tiffin purpose and for no other purpose.

    So, what if someone has to purchase medicine? For that… pic.twitter.com/1d0HxMyf8X

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 25, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এই নির্দেশ ঘিরেও সরকারের দিকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা ৷ তাঁর প্রশ্ন,

1. যদি কারওকে ওষুধ কিনতে হয় ? তার জন্যও কি কর্মচারীকে অফিস প্রধানের অনুমতি নিতে হবে ?

2. তাঁরা কি কর্মচারী নাকি স্কুলের বাচ্চা ?

3. যদি কর্মচারীকে বাইরে থেকে খাবার কিনতে হয় এবং খাবার নিয়ে না যান বা খাবার আনতে ভুলে যান তাহলে কী হবে ?

4. তিনি কি 'অফিসের অনুপস্থিত হিসাবে দেখানো' এবং চূড়ান্ত পদক্ষেপের ভয়ে ক্ষুধার্ত থাকবেন ?

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু উন্নয়নের অর্থে তৈরি কর্মতীর্থের স্টলগুলি ক্লাবকে দিচ্ছে মমতার সরকার, অভিযোগ শুভেন্দুর

কলকাতা, 25 মে: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের সরকারকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ বৃহস্পতিবার দীর্ঘ এক টুইটে তিনি রাজ্যের দুটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ৷ শুভেন্দুর দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের গান্ধিবাদী ডিএ আন্দোলনে ভীত হয়ে রাজ্য এমন দুটি কঠোর নির্দেশ জারি করেছে, যা জরুরি অবস্থার সময়েও জারি করা হয়নি ।

সরকারি সেই নির্দেশের বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরে শুভেন্দু লিখেছেন, অর্থ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত দুটি নির্দেশ জারি করেছেন যা থেকে স্পষ্ট যে, আন্দোলনের কারণে নবান্নের আধিকারিকদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে ৷ 3371-F(P2) নং নির্দেশকে স্বেচ্ছাচারী বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা ৷ তিনি বলেন, এই নির্দেশে বলা হয়েছে যে, 22.5.2023 (সোমবার) থেকে কোনও দিনে কোনও কর্মচারীর কোনও ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ছুটি গ্রাহ্য হবে না, যদি না ওই কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি হন বা গুরুতর অসুস্থতায় ভোগেন বা কর্মচারীর পরিবারে কেউ মারা যান ।

বিজ্ঞপ্তিতে এই অংশটি চিহ্নিত করে এ প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি যে প্রশ্নগুলি করেছেন,

1. তাহলে একজন কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁকে অগত্যা এবং বাধ্যতামূলকভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে ?

2. তাহলে কোনও অসুস্থতা যার জন্য হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না, তা অসুস্থতা হিসাবে যোগ্য নয় ?

3. নাকি কর্মচারীকে অসুস্থতা বা দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে রুটিন চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ওপিডি-তে একজন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ?

4. বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে গুরুতর রোগীদের ভর্তি হতে বঞ্চিত হওয়ার সাম্প্রতিক খবরগুলির মতো একজন কর্মচারী যদি শয্যার স্বল্পতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারেন ?

5. পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হলে কী হবে ? এটি একটি ক্যাজুয়াল লিভের জন্য যথেষ্ট কারণ নয় ?

6. পরিবারে বিবাহ বা জন্মদিন বা বার্ষিকীর মতো যে কোনও আনন্দের উপলক্ষ উদযাপনের জন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কি ক্যাজুয়াল লিভ নেওয়ার স্বাধীনতা নেই ?

7. এটা কি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন কখন এটি একটি আনন্দের উপলক্ষ এবং জামাইষষ্ঠীর মতো দিনে অর্ধদিবস ছুটি বরাদ্দ করা হবে ?

8. কর্মচারীদের অন্যান্য ব্যক্তিগত ঘটনা কি গ্রাহ্য হবে না ?

9. কোন অনুষ্ঠান বা উপলক্ষ তাঁদের উদযাপন করা উচিত, এই সিদ্ধান্ত কি তাঁরা নিতে পারেন না ?

3370-F(P2) নং নির্দেশের বিজ্ঞপ্তির উল্লেখ করে শুভেন্দু আরও কতগুলি প্রশ্নের উত্থাপন করেছেন ৷ তিনি লিখেছেন, এই নির্দেশে বলা হয়েছে যে, কোনও অফিসার বা কর্মীকে অফিস চলাকালীন অফিস ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না ৷ দুপুর 1.30টা থেকে দুপুর 2টো পর্যন্ত টিফিনের বিরতি শুধু টিফিন করার উদ্দেশ্যে এবং সেই সময় অন্য কিছু করা যাবে না ৷

  • Order no. 3370-F(P2) states that no Officer or Staff shall be allowed to leave the office during office hours and that tiffin break between 1.30 P.M. and 2.00 P.M. is meant only for tiffin purpose and for no other purpose.

    So, what if someone has to purchase medicine? For that… pic.twitter.com/1d0HxMyf8X

    — Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 25, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

এই নির্দেশ ঘিরেও সরকারের দিকে একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা ৷ তাঁর প্রশ্ন,

1. যদি কারওকে ওষুধ কিনতে হয় ? তার জন্যও কি কর্মচারীকে অফিস প্রধানের অনুমতি নিতে হবে ?

2. তাঁরা কি কর্মচারী নাকি স্কুলের বাচ্চা ?

3. যদি কর্মচারীকে বাইরে থেকে খাবার কিনতে হয় এবং খাবার নিয়ে না যান বা খাবার আনতে ভুলে যান তাহলে কী হবে ?

4. তিনি কি 'অফিসের অনুপস্থিত হিসাবে দেখানো' এবং চূড়ান্ত পদক্ষেপের ভয়ে ক্ষুধার্ত থাকবেন ?

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু উন্নয়নের অর্থে তৈরি কর্মতীর্থের স্টলগুলি ক্লাবকে দিচ্ছে মমতার সরকার, অভিযোগ শুভেন্দুর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.