ETV Bharat / state

চিকিৎসা করাতে না পেরে আত্মহত্যা ব্যক্তির , শুনেই স্ট্রোকে মৃত্যু বাবার - কলকাতা আত্মহত্যা

চিকিৎসা করাতে না পেরে বাড়িতেই আত্মহত্যা ব্যক্তির ৷ জানতে পেরে, কিছুক্ষণের মধ্যেই স্ট্রোক হল তাঁর বাবার ৷ কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে মারা যান দু'জনেই ৷

father son died on the same day at south kolkata
চিকিৎসা করাতে না পেরে আত্মহত্যা ব্যক্তির , শুনেই স্ট্রোকে মৃত্যু বাবার
author img

By

Published : Jun 29, 2020, 3:41 AM IST

কলকাতা, 28 জুন : পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা । কাতরাতে কাতরাতে স্ত্রীর হাত ধরে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে গেছিলেন 59 বছরের গোপাল মণ্ডল । অভিযোগ, সেখানে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে । কোনও চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে আসেন তিনি । প্রবল যন্ত্রণায় কাতর হয়ে অবশেষে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ । সেই কথা শোনা মাত্রই গোপালবাবুর বৃদ্ধ বাবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই মারা যান । দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের ঘটনা ।

হরিদেবপুর থানা এলাকার ধারা পাড়ায় থাকতেন গোপাল মণ্ডল । 35 বছর আগে তার একটি দুর্ঘটনা ঘটে । সেই দুর্ঘটনায় পায়ের হাড় টুকরো হয়ে যায় তাঁর । অপারেশন হয় । ডান পায়ে বসানো হয় প্লেট । সম্প্রতি, বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র ব্যথা হচ্ছিল গোপালবাবুর । কিন্তু কোরোনা সংক্রমনের ভয়ে কোনও সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সাহস পাচ্ছিলেন না । বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই মণ্ডল পরিবারের । গতকাল গোপাল বাবুর পায়ের ব্যথা হঠাৎই অনেকটা বেড়ে যায় । আর তাই নিরুপায় হয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ এমার্জেন্সিতে বসিয়ে রাখার পরে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় আজ চিকিৎসক আসবেন না । গোপালবাবুকে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । নিরুপায় হয়ে স্ত্রীর হাত ধরে বাড়ি ফিরে আসেন গোপালবাবু ।

পায়ে তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি । বাড়ির লোকেরা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান । কিন্তু ততক্ষণে সবশেষ । সেই কথা জানতে পারেন গোপালবাবুর বৃদ্ধ বাবা ভূতনাথ মণ্ডল । কিছুক্ষণের মধ্যেই স্ট্রোক হয় তাঁর । বাড়িতেই মৃত্যু হয় ভূতনাথবাবুর । একই পরিবারের জোড়া মৃত্যুতে রীতিমত শোকস্তব্ধ মণ্ডল পরিবার ৷

কলকাতা, 28 জুন : পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা । কাতরাতে কাতরাতে স্ত্রীর হাত ধরে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে গেছিলেন 59 বছরের গোপাল মণ্ডল । অভিযোগ, সেখানে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে । কোনও চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে আসেন তিনি । প্রবল যন্ত্রণায় কাতর হয়ে অবশেষে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ । সেই কথা শোনা মাত্রই গোপালবাবুর বৃদ্ধ বাবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই মারা যান । দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের ঘটনা ।

হরিদেবপুর থানা এলাকার ধারা পাড়ায় থাকতেন গোপাল মণ্ডল । 35 বছর আগে তার একটি দুর্ঘটনা ঘটে । সেই দুর্ঘটনায় পায়ের হাড় টুকরো হয়ে যায় তাঁর । অপারেশন হয় । ডান পায়ে বসানো হয় প্লেট । সম্প্রতি, বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র ব্যথা হচ্ছিল গোপালবাবুর । কিন্তু কোরোনা সংক্রমনের ভয়ে কোনও সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সাহস পাচ্ছিলেন না । বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই মণ্ডল পরিবারের । গতকাল গোপাল বাবুর পায়ের ব্যথা হঠাৎই অনেকটা বেড়ে যায় । আর তাই নিরুপায় হয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে । তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ এমার্জেন্সিতে বসিয়ে রাখার পরে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় আজ চিকিৎসক আসবেন না । গোপালবাবুকে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । নিরুপায় হয়ে স্ত্রীর হাত ধরে বাড়ি ফিরে আসেন গোপালবাবু ।

পায়ে তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি । বাড়ির লোকেরা দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান । কিন্তু ততক্ষণে সবশেষ । সেই কথা জানতে পারেন গোপালবাবুর বৃদ্ধ বাবা ভূতনাথ মণ্ডল । কিছুক্ষণের মধ্যেই স্ট্রোক হয় তাঁর । বাড়িতেই মৃত্যু হয় ভূতনাথবাবুর । একই পরিবারের জোড়া মৃত্যুতে রীতিমত শোকস্তব্ধ মণ্ডল পরিবার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.