কলকাতা, 29 অগাস্ট : COVID-19-এ আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ থেকে মাঝারি উপসর্গ বেশি দেখা যাচ্ছে । যে কারণে, সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বেশি এবং, মৃত্যুর হারও কম । তবে, COVID-19 সংক্রমণের হার এখনই কমে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ।
স্বাস্থ্য দপ্তরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে এখনও পর্যন্ত COVID-19-এ আক্রান্তের সংখ্যা 1 লাখ 50 হাজার 772 । এখনও পর্যন্ত COVID-19-এ মৃত্যুর সংখ্যা 3073 । সুস্থ হয়ে ওঠার হার 80.86% । চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, "COVID-19-এর সংক্রমণ এখনও বাড়ছে । যত টেস্ট হচ্ছে তত সংক্রমণ ধরা পড়ছে । ডেথ রেট কমেছে । কিন্তু, সংক্রমণ এখনও কমেনি ।"
সংক্রমণের হার কমতে পুজো পেরিয়ে যাবে, একথা উল্লেখ করে সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, "ট্রান্সমিশন রেট কন্ট্রোল না হলে বলা যাবে না যে, সংক্রমণ কমে যাবে ।" তিনি জানিয়েছেন, ট্রান্সমিশনের বিষয়ে দেখতে হলে কতগুলি ক্রাইটেরিয়া, কিছু ট্রেন্ড দেখতে হয় । যেমন, 2 সপ্তাহ আগে কী ছিল আর 2 সপ্তাহ পরে সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়েছে কি না । এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, "এখনও আমাদের 2-3 মাস সময় দিতে হবে, তা হলে বোঝা যাবে ট্রান্সমিশনের চেইনটা আমরা ভাঙতে পেরেছি কি না । ট্রান্সমিশনের চেইন ভাঙতে হলে কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে । মাস্ক ব্যবহার করা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, ফিজ়িক্যাল ডিসট্যান্স মেইনটেইন করা, ক্রাউড পুলিং না করা, কাফ এটিকেট বজায় রাখা । সায়েন্টিফিক ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে ডাবলিং টাইম আরও বাড়াতে হবে ।" স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রাক্তন অধিকর্তা, অমিতাভ নন্দী বলেন, "সমস্যা হল, এরপর লকডাউনের বিধিনিষেধ পুরোপুরি উঠে গেলে কী হবে ?"
সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, সজল বিশ্বাস বলেন, "সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে । যতদিন না সংক্রমণের সংখ্যা কমছে, ততদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি ভালো হয়েছে বলে আমরা বলতে পারি না ।" অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক, মানস গুমটা বলেন, “আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই যে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সংক্রমণের হার কমবে ।”
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "যদিও, বোঝা যাচ্ছে না, সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছনোর বিষয়টি কবে শেষ হবে । যতদিন না হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সংক্রমণের সংখ্যা কমবে বলে মনে হচ্ছে না ।" তিনি বলেন, "সবই অনুমান । এই বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বলার জায়গায় আমরা নেই । কারণ তার জন্য যে তথ্য লাগে, আমাদের দেশে সেই তথ্যই নেই ।"