কলকাতা, 11 জানুয়ারি: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নতুন পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ৷ জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় কোনও তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় পরবর্তীতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে স্পর্শকাতর এলাকায় তল্লাশির আগে এলাকার খুফিয়া তথ্য যাচাই করবে ইডি ৷ পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় যদি ইডির উপর কোনও হামলা নেমে আসে, তা প্রতিহত করতে সেই সব এলাকায় ইডির অ্যান্টি রায়ট ডিভাইস পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে ৷ এই ডিভাইস কবে থেকে ব্যবহার করা হবে এবং তা কীভাবে কাজ করবে, সেই বিষয় ইডি'র তরফে স্পষ্ট ভাবে এখনই কিছু জানা যায়নি ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই বিষয়টি নিয়ে আধিকারিকদের দিল্লির সদর দফতর থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ৷ এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও এই পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত করা হবে ৷ গত 5 জানুয়ারি উত্তর 24 পরগনা জেলার ন্যাজাট থানার অন্তর্ভুক্ত সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে প্রবল আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ৷ আহত হন ইডি কর্তারা ৷ এরপর থেকে বেপাত্তা শেখ শাহজাহান ৷
এরপর দিল্লি থেকে তড়িঘড়ি কলকাতায় এসেছিলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন ৷ সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার, 9 জানুয়ারি ইডি অধিকর্তার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন বিএসএফ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ ও এনআইএ আধিকারিকরা ৷ বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তার মধ্যে অন্যতম এই সিদ্ধান্ত ৷
সীমান্ত পেরিয়ে হামেশাই অন্য দেশে অপরাধীরা পালিয়ে যাচ্ছে ৷ তাই এবার তাদের রুখতে নজরদারির এলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ বৈঠকে বিএসএফেএর সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আধিকারিকরা জানান, সীমান্ত থেকে 25 কিলোমিটার পর্যন্ত অঞ্চলে আরও কড়া নজরদারি চালাবে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ৷
বিশেষত এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত শেখ শাহজাহানকে নিয়ে চিন্তিত ইডি ও কেন্দ্রীয় সরকার ৷ আধিকারিকরা সন্দেহ করছেন, তাঁকে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়া হতে পারে ৷ তার জন্যই এই জরুরি বৈঠক ইডির ৷ তবে রাজ্য পুলিশের কাছেও এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ও একাধিক এজেন্সিগুলি ৷
আরও পড়ুন: