ETV Bharat / state

বুলবুল প্রাণ কাড়ল 8 জনের, আজ কাকদ্বীপ পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী - latest news on BUlbul

শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনাতেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের । কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে এক জন করে মৃত্যু হয়েছে । 1 লাখ 78 হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে । 2473টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত । 26 হাজারের বেশি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত । আজ দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

বুলবুল
author img

By

Published : Nov 10, 2019, 11:08 PM IST

Updated : Nov 11, 2019, 8:57 AM IST

কলকাতা, 11 নভেম্বর : বুলবুলের তাণ্ডবে রীতিমতো ছন্নছাড়া রাজ্যের একাংশ । এই ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়েছে আটজনের । নবান্নের হিসেব, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা । প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্তর সংখ্যা চার লাখের বেশি । ইতিমধ্যেই 1 লাখ 78 হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে । 2473টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত । 26 হাজারের বেশি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত । আজ দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

বুলবুল আসছে, এই আশঙ্কায় কোমর বেঁধে তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্য । সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল । একাধিক এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের । বাতিল করা হয়েছিল একাধিক সরকারি দপ্তরের ছুটি । কিন্তু এত কিছুর পরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আটকানো গেল না । গতকাল নবান্নর তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে 6টি NDRF ও 4টি STRF পরিস্থিতির মোকাবিলায় কাজ করছে । একই সঙ্গে কাজে নামানো হয়েছে 15 হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারকে । বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে রাজ্যে 9টি ক্যাম্প খোলা হয়েছে । যেখানে কয়েক হাজার গৃহহীন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ।

নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনাতেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের । কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে একজন করে মারা গেছেন । মৃতদের মধ্যে রেবা বিশ্বাস ও মইদুল গাজ়ি বসিরহাট, প্রকৃতি মিদ্দা ও সুচিত্রা মণ্ডল হিঙ্গলগঞ্জ, বিদেশি সরকার সন্দেশখালি-2, সুলতা দাস নন্দীগ্রাম-2 ও সঞ্জয় দাস দক্ষিণ 24 পরগনার বাসিন্দা । কলকাতায় বুলবুল আছড়ে পড়ার আগেই ঝোড়ো হাওয়ার গাছ উপড়ে মৃত্যু হয় CCFC ক্লাবের কর্মী শেখ সোহেলের ।

সরকারি দপ্তরের হিসেব, এখনও পর্যন্ত 70 হাজারের বেশি ত্রিপল দুর্গতদের বিতরণ করা হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে কয়েক হাজার মোবাইল টাওয়ার কাজ করছে না । সেগুলি দ্রুত মেরামতের জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে । বহু সাব পাওয়ার স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এখনও পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে ।

রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে 24 ঘণ্টা মনিটর করছে কেন্দ্রীয় সরকারও । রাজ্যের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর করেন । বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্যে ।

এদিকে, বুলবুলের বিপর্যয়ের জেরে 13 নভেম্বর কোচবিহার সফর বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ । আজ সব কর্মসূচি বাতিল করে কাকদ্বীপ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবেন । বকখালি, নামখানাতেও যাওয়ার কথা তাঁর । বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রশাসনিক বৈঠকেরও কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর । অন্যদিকে, ড্রোনের সাহায্যে আক্রান্ত এলাকাতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন । সরকারের পাশাপাশি পোর্ট ট্রাস্টও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ।

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে খবর, কাকদ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গোসাবা, কুলতলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে । বুলবুল বাংলাদেশে চলে গেলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সবরকম পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে রাজ্য প্রশাসন । ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে আর না বাড়ে সেই বিষয়টিতে নজর রাখা হচ্ছে । রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের দুর্গত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুলবুল চলে গেলেও তার প্রভাব 24 থেকে 48 ঘণ্টা থাকার সম্ভাবনা । সে কারণেই সতর্কতা এখনও জারি রেখেছে রাজ্য সরকার ।

কলকাতা, 11 নভেম্বর : বুলবুলের তাণ্ডবে রীতিমতো ছন্নছাড়া রাজ্যের একাংশ । এই ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়েছে আটজনের । নবান্নের হিসেব, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা । প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্তর সংখ্যা চার লাখের বেশি । ইতিমধ্যেই 1 লাখ 78 হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে । 2473টি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত । 26 হাজারের বেশি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত । আজ দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

বুলবুল আসছে, এই আশঙ্কায় কোমর বেঁধে তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্য । সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল । একাধিক এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের । বাতিল করা হয়েছিল একাধিক সরকারি দপ্তরের ছুটি । কিন্তু এত কিছুর পরও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আটকানো গেল না । গতকাল নবান্নর তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে 6টি NDRF ও 4টি STRF পরিস্থিতির মোকাবিলায় কাজ করছে । একই সঙ্গে কাজে নামানো হয়েছে 15 হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারকে । বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে রাজ্যে 9টি ক্যাম্প খোলা হয়েছে । যেখানে কয়েক হাজার গৃহহীন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ।

নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনাতেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের । কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে একজন করে মারা গেছেন । মৃতদের মধ্যে রেবা বিশ্বাস ও মইদুল গাজ়ি বসিরহাট, প্রকৃতি মিদ্দা ও সুচিত্রা মণ্ডল হিঙ্গলগঞ্জ, বিদেশি সরকার সন্দেশখালি-2, সুলতা দাস নন্দীগ্রাম-2 ও সঞ্জয় দাস দক্ষিণ 24 পরগনার বাসিন্দা । কলকাতায় বুলবুল আছড়ে পড়ার আগেই ঝোড়ো হাওয়ার গাছ উপড়ে মৃত্যু হয় CCFC ক্লাবের কর্মী শেখ সোহেলের ।

সরকারি দপ্তরের হিসেব, এখনও পর্যন্ত 70 হাজারের বেশি ত্রিপল দুর্গতদের বিতরণ করা হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে কয়েক হাজার মোবাইল টাওয়ার কাজ করছে না । সেগুলি দ্রুত মেরামতের জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে । বহু সাব পাওয়ার স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এখনও পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে ।

রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে 24 ঘণ্টা মনিটর করছে কেন্দ্রীয় সরকারও । রাজ্যের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর করেন । বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্যে ।

এদিকে, বুলবুলের বিপর্যয়ের জেরে 13 নভেম্বর কোচবিহার সফর বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ । আজ সব কর্মসূচি বাতিল করে কাকদ্বীপ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী । সেখানে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করবেন । বকখালি, নামখানাতেও যাওয়ার কথা তাঁর । বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রশাসনিক বৈঠকেরও কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর । অন্যদিকে, ড্রোনের সাহায্যে আক্রান্ত এলাকাতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন । সরকারের পাশাপাশি পোর্ট ট্রাস্টও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ।

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে খবর, কাকদ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গোসাবা, কুলতলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে । বুলবুল বাংলাদেশে চলে গেলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সবরকম পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে রাজ্য প্রশাসন । ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে আর না বাড়ে সেই বিষয়টিতে নজর রাখা হচ্ছে । রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের দুর্গত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুলবুল চলে গেলেও তার প্রভাব 24 থেকে 48 ঘণ্টা থাকার সম্ভাবনা । সে কারণেই সতর্কতা এখনও জারি রেখেছে রাজ্য সরকার ।

Intro:নবান্নের কন্ট্রোল রুমে অনবরত কাজ করে চলেছেন সচিব পর্যায়ের কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সাগরের ভূ-পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার বহু আগে থেকেই সতর্ক ছিল রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। ইতিমধ্যেই বুলবুল নামক সাইক্লোনের প্রস্তুতি হিসেবে দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন জায়গায় সরকারি উদ্যোগে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।


Body:দক্ষিণ 24 পরগনার জেলাশাসক, জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা এবং কুলতলিতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। অতিরিক্ত ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার এবং প্রচুর ত্রিপল এর যোগান রাখা হয়েছে। আজ মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিবের দীর্ঘক্ষন বৈঠক হয়েছে নবান্নে।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে রিপোর্ট। ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কেটে গেলেও আগামী 24 থেকে 48 ঘন্টা তার কি প্রভাব পড়তে পারে, তা মনে করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রভাবিত এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষের সাহায্যের জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে, বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা নিজস্ব এলাকায় রয়েছেন।


Conclusion:
Last Updated : Nov 11, 2019, 8:57 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.