ETV Bharat / state

শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রের ফতোয়া মানবে না রাজ্য, হুঁশিয়ারি ব্রাত্যর

Education Minister Bratya Basu: বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ফতোয়া মানবে না রাজ্য ৷ তাঁর এই মন্তব্য কি ইউজিসি-র তরফে এমফিল বাতিল করা নিয়ে ! এই বিষয়টি অবশ্য স্পষ্ট নয় ৷

Education Minister Bratya Basu
Education Minister Bratya Basu
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 28, 2023, 7:39 PM IST

কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ফতোয়া মানবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৷ বৃহস্পতিবার এই কথাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ তাঁর কথায়, রাজ্যে যে শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে, সেটা মেনেই চলবে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ৷

সম্প্রতি মাস্টার অফ ফিলোজফি অর্থাৎ এমফিল ডিগ্রিকে অবৈধ বলে জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন বা ইউজিসি । তা সত্ত্বেও অভিযোগ, দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই নির্দেশ মানা হয়নি । এই পরিস্থিতিতে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ইউজিসি-র তরফে ৷ সেখানে দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবিলম্বে 2023-24 শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

তার প্রেক্ষিতেই কি এই মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ৷ ব্রাত্য বসু অবশ্য বিষয়টি স্পষ্ট করেননি ৷ এমফিল সংক্রান্ত ইউজিসি-র নির্দেশিকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন ৷ তবে শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ফতোয়া না মানার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি ৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটা ফতোয়া চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে । তবে এই ফতোয়া আমরা মানব না । আমরা আমদের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তৈরি যে শিক্ষানীতি সেটাই মেনে চলব ৷’’

উল্লেখ্য, পিএইচডি ডিগ্রি জন্য এমফিল খুবই প্রয়োজন ছিল । কিন্তু সেটিকে অবৈধ বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । কিন্তু এই রাজ্যের ক্ষেত্রে কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল । বহু পড়ুয়াই এই নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন । কিন্তু সেই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল ৷ যদিও শিক্ষামন্ত্রীর এ দিনের মন্তব্য অবশ্য ইঙ্গিত করছে যে এমফিল সংক্রান্ত ইউজিসির নিয়ম মানবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার ।

আর সেটা যদি হয়, তাহলে কি এই রাজ্যে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে ? প্রশ্ন উঠছে, ইউজিসি-র জারি করা এই নির্দেশ যদি রাজ্য অমান্য করে, তাহলে সেক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করবে কি কেন্দ্রীয় সরকার ? পড়ুয়াদের কি উচ্চশিক্ষায় বাধার মুখে পড়তে হতে পারে ? সেই প্রশ্নই আপাতত খুঁজছে শিক্ষামহল ৷

আরও পড়ুন:

  1. পাঠ্য বইয়ে 'ইন্ডিয়া'র পরিবর্তে 'ভারত', বিতর্ক শিক্ষামহলে
  2. অর্ডিন্যান্সই কার্যত আইন, প্রাক্তন উপাচার্যদের কথাতেই সায় খোদ শিক্ষামন্ত্রীর
  3. রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের 'অনুপ্রবেশকারী' বলে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর

কলকাতা, 28 ডিসেম্বর: শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ফতোয়া মানবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৷ বৃহস্পতিবার এই কথাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ তাঁর কথায়, রাজ্যে যে শিক্ষানীতি তৈরি করা হয়েছে, সেটা মেনেই চলবে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা ৷

সম্প্রতি মাস্টার অফ ফিলোজফি অর্থাৎ এমফিল ডিগ্রিকে অবৈধ বলে জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন বা ইউজিসি । তা সত্ত্বেও অভিযোগ, দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই নির্দেশ মানা হয়নি । এই পরিস্থিতিতে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ইউজিসি-র তরফে ৷ সেখানে দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবিলম্বে 2023-24 শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রী ভর্তি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

তার প্রেক্ষিতেই কি এই মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ৷ ব্রাত্য বসু অবশ্য বিষয়টি স্পষ্ট করেননি ৷ এমফিল সংক্রান্ত ইউজিসি-র নির্দেশিকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন ৷ তবে শিক্ষাক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ফতোয়া না মানার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি ৷ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটা ফতোয়া চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে । তবে এই ফতোয়া আমরা মানব না । আমরা আমদের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তৈরি যে শিক্ষানীতি সেটাই মেনে চলব ৷’’

উল্লেখ্য, পিএইচডি ডিগ্রি জন্য এমফিল খুবই প্রয়োজন ছিল । কিন্তু সেটিকে অবৈধ বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । কিন্তু এই রাজ্যের ক্ষেত্রে কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল । বহু পড়ুয়াই এই নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন । কিন্তু সেই বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল ৷ যদিও শিক্ষামন্ত্রীর এ দিনের মন্তব্য অবশ্য ইঙ্গিত করছে যে এমফিল সংক্রান্ত ইউজিসির নিয়ম মানবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার ।

আর সেটা যদি হয়, তাহলে কি এই রাজ্যে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব পড়বে ? প্রশ্ন উঠছে, ইউজিসি-র জারি করা এই নির্দেশ যদি রাজ্য অমান্য করে, তাহলে সেক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করবে কি কেন্দ্রীয় সরকার ? পড়ুয়াদের কি উচ্চশিক্ষায় বাধার মুখে পড়তে হতে পারে ? সেই প্রশ্নই আপাতত খুঁজছে শিক্ষামহল ৷

আরও পড়ুন:

  1. পাঠ্য বইয়ে 'ইন্ডিয়া'র পরিবর্তে 'ভারত', বিতর্ক শিক্ষামহলে
  2. অর্ডিন্যান্সই কার্যত আইন, প্রাক্তন উপাচার্যদের কথাতেই সায় খোদ শিক্ষামন্ত্রীর
  3. রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের 'অনুপ্রবেশকারী' বলে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.