কলকাতা, 14 মার্চ: হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনেই উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ৷ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education minister Bratya Basu) ৷ পূর্বতন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় 20টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে নিয়ম মানা হয়নি অভিযোগ এনেছিলেন ৷ সেই অভিযোগ এদিন নস্যাৎ করে ব্রাত্য বসু বলেন, "হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে একেবারেই ধাক্কা খায়নি রাজ্য। আমরা মহামান্য আদালতের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত। রাজ্যপালের সই ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করতে পারে না।"
ব্রাত্য বসু বলেন, "রাজ্যপাল কয়েকদিন আগে কয়েকজন উপাচার্যকে তিন মাসের জন্য পুনর্বহাল করেছিলেন। গত কয়েকদিনে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের নিয়োগে রাজ্যপালের সম্মতি রয়েছে। অর্থাৎ, কোনও অসঙ্গতি নেই (Bratya Basu on VC Recruitment controversy)। আমরা হাইকোর্টের রায়ে সহমত পোষণ করেছি।" প্রাক্তন রাজ্যপাল সে সময় সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছিলেন ৷ সেখানে উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা স্থির করা হয়েছিল ৷ যদিও কোনও উপাচার্য সেই বৈঠকে উপস্থিত হননি ৷ পরবর্তীতে যদিও উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৎকালীন রাজ্যপাল। সে সময় শিক্ষামন্ত্রীকে নিশানা করেও একাধিক কথা গিয়েছিল। সেই মামলাই চলছে কলকাতা হাইকোর্টে ৷
আরও পড়ুন: রাজ্যে কাজ করে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাওয়া যাবে না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপাচার্যদের একমাত্র নিয়োগ করতে পারবেন আচার্য। উপাচার্য নিয়োগ করার কোনও ক্ষমতা রাজ্য সরকারের হাতে থাকবে না। এদিন রাজ্যের নিয়োগ করা সকল উপাচার্যদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
পাশাপাশি সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন স্কুল বন্ধের নির্দেশিকাকে ভুয়ো আখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এরকম কোনও নির্দেশিকা শিক্ষা দফতর জারি করেনি। রাজ্যে কোনও স্কুল বন্ধ হচ্ছে না। সবটাই গুজব। রাজনৈতিক স্বার্থে এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। সম্প্রতি শিক্ষা দফতরের একটি নির্দেশিকা সামাজিক মাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে রাজ্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল মিলিয়ে 8,207 স্কুল বন্ধ হতে চলেছে বলে জানা যায়।