কলকাতা, 20 এপ্রিল: অয়ন শীল আচমকা কেন তার বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকে একটি অভিজাত গাড়ি উপহার দিলেন? তাহলে কি এই উপহারের নেপথ্যে রয়েছে কালো টাকা সাদা করার পরিকল্পনা? তদন্তে নেমে এবার অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকে বৃহস্পতিবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে ডেকে পাঠায় ইডি। সেই মতো সকালেই তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেন।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন অয়ন শীলের যে প্রোডাকশন হাউজ রয়েছে সেখানে একটি ছবিতে কাজ করেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। এছাড়াও অয়নের কিনে দেওয়া একটি গাড়ি নিয়মিত ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিল বান্ধবী শ্বেতাকে। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এবং তথ্য পেয়েছেন ইডির গোয়েন্দারা। মূলত শ্বেতার কাছে তদন্তকারীরা জানতে চান, অয়ন শীলের সঙ্গে তাঁর কীভাবে পরিচয় হয়েছিল? কোথায় তাঁদের প্রথম পরিচয় হয় এবং কার মাধ্যমে অয়ন শীলের সঙ্গে শ্বেতার পরিচয় হয়? এছাড়াও অয়নের সঙ্গে তাঁর কীভাবে আর্থিক লেনদেন হত? এই সকল বিষয়ে জানার জন্য আজ শ্বেতা চক্রবর্তীকে তাঁর ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য এবং নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয়েছে।
শুধু যে অয়নের বান্ধবীকেই তলব করা হয়েছে তেমনটা নয় বরং আগামিকাল অয়ন শীলের স্ত্রী কাকলি শীল এবং তাঁর ছেলে অভিষেককেও ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। কারণ তদন্ত নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অভিষেক অর্থাৎ অয়ন শীলের ছেলের সঙ্গে রাজ্যের একজন সরকারি আধিকারিকের মেয়ের একটি সংস্থার যোগ রয়েছে । ইতিমধ্যেই সেই রাজ্য সরকারি আধিকারিকের সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: কামারহাটি পৌরসভায় কাজে যোগ দিলেন অয়ন-ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী
অভিযোগ, মূলত শিক্ষা দুর্নীতি নয় বরং একাধিক পৌরসভায় দেদার চাকরি বিলি করেছেন অয়ন শীল এবং সেখান থেকে যে কালো টাকা উৎপন্ন হত সেই কালো টাকা সাদা টাকায় রূপান্তরের জন্যই নিজের ছেলের নামে একাধিক সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন অয়ন। এছাড়াও তদন্তকারীরা অয়নের সল্টলেকের বাড়িতে এবং অফিসে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে জানতে পেরেছেন যে, টেটের যে দুর্নীতি হয়েছিল তা শুধুমাত্র 2014 নয় বরং 2012 সাল থেকেই তার বীজ বপন শুরু হয়ে গিয়েছিল।