কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: মনজিৎ সিং ওরফে জিটি ভাইকে দিল্লিতে তলবের পর এবার কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীকে দিল্লিতে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই ব্যবসায়ীর নাম বিক্রম সিং শিখারিয়া। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার দিল্লির ইডির সদর দফতরে এই ব্যবসায়ীকে সকল প্রকার নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে (ED Summoned an Owner of Construction Company)। এর পাশপাশি তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন এর সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতায় একজন প্রভাবশালী কাউন্সিলরও রয়েছেন ৷ তবে তাঁর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
এছাড়াও 2004 সাল থেকে তাঁর ব্যবসা বাড়তে শুরু করেছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই নথিপত্রের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদের যাবতীয় ব্যাংক অ্য়াকাউন্ট সংক্রান্ত নথিপত্রও আনতে বলা হয়েছে । একইসঙ্গে আয়কর সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র নিয়ে আগামিকাল ইডির সদর দফথরে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিক্রম সিং শিখারিয়া গজরাজ সংস্থার অন্যতম কর্ণধার বলে জানা গিয়েছে (Owner of Construction Company)। বালিগঞ্জে তাঁর সংস্থার দফতরে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মোট 1 কোটি 40 লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
এছাড়াও ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নজরে ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া রোডের একটি অভিজাত গেস্ট হাউস রয়েছে। এই ব্যবসায়ীকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জিজ্ঞাসা করতে পারে যে কয়লা পাচারের টাকা দিয়েই কি এই গেস্ট হাউসগুলি কেনা হয়েছিল ? এর পাশাপাশি কোন কোন প্রভাবশালীর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল তাও জানতে চাওয়া হতে পারে ৷ ইতিমধ্যেই কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্ত নেমে ব্যবসায়ী জিটি ভাইকে দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দফতরে তলব করা হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর 10 ঘণ্টা জেরা বিক্রম শিকারিয়াকে, মিলল আরও এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নাম
সেখানে তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, দক্ষিণ কলকাতায় একজন প্রভাবশালী কাউন্সিলরও এর সঙ্গে জড়িত। ইডি সূত্রের খবর, প্রয়োজন পড়লে সেই প্রভাবশালী কাউন্সিলর কেউ ইডি দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু যে বিভিন্ন সংস্থার নাম উঠে আসছে তা-ই নয়, জানা যাচ্ছে কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করার নতুন নতুন পদ্ধতির কথাও। এবং তার সঙ্গে একের পর এক রাজনৈতিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ যোগের সূত্রও মিলছে।