ETV Bharat / state

সারদাকাণ্ডে শতাব্দী-কুণালসহ 6 জনকে তলব ED-র - সারদাকাণ্ডে শতাব্দী-কুণালসহ 6 জনকে তলব ED-র

দু'বছর আগে সারদাকাণ্ডে CBI জেরার মুখে পড়েন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় । তদন্তে উঠে আসে সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী রায় । এবার তাঁকে ডাকল ED ।

সারদাকাণ্ডে শতাব্দী-কুণালসহ 6 জনকে তলব ED-র
author img

By

Published : Jul 15, 2019, 4:15 PM IST

কলকাতা, 15 জুলাই : সারদাকাণ্ডে এবার একসঙ্গে নোটিশ পাঠাল ED । তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু, ব্যবসায়ী সজ্জন আগরওয়াল ও সন্ধির আগরওয়াল, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ ও বারুইপুরের সারদার এজেন্ট অরিন্দম দাস ওরফে বুম্বাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা । ED সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

দু'বছর আগে সারদা কাণ্ডে CBI জেরার মুখে পড়েন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় । তদন্তে উঠে আসে সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী । তাঁর সঙ্গে বার্ষিক 50 লাখের চুক্তি হয়েছিল সারদার । 2012 সালে মিঠুন চক্রবর্তী ওই পদ ছাড়লে শতাব্দীকে অ্যাম্বাসাডর নিয়োগ করা হয় । জানা যায়, জেরায় সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়ের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেন । শুধু অ্যাম্বাসাডর হওয়াই নয়, প্রভাব খাটিয়ে সারদাকে বেশকিছু সুযোগও পাইয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী । সারদা মিডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট সোমনাথ দত্তকে রেলওয়ে ইউজ়ার্স কনসালটেটিভ কমিটিতে (DRUCC, হাওড়া ব্রাঞ্চ) ঢুকিয়েছিলেন বলে খবর ।

সূত্রের খবর, ED-র তদন্তকারীরা জানতে চান 50 লাখের থেকে বেশি (অতিরিক্ত টাকা) সাংসদ নিয়েছেন কি না । কিসের বিনিময়ে তিনি সারদাকে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিতেন ? সারদা তাঁর মাধ্যমে কোনও টাকা লেনদেন করেছে কি ?

সম্প্রতি এই মামলায় সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । জেরায় বেশকিছু তথ্য উঠে আসে । সেই সূত্রেই আবারও কুণাল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ED । বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করতে গিয়ে CBI গ্রেপ্তার করেছিল ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নীতুকে । তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারে, ব্যবসায়ী সজ্জন আগরওয়াল ও তাঁর ছেলে সন্ধিরের নাম । কলকাতা থেকে পালানোর আগে সুদীপ্ত সেন CBI-কে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের ঘুষ দেওয়ার নাম করে সন্ধির তাঁর থেকে টাকা নিয়েছিলেন । তদন্তকারী সংস্থার বেশ কিছু কর্তাকে টাকা দিয়ে সুদীপ্ত সেনের ব্যবসা বাঁচানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে নীতুর বিরুদ্ধেও লিখেছিলেন সুদীপ্ত । জানিয়েছিলেন, সেই যোগাযোগের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন আগরওয়ালরা । তাঁদের মাধ্যমে কত টাকা কোথায় পাচার করা হয়েছে সে সব জানতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ।

কলকাতা, 15 জুলাই : সারদাকাণ্ডে এবার একসঙ্গে নোটিশ পাঠাল ED । তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু, ব্যবসায়ী সজ্জন আগরওয়াল ও সন্ধির আগরওয়াল, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ ও বারুইপুরের সারদার এজেন্ট অরিন্দম দাস ওরফে বুম্বাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা । ED সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে তাঁদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

দু'বছর আগে সারদা কাণ্ডে CBI জেরার মুখে পড়েন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় । তদন্তে উঠে আসে সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী । তাঁর সঙ্গে বার্ষিক 50 লাখের চুক্তি হয়েছিল সারদার । 2012 সালে মিঠুন চক্রবর্তী ওই পদ ছাড়লে শতাব্দীকে অ্যাম্বাসাডর নিয়োগ করা হয় । জানা যায়, জেরায় সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়ের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেন । শুধু অ্যাম্বাসাডর হওয়াই নয়, প্রভাব খাটিয়ে সারদাকে বেশকিছু সুযোগও পাইয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী । সারদা মিডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট সোমনাথ দত্তকে রেলওয়ে ইউজ়ার্স কনসালটেটিভ কমিটিতে (DRUCC, হাওড়া ব্রাঞ্চ) ঢুকিয়েছিলেন বলে খবর ।

সূত্রের খবর, ED-র তদন্তকারীরা জানতে চান 50 লাখের থেকে বেশি (অতিরিক্ত টাকা) সাংসদ নিয়েছেন কি না । কিসের বিনিময়ে তিনি সারদাকে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিতেন ? সারদা তাঁর মাধ্যমে কোনও টাকা লেনদেন করেছে কি ?

সম্প্রতি এই মামলায় সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । জেরায় বেশকিছু তথ্য উঠে আসে । সেই সূত্রেই আবারও কুণাল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ED । বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করতে গিয়ে CBI গ্রেপ্তার করেছিল ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নীতুকে । তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারে, ব্যবসায়ী সজ্জন আগরওয়াল ও তাঁর ছেলে সন্ধিরের নাম । কলকাতা থেকে পালানোর আগে সুদীপ্ত সেন CBI-কে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের ঘুষ দেওয়ার নাম করে সন্ধির তাঁর থেকে টাকা নিয়েছিলেন । তদন্তকারী সংস্থার বেশ কিছু কর্তাকে টাকা দিয়ে সুদীপ্ত সেনের ব্যবসা বাঁচানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে নীতুর বিরুদ্ধেও লিখেছিলেন সুদীপ্ত । জানিয়েছিলেন, সেই যোগাযোগের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন আগরওয়ালরা । তাঁদের মাধ্যমে কত টাকা কোথায় পাচার করা হয়েছে সে সব জানতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ।

Intro:কলকাতা, ১৫ জুলাই: সারদাকাণ্ডে একসঙ্গে এবার ৬ জনকে নোটিস পাঠাল ED । তদন্তকারী অফিসাররা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতু, ব্যবসায়ী সজ্জন আগরওয়াল ও সন্ধীর আগরওয়াল, প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ, বারুইপুরের সারদার এজেন্ট অরিন্দম দাস ওরফে বুম্বাকে নোটিশ পাঠিয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে তাদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।Body:দুবছর আগে সারদা কাণ্ডে সিবিআই জেরার মুখে পড়েন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। জানা গেছে, তদন্তে উঠে এসেছে সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলেন শতাব্দী রায়। ২০১২ সালে মিঠুন চক্রবর্তী ওই পদ ছাড়লে তাকে নিয়োগ করা হয়। তদন্তকারীদের জেরায় সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায় শতাব্দি রায়ের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে খবর। বিশেষ সূত্রে খবর, শতাব্দীর সঙ্গে বার্ষিক 50 লাখের চুক্তি হয়েছিল সারদার। সে বিষয়ে কিছু নথি ও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলে খবর। তদন্তে উঠে এসেছে, শুধু ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়াই নয়। নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়ে সারদাকে বেশকিছু সুযোগও পাইয়ে দিয়েছিলেন ওই অভিনেত্রী। সারদা মিডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট সোমনাথ দত্তকে তিনি প্রভাব কাজে লাগিয়ে রেলওয়ে ইউজার্স কনসাল্টেটিভ কমিটিতে (DRUCC, হাওড়া ব্রাঞ্চ) ঢুকিয়েছিলেন তিনি! সংসদ কোটাতেই তিনি ওই সদস্য হয়েছিলেন বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

সূত্র জানাচ্ছে, ED র তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন 50 লাখের অতিরিক্ত কোনও টাকা ওই সাংসদ সারদার টাকা নিতেন কিনা। কিসের বিনিময়ে তিনি সারদাকে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিতেন? সারদা তার মাধ্যমে কোনও টাকা লেনদেন করেছে কিনা তা জানতে চায় ED।
Conclusion:সম্প্রতি এই মামলায় সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানি মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। সেই জেরায় বেশকিছু তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর। সেই সূত্রেই আবারো কুণালকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ED। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছিল ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত মজুমদার ওরফে নীতুকে৷ তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারে ব্যবসায়ী সজ্জন আগরওয়াল ও তাঁর ছেলে সন্ধিরের নাম৷ কলকাতা থেকে পালানোর আগে সুদীপ্ত সেন সিবিআইকে যে চিঠি লেখেন তাতে তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের ঘুষ দেওয়ার নাম করে সন্ধির তাঁর থেকে টাকা নিয়েছিলেন৷ তদন্তকারী সংস্থার বেশ কিছু কর্তাকে টাকা দিয়ে সুদীপ্ত সেনের কালো ব্যবসা বাঁচানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে নীতুর বিরুদ্ধেও লিখেছিলেন সুদীপ্ত। জানিয়েছিলেন, সেই যোগাযোগের জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন আগরওয়ালরা৷ তাদের মাধ্যমে কত টাকা কোথায় পাচার করা হয়েছে সে সব জানতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট।

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.