কলকাতা, 14 জুন: হাওয়ালার মাধ্যমে কালীঘাটের কাকুর নিয়ন্ত্রণে থাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে 10 কোটি টাকা ? বুধবার এমনটাই আদালতে অভিযোগ জানাল ইডি । পাশাপাশি তিনি নাকি চারটি কোম্পানির দেখাশোনা করতেন । যেখানে প্রায় 100টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে এদিন নগর দায়রা আদালতে জানিয়েছে ইডি ।
আদালতে ইডির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাকুর নিয়ন্ত্রণে থাকা কোম্পানিগুলো হল -
1) মেসার্স ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড
2) মেসার্স অ্যাচিভ প্রাইভেট লিমিটেড
3) এমএস এসজি কনসালটেন্সি
4) নয়নিকা এন্টারপ্রাইজ
এছাড়াও 'বাংলার বন্ধু' নামে একটি ট্রাস্ট রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি । 10 কোটি টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে ঢুকেছে মেসার্স ওয়েলথ উইজার্ড কোম্পানিতে । সেই টাকা আবাসন ব্যবসায় বিনিয়োগও করা হয়েছে । অন্যদিকে নয়নিকা এন্টারপ্রাইজের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে 1 কোটি টাকা নগদ লেনদেন হয়েছে । সেই টাকা দিয়ে 80 কাঠা জমি কেনা হয়েছে বাংলার বন্ধু ট্রাস্টের নামে ।
আরও পড়ুন : আমার 200 কোটি থাকলে আপনার কী, মেজাজ হারিয়ে পালটা প্রশ্ন কালীঘাটের কাকুর
রাহুল বেরাকে সমস্ত প্রমাণ লোপাট করার জন্য ফোন থেকে তথ্য ডিলিট করতে বলেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু । ওই কণ্ঠস্বরের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতে চায় ইডি । সেই জন্য ভয়েস টেস্টের আবেদন জানানো হয়েছে । আবেদনে সম্মতিও দিয়েছে নগর দায়রা আদালতের বিচারক । সিএফএএসেল কলকাতা ভয়েস টেস্ট করবে । পাশাপাশি জেলে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কেউ দেখা করতে এলে সেই কথোপকথনের ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন ওনার বয়সের কথা তুলে । কিন্তু বিচারক ফের তার 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন এদিন । এরপর কবে আবার তাঁর বিরুদ্ধে ইডি কী তথ্য খুঁজে পায় সেইদিকেই তাকিয়ে সকলে ৷
আরও পড়ুন : সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফের মেজাজ হারালেন 'কালীঘাটের কাকু'