কলকাতা, 19 জুলাই: নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কাছে যে কোটি কোটি টাকা আসত, তা খাটানো হয়েছিল শহরের তিনটি নির্মাণকারী সংস্থায় ৷ সেই সূত্রে আজ কলকাতার ওই তিনটি নির্মাণকারী সংস্থার অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সেমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ আজ দিল্লির হেড অফিস থেকে সবুজ সংকেত পেতেই আধিকারিকরা ওই অফিসগুলিতে হানা দিয়েছে ৷ রোড প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এবং ক্যামাক স্ট্রিটের সেই অফিসগুলিতে বেলা 2টোর পর থেকে এই তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি ৷
কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের হাতে বেশ কিছু নতুন তথ্য আসে ৷ তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন যে নিয়োগ দুর্নীতির বেশ কিছু টাকা শহরের বিভিন্ন নির্মাণকারী সংস্থায় খাটানো হয়েছিল ৷ এই সব সংস্থাগুলির হদিশ পেতে তদন্ত শুরু করেন ইডি ৷ তিনটি সংস্থার নাম হাতে আসার পরেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করে ইডি ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, তিনটি কোম্পানিতে কোটি কোটি টাকা খাটানো হয়েছিল ৷
তদন্তকারীদের অনুমান কালীঘাটের কাকুর কাছে যে কোটি কোটি টাকা এসেছিল ৷ সেগুলি শহরের এই তিনটি নির্মাণকারী সংস্থায় খাটানো হয়েছিল ৷ আর সেগুলি নিয়োগ দুর্নীতির থেকে পাওয়া টাকা বলে ইডি সূত্রে খবর ৷ তবে, একবারে এই সংস্থাগুলিতে হানা দেয়নি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা ৷ মাসখানেক আগে এই তিন নির্মাণকারী সংস্থার মালিকদের নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি ৷ এর পরেই আজ দুপুর থেকে কলকাতার এজেসি বোস ফ্লাইওভারের সামনে এবং ক্যামাক স্ট্রিট ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে নির্মাণকারী সংস্থাগুলির অফিসে তল্লাশি শুরু করেন ইডি-র আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন: ভদ্র না অভদ্র, কে গ্রেফতার হয়েছে? কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
ইডি সূত্রের খবর, সেখান থেকে একাধিক কাগজপত্র এবং হিসেবের ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন জেলার এজেন্টদের হাত ঘুরে আসত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে ৷ এর পরেই সেই টাকাগুলি হাতবদল হয়ে চলে যেত একাধিক প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের অ্যাকউন্টে ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা এখনও ওই তিনটি নির্মাণকারী সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন ৷