কলকাতা, 31 মে: মঙ্গলবার রাত 11টা নাগাদ কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রের খবর সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে গতকাল প্রায় চার দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথমার্ধে সুজয় কৃষ্ণের কথা বলার ভঙ্গি দেখে তদন্তকারীদের অনুমান ছিল তিনি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। কথায় কথায় আইনি দিক টেনে আনছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। কীভাবে আইনি কার্যকলাপ হয়, তা একপ্রস্থ ইডি আধিকারিকদের বোঝাতে বসেছিলেন তিনি।
যখন জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া প্রায় সাড়ে 11 ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে এবং সেই সময় ঘড়ির কাঁটা প্রায় সাড়ে দশটা ৷ ঠিক সেই সময় সুজয় কৃষ্ণ বাবুর বাচনভঙ্গি ছিল পুরোপুরি আলাদা। অত্যন্ত টোন ডাউন বা গলার স্বর নামিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। তবে ইডি আধিকারিকদের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়ায় একাধিকবার মেজাজ হারিয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। একই প্রশ্ন একাধিকবার করা হলে তিনি বিভিন্ন উত্তর দিচ্ছিলেন ৷ সবমিলিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া চলাকালীন 'কালীঘাটের কাকু'র বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি ছিল।
ইডির অভিযোগ, তিনি বেশ কিছু সত্য গোপন করতে চেয়েছিলেন এবং তদন্ত প্রক্রিয়াকে ভুলপথে পরিচালনা করছিলেন। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কুন্তল ঘোষ প্রথমে কালীঘাটের কাকু নামটি সামনে আনেন। এরপরই তদন্তে নেমে জানা যায় কালীঘাটের কাকুর বাড়ি আদতে বেহালায় এবং তার নাম সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু এলাকায় তিনি 'কালীঘাটের কাকু' বলে পরিচিত। এর কারণ তিনি একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হল কালীঘাটের কাকুকে, হেফাজতে নিতে চায় ইডি
গত 4 মে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বেহালের বাড়িতে হাজির হন সিবিআইয়েরর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পাশাপাশি একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিলেন তদন্তকারীরা।
এরপর গত 20 মে সুজয়ের বেহালার বাড়িতে ফের হাজির হন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।