কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: ইডি'র আবেদনে সাড়া দিয়ে মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী শতরুপা ভট্টাচার্য ও ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যর জামিনের আবেদন খারিজ করল ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Bankshall Court, Kolkata)। আগামী 6 মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতেই কাটাতে হবে তাঁদের ৷ মানিক ভট্টাচার্যের দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের সবকিছু জানতেন দু'জনে, তা সত্ত্বেও তথ্য লুকিয়েছেন বলে অভিযোগ মানিকের স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে।
বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে মানিকের স্ত্রী ও পুত্রের তরফে জানানো হয়, যতবার সিবিআই, ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকেছে তাঁরা সাড়া দিয়েছেন। তদন্তে সহযোগিতা করছেন। প্রভাব খাটানো বা তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আগে করা হয়নি। তা সত্ত্বেও জামিনের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। এছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ ৷ এদিনও জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার আর্জি জানিয়েছেন শতরুপা ভট্টাচার্য ৷
2016 সালের অগস্ট মাসে প্রথমবার লন্ডনে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন মানিক-পুত্র সৌভিক। তার জন্য ভিসার আবেদন করেন তিনি। তখন তাঁকে রেসিডেন্ট পারমিট করে দেওয়া হয়। সেজন্য 2018 সাল পর্যন্ত আর ভিসার আবেদন করতে হয়নি সৌভিককে। কিন্তু লন্ডনে বাড়ি, সম্পত্তির কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল ৷ ইডির তরফের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। বিদেশে থাকাকালীন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকার লেনদেনের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। বিচারপতি জানতে চেয়েছেন কেন আগেই তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি?
আরও পড়ুন: 'লন্ডনে আমার বাড়ি নেই, ঠিকানা বলতে পারলে আমায় ফাঁসি দেওয়া হোক'; আদালতে ফুঁসলেন মানিক
এরপর ইডির তরফে উল্লেখ করা হয়, আগে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হচ্ছে। তাঁকে জেলেও যেতে হতে পারে। এই মামলার রায়দান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, এর আগে মামলার শুনানিতে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর লন্ডনের বাড়ি সম্পত্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, যদি প্রমাণ করতে পারে কেউ তাঁদের লন্ডনে বাড়ি রয়েছে তাহলে তাঁর যেন ফাঁসি হয় ৷ পাশাপাশি তাঁর নামে অপপ্রচার করে তাঁকে জনমানসে নিচু প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।