কলকাতা, 11 এপ্রিল: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য হাতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ৷ সূত্রের খবর, এই মামলায় ধৃত অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে পৌরসভার চাকরি বিক্রির ঘটনায় তার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রাজ্যের একাধিক বিধায়ক এবং বিভিন্ন পৌরসভার কাউন্সিলরদের । মূলত এই সকল বিধায়ক এবং কাউন্সিলরের তরফ থেকেই পৌরসভা এবং স্কুলে নিয়োগের জন্য সুপারিশ আসত ৷
তদন্তকারীদের দাবি, এই সকল প্রভাবশালীদের কাছ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর হাতে পেত অয়ন শীল, এরপরেই শুরু হত দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগের কাজ ৷ মূলত অয়নশীল এবং তার ঘনিষ্ঠ হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় একসঙ্গে এই নিয়োগ দুর্নীতির কাজ করত বলে জানা গিয়েছে ।
ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের নাম ধরে ধরে একটি তালিকা তৈরি করছেন তদন্তকারীরা । এই সকল অভিযুক্তদের খুব শীঘ্রই সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে । এছাড়াও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের দাবি, তদন্তে যে বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের নাম উঠে আসছে ইতিমধ্যেই তাঁদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে ৷ এই জনপ্রতিনিধিদের নাম আদালতেও পেশ করা হবে ইডি'র তরফে ৷
আরও পড়ুন: বিকাশ ভবনে বিশেষ ঘরে বসেছিল 'ভুয়ো' ইন্টারভিউ বোর্ড, নিয়োগ দুর্নীতিতে দাবি ইডির
এছাড়াও, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষকে জেরা করে পার্থ সরকার নামে আরও এক প্রভাবশালী ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা । যদিও এই পার্থ সকলের কাছে ভজা দা নামেই বেশি পরিচিত । ইডি'কে ধৃত কুন্তল ঘোষ জানিয়েছেন, চাকরি বিক্রির টাকা লেনদেন করত এই পার্থ সরকার ওরফে ভজা । তার হাত ঘুরে সেই টাকা পৌঁছত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে । মূলত এজেন্ট হিসেবেই কাজ করত এই পার্থ ৷ কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই ব্যক্তি বিভিন্ন জেলা থেকে সাব এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করত এবং পরে তা প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছে দিত ।