কলকাতা, 28 জুলাই: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে এবার নয়া অভিযোগ সামনে আনল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । শুক্রবার ইডির বিশেষ আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে ৷ সেখানে অভিযোগ করা হয়, বেশ কয়েক বছর আগে দক্ষিণ কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ হয় কালীঘাটের কাকুর । এরপর কার্যত হুমকি দিয়ে বলপূর্বক সেই ব্যবসায়ীর ছ’টি সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি ।
চলতি মাসে দক্ষিণ কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের ওই সংস্থায় প্রায় 12 ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারীরা । সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্ণধারের সঙ্গে কথাবার্তা বলা হয় । সেখান থেকে একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে ইডি ৷ তার পর কালীঘাটের কাকুর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া বিভিন্ন নথিপত্রের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা ৷ তার পরই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে ইডির দাবি ।
এই তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, এই কাজ করতে কালীঘাটের কাকুকে সাহায্য করেছিলেন একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট । ওই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কোভিডের পরবর্তীকালে তিনি ধীরে ধীরে সেই সংস্থা দায়িত্ব থেকে সরে আসেন । তবে এই বিষয়ে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট একাধিক গোপন তথ্য জানেন । ফলে আগামী মাসের মধ্যেই ওই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । দিল্লিতে ইডি সদর দফতরের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই ওই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে নোটিশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে ।
ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর তদন্তকারী আধিকারিকরা আদালতের অনুমতি পেয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের যে সেলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র রয়েছেন, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করবে । তার পর সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে ৷ দেখা হবে, জেলে অসুস্থ হওয়ার আগে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি ঠিক কী ছিল ?
আরও পড়ুন: চিকিৎসা ও জামিনের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারে 'কালীঘাটের কাকু'
অন্যদিকে কালীঘাটের কাকুর বাড়ি থেকে উদ্ধার নথি খতিয়ে দেখে 100টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ এই 100টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মূলত একাধিক লোক দেখাশোনা করলেও সেগুলি ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নামে ৷