কলকাতা, 22 জুলাই: দেশের জনজীবনের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় রেল। এক কথায়, দেশের রেল পরিষেবাকে দেশবাসীর লাইফলাইন বলা হয়। তাই ভারতীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে এবং আরও উন্নত করে তুলতে চলতি রেল বাজেটের বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে স্টেশন (Eastern and Soth-Eastern Railway Celebrate Azadi Ka Amrit Mahotsav)।
এর পাশাপাশি চালানো হচ্ছে নতুন ট্রেন। চলছে রেল ও ট্রেনের সৌন্দর্যায়ন। মহিলা যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং তাঁদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, যে স্টেশনগুলির সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং দেশের স্বাধীনতার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে সেই সব স্টেশনগুলোতে চিহ্নিত করে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
এক রেল আধিকারিক এ বিষয়ে জানান, সারা দেশে মোট 27টি ট্রেন এবং 75টি স্টেশনকে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ যেখানে 18 থেকে 23 জুলাই 'আজাদি কা রেল গাড়ি মহোৎসব' পালিত হচ্ছে। এই সব স্টেশন ও রেলগাড়িগুলিকে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও এই সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত বির গাঁথা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, "আজকে আমরা ট্রেন ব্যবস্থার যে সুবিধা উপভোগ করছি আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে এই স্বাধীনতার সংগ্রামীদের নিঃস্বার্থ বলিদানের জন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। তাই তাঁদের বীর গাঁথা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা যাত্রীদের মনে করিয়ে দিতে স্টেশন এবং রেল গাড়িগুলিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।"
আরও পড়ুন : ‘স্বাধীনতার রেলগাড়ি এবং স্টেশন’ কর্মসূচি, হাওড়ায় ‘নেতাজি এক্সপ্রেস’এর ফ্ল্যাগ অফ
পূর্ব রেলের যেই স্টেশনগুলোতে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি হল, ভাগলপুর স্টেশন, বর্ধমান স্টেশন, গীরাট, সুভাষগ্রাম এবং নৈহাটি। পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ক্ষেত্রে টাটানগর স্টেশন, বালাসোর স্টেশন, রাঁচি স্টেশন এবং চক্রধরপুরকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এসকে আনন্দ বলেন, "18 থেকে 23 জুলাই পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মনে করে যেমন সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্টেশন চত্ত্বর সাজানো হয়েছে রেলগাড়িগুলিকে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মনে করা এবং মনে করিয়ে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।"