কলকাতা, 29 ডিসেম্বর: সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা। ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা কর্পোরেশন। শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে পৌর প্রশাসনের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মেয়র নিজে ৷ গঙ্গাসাগর মেলার ট্রানজিট পয়েন্ট কলকাতা। আর এবছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বলেছেন কলকাতায় আগত পুণ্যার্থীদের বিনামূল্যে কালীঘাট মন্দির দর্শন করানোর কথা। সেই ইচ্ছেকে মাথায় রেখেই ব্লু-প্রিন্ট হলো এদিনের বৈঠকে। পাশাপশি করোনা পরিস্থিতি দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এই বৈঠকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও ছিলেন, মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশীষ কুমার, পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার, সচিব হরিহর প্রসাদ মণ্ডল, বিভাগীয় ডিজি-সহ কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
বৈঠকে বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। কোন সময় কীভাবে ভিনরাজ্য থেকে আগত পুণ্যার্থীদের কোন রাস্তা দিয়ে বাসে করে কালীঘাট মন্দির ঘুরিয়ে ফের নিরাপদে গঙ্গাসাগর ট্রানজিট ক্যাম্পে ফেরানো হবে সেই পরিকল্পনা করা হয়। এবার ফের দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গঙ্গাসাগর মেলায় লাখ লাখ লোকের ভিড় হবে। ফলে সেই প্রভাবে রাজ্যে কলকাতায় করোনা পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবে খারাপ না হয় সেদিকেও বাড়তি গুরুত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকের শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আমাদের প্রিন্সেপ ঘাটে ট্রানজিট ক্যাম্প হবে তাই কলকাতা কর্পোরেশন একটা বড় ভূমিকা পালন করে এই সমস্ত আয়োজনে। সেখানে ব্যবস্থাপনা কী হবে, সিসিটিভি কতগুলো কোথায় লাগানো হবে থাকবে, রাস্তা খারাপ রয়েছে যেসমস্ত সেটা কীভাবে ঠিক করা হবে, গঙ্গাসাগর যারা যাবেন তাদের মালপত্র নিরাপদে রাখার জন্য লকার থাকবে। পিএইচই দেখবে প্যান্ডেল, পুলিশ নিরাপত্তা দেখবে, পরিবহন দফতর বাস দেখবে। স্বাস্থ্য এবং টয়লেট-সহ জঞ্জাল অপসারণ কাজ কলকাতা পৌর সংস্থা দেখবে। গঙ্গাসাগর মেলায় কোভিড টেস্টিং ব্যাবস্থা রাখা হবে। যদি কেউ পজিটিভ হয় তাহলে তাদেরকে বেলিয়াঘটা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছি। করোনা কোনও দিন পুরো চলে যায়নি। আগেও করোনা ছিল এখনও করোনা আছে। যদি কারও জ্বর-কাশি বা কোনও শারীরিক অসুস্থতা হলে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন