কলকাতা, 15 অক্টোবর: আজ বিজয়া দশমী। চারদিন বাপের বাড়িতে কাটিয়ে আজ দেবী দুর্গার চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাশে স্বামীর ঘরে ফেরার পালা ৷ বরণ ও সিঁদুর খেলে মাকে বিদায় জানিয়ে শুরু হয় শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা আদান-প্রদান। এদিন ছোটরা বড়দের চরণ ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেয়। মিষ্টির মাধ্যমে চলে শুভেচ্ছা বিনিময়। তাই শহরের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানের নানা ধরনের মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা ৷ আগে অবশ্য বাড়িতেই দশমীর মিষ্টি ও নোনতা তৈরির রীতি ছিল। তবে বর্তমান ব্যস্ত জীবনে সে অবকাশ কোথায় ? তাই বাজার থেকে কিনেই কাজ সারেন আমবাঙালি।
রসগোল্লা, সন্দেশ বা নোনতা এদিন তাই বাঙালিদের মধ্যে মিষ্টির চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে করোনা প্যানডেমিকের ছোঁয়া লেগেছে পুজোতে তেমনই মিষ্টি কেনার ক্ষেত্রেও নিউ নর্ম্যালের ছোঁয়া ৷ যেমন অনেকেই ভিড় এড়াতে মিষ্টি কিনে রেখেছেন নবমীতেই তেমনই, দোকানে গিয়ে নয় বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে বুক করে মিষ্টি আনিয়ে নেওয়া যাচ্ছে বাড়িতে ৷ তবুও দশমীর দিনে মিষ্টির দোকানগুলিতে দেখা গেল ভিড়।
আরও পড়ুন: প্রতিমা নিরঞ্জনে এবছর বিকল্প ব্য়বস্থার আয়োজন কলকাতা পৌরনিগমের
বাঙালির অতিপ্রিয় রসগোল্লা তো আছেই তার পাশাপাশি রয়েছে চমচম, আইসক্রিম সন্দেশ, মতিচুরের লাড্ডু, বেসনের লাড্ডু, নলেন গুড়ের জলভরা সন্দেশ, নলেন গুড়ের রসগোল্লা, বালুসাই-সহ আরও অনেক কিছু। শহরের এক মিষ্টির দোকানের কর্মী সঞ্জিত বর বলেন, "যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ তাই দশমীর মিষ্টির বৈচিত্র অনেক কমে গিয়েছে। আগে অনেক ধরনের মিষ্টি রাখা হত। তবে এখন 10 থেকে 12 ধরনের দশমীর মিষ্টি রাখা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "করোনা সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই এখন আর দোকানে এসে মিষ্টি কিনছেন না। বরং যেসব খাবারদাবারের অ্যাপগুলি রয়েছে তার মাধ্যমেই বুক করছেন।" শুধুমাত্র সাবেকি মিষ্টিই নয় মানুষ এখন ঝুঁকছেন ফিউশন মিষ্টির দিকেও।