কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর : রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর ৷ পুজোর আগেই ৫০ শতাংশ বাড়িতে পৌঁছে যাবে দুয়ারে রেশন। রাজ্যে এমনিতেই উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনাকালে পুজোর জৌলুস কিছুটা কমলেও পুজো উপহারের চল বহুদিনের। আর সেই পথে হেঁটেই রাজ্যের মানুষকে এবার নয়া উপহার দিতে চলেছে রাজ্যের খাদ্য দফতর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন দুয়ারে রেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে ভাইফোঁটার দিন থেকে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। এই সাফল্যের কথা মাথায় রেখেই পুজোর আগেই দুয়ারে রেশন কর্মসূচি চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার ৷ এই কারণে ৫০ শতাংশ রেশন দোকানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলতে চায় খাদ্য দফতর ৷ এবিষয়ে খাদ্য দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, আপাতত রাজ্যের ১৫ শতাংশ বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে দুয়ারে রেশন কর্মসূচির মাধ্যমে। এই পরিষেবা ধাপে ধাপে আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর।
মঙ্গলবার এবিষয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ফিড-ব্যাক খুব ভাল। মানুষ চাইছেন, দ্রুত এই প্রকল্প কার্যকারী হোক ৷ সেক্ষেত্রে আমরাও ধাপে ধাপে পরিকাঠামো তৈরি করছি। পুজোর আগেই আমরা ৫০ শতাংশ রেশন দোকানে দুয়ারে রেশন কার্যকারী করার মত পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলতে চাই ৷ সেই সব রেশন দোকানে এই পরিষেবা চালু হবে ৷"
আরও পড়ুন : দুয়ারে রেশন প্রকল্পে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে রেশন ডিলাররা
মন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, নানা আইনি জটিলতার কারণে এই পাইলট প্রোজেক্ট চালু করতে রাজ্যকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে ৷ তবে সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই পুজোর আগে যাতে ৫০ শতাংশ মানুষের কাছে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে, ডিলারদের একটা অংশ সরকারের উদ্যোগে খুশি নয় বলেও জানানা খাদ্যমন্ত্রী ৷ কীভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানান তিনি।
ডিলারদের তরফ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য তাড়াহুড়ো করছে। পুজোর আগে ডিলারদের একটা বড় অংশ ছুটির মেজাজে থাকে। অনেকেই ঠিকমতো কাজ করতে চান না। ফলে সরকারি নির্দেশ দিলেও বাস্তবে এই প্রকল্প ৫০ শতাংশ বাড়িতে চালু করা যাবে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ থাকছে। ইতিমধ্যেই ডিলারদের তরফ থেকে সরকারের কাছে এই বিষয় ভাবনা চিন্তা করার জন্য একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে খাদ্য দফতর ডিলারদের সুবিধা-অসুবিধা দেখলেও সময়সীমা নিয়ে কোনও পরিবর্তন চায় না বলে জানা গিয়েছে।