কলকাতা, 6 জুলাই: বুধবার ভারতীয় জন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের 122 তম জন্মদিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয় (Rahul Sinha slams Bengal Govt)। এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির অসংখ্য কর্মী-সমর্থকেরা ।
চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু । রাজ্যে এসে দ্রৌপদী মুর্মু কী বার্তা দেন তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ । কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বাকি বিরোধীদের প্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহার নাম যে তৃণমূল শিবিরের জন্য পাল্লায় ভারি থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । তাই এই পরিস্থিতিতে দ্রৌপদী মুর্মু রাজ্যে এলে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে কেমন সমীকরণ দাঁড়াবে সেটাই এখন দেখার । এই বিষয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "শনিবার রাজ্যে দ্রৌপদী মুর্মু আসার কথা আছে । উনি নিজের জন্য সমর্থন চাইতে আসবেন । তবে রাজ্যে এসে ওই দিন তাঁর কর্মসূচি কী হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি । মূলত উনি সমর্থন চাইতেই আসবেন । রাষ্ট্রপতি যেহেতু কোনও একটি দলের হয় না । রাষ্ট্রপতি মানে সবার রাষ্ট্রপতি । তাই তিনি সব রাজনৈতিক দলের কাছেই সমর্থন চাইতে যাবেন । তবে মুরুলিধর সেন লেনে বঙ্গ বিজেপির মুখ্য কর্যালয়ে তাঁর না-যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।"
আরও পড়ুন : Mahua Moitra slams BJP: ভয় পাচ্ছি না, জয় মা কালী; বিজেপিকে পাল্টা মহুয়ার
সূত্রের খবর, বিজেপি বিধায়কদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন যাতে দ্রৌপদী মুর্মুর দিকেই থাকে সেই দিকটি নিশ্চিত করতে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে ।এদিকে শ্যামাপ্রসাদ জয়ন্তীতে সভা সমাবেশ করার বিষয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে অনুমতি জোগাড় করার বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে । এই বিষয়ে রাহুল সিনহা বলেন, "শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ নিয়ে এই শোভাযাত্রা করতে হচ্ছে । যে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বাংলার স্রষ্টা, যাঁর কারণে আজকে বাংলাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারলেন, সেই তাঁর জন্মদিনেও মিছিল করতে গেলে আদালতের হস্তক্ষেপ লাগে । তার মানে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা ।"
আরও পড়ুন : মহুয়ার বিরুদ্ধে ভোপালে অভিযোগ দায়ের, গ্রেফতারের দাবিতে এককাট্টা সুকান্ত-শুভেন্দু
মহুয়া মৈত্রর বিষয় রাহুল সিনহা বলেন, "তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত । তৃণমূল কংগ্রেস বলছে এটা ওর নিজের বক্তব্য । তাহলে নূপুর শর্মার বক্তব্যটাও তো তাঁর নিজের বক্তব্যই ছিল । মমতা বন্দ্যােপাধ্যায় আজকে বড় বড় কথা বলছেন কেন? বিজেপি তো নূপুর শর্মাকে পার্টি থেকে বরখাস্ত করেছে তাহলে মহুয়া মৈত্রকে কেন পার্টির থেকে বরখাস্ত করা হবে না? অতএব তৃণমূল কংগ্রেস যে দেবদেবীকে মানে না এবং বাংলার মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা করে এটাই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ।"