ETV Bharat / state

500 টাকার ওষুধের বিল 16 হাজার টাকা, কলকাতায় বললেন কাফিল খান - Kafeel Khan

যে ওষুধের দাম 500 টাকা, তা বেসরকারি হাসপাতালে 14-16 হাজার হয়ে যাচ্ছে । কলকাতায় এসে বললেন কাফিল খান ।

কাফিল খান
author img

By

Published : Jul 9, 2019, 7:27 AM IST

Updated : Jul 9, 2019, 7:39 AM IST

কলকাতা, 9 জুলাই : চিকিৎসকদের 'ইন্ডাস্ট্রি' খারাপ হয়ে গেছে । চিকিৎসকরা ফার্মা কম্পানির 'হাতে খেলছেন' । 500 টাকায় যে ওষুধ পাওয়া যায় কর্পোরেট হাসপাতালে সেই ওষুধের বিল হয় 14-16 হাজার টাকা । কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন ডাক্তার কাফিল খান । তাঁর 'সকলের জন্য স্বাস্থ্য', পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের ঘোষণা উপলক্ষ্যে গতকাল কলকাতায় আসেন তিনি ।

2017 সালের অগাস্টে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে বাবা রাঘব দাস মেডিকেল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে 70টি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল । কেন ও কীভাবে ওই নির্মম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল গতকাল কলকাতায় তার বর্ণনা দেন কাফিল । এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমি যদি ডাক্তার হই, তাহলে এটাও মানছি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি খারাপ হয়ে গেছে । কিছু মাছ খারাপ হয়ে গেছে । চিকিৎসক যারা আছেন, তাঁরা ফার্মা কম্পানির হাতে খেলছেন । কিছু ডায়াগনসিস করানো হয়, যা করানোর প্রয়োজন নেই । বাজারে একটি ওষুধ 500 টাকায় পাওয়া যায়, কর্পোরেট হাসপাতালে সেটারই 14-16 হাজার টাকা বিল হয়ে যাবে । আমি তো এর বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলব ।"

তবে, তিনি একা এই কাজ করতে পারবেন না । সেজন্য সকলের সাহায্য প্রয়োজন । যে কারণে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন । শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । শুধুমাত্র তাই নয়, 9 মাস তাঁকে জেলেও কাটাতে হয়েছিল । সেই সময় তিনি যে ডায়েরি লিখেছেন তা বই আকারে প্রকাশের জন্য লেখকের খোঁজ করছেন । কাফিল বলেন, "এই শহরে অনেক লেখক আছেন বলে আমি শুনেছি । জেলে থাকার সময় প্রতিদিন ডায়েরি লিখতাম । আমি একজন লেখকের খোঁজ করছি যিনি আমার ডায়েরির লেখাগুলিকে স্বপ্ন দিতে চান ।" পরক্ষণেই হাসতে হাসতে বলেন, "মনে রাখবেন কেউ যদি এসব লেখেন, তা হলে যোগী (উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ) আবার আসবেন । হুমকি ফোন আসবে ।" পাশাপাশি কাফিল খান দাবি করেন, মৃতের সংখ্যা কম দেখাতে উত্তর প্রদেশের ওই হাসপাতালের পিছনের দরজা দিয়ে সংবাদমাধ্যমের চোখ এড়িয়ে শিশুদের দেহ বের করা হয়েছিল ।

তিনি আরও বলেন, "যোগীজি মনে করেন, আমাকে ভয় দেখিয়ে, আমার ভাইয়ের উপর গুলি চালিয়ে আমাকে থামিয়ে দেবেন । এটা তাঁর ভুল ধারণা । ডাক্তার কাফিল ভয় পাবেন না ।" তিনি বলেন, "ডাক্তার কাফিল RSS-র আদর্শের বিরুদ্ধেও লড়ছে । এই আদর্শ আমাদের ভারতের কাঠামো ভাঙার চেষ্টা করছে । মনুষ্যত্ব, বহুত্ববাদ, সমান অধিকারের উপর ভিত্তি করে ভারত গড়ে উঠেছে । জাতীয়তাবাদের নামে এটা ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে । আমি এর বিরুদ্ধে লড়ছি । আমি লড়ছি ওই 70 জন শিশুর জন্য যারা ওই দিন মারা গেছিল । যে আট লাখ শিশু প্রতি বছর মারা যায়, তাদের জন্যও লড়ছি ।"

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করার কথা ডাক্তার কাফিল খানের । তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছে । গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গেও অনেক ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । তাঁদের কথাও কি মুখ্যমন্ত্রীকে বলবেন তিনি ? কাফিল খান বলেন, "সরকার অথবা যে কোনও কারও কাছে যারা অত‍্যাচারের শিকার হয়েছেন, তাঁদের সকলের কথাই আমরা সব শক্তি দিয়ে বলব ।" NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারদের উপর আক্রমণ ও কর্মবিরতি প্রসঙ্গে কাফিল খান বলেন, "চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ঘটনার বিরুদ্ধে আমি । তবে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি সমর্থন করি না ।" তাঁকে যখন অভিযুক্ত করা হয়েছিল শিশুমৃত্যুর ঘটনায়, তখন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেনি । তবে সম্প্রতি একটি মেইল পেয়েছেন । সেই অনুযায়ী, বুধবার (10 জুলাই) IMA-র সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ।

ভিডিয়োয় শুনুন কাফিল খানের বক্তব্য

কাফিল খান বলেন, "আমি অনুভব করেছি, অক্সিজেনের অভাবে 70টি শিশুমৃত্যুর ট্র্যাজেডি ভগ্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নির্মম মুখ । এটা ঠিক হওয়া প্রয়োজন । "

তিনি বলেন, "প্রতিদিন ভারতে 2200টি শিশুর মৃত্যু হয় । আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় 10 কোটি পরিবারের 10 কোটি মানুষের জন্য প্রতিবছর পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । যদি কোনও পরিবারের জন্য 20 হাজার টাকা খরচ হয়, তাহলে 10 কোটি পরিবারের জন্য 10 লক্ষ কোটি টাকার প্রয়োজন । কিন্তু, বাজেটে ওই পরিমাণ টাকার এখনও সংস্থান হয়নি । " কাফিল খান বলেন, "বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে GDP-র 6-8 শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে খরচ করা হয়, সেখানে ভারতের ক্ষেত্রে তা মাত্র 1.2 শতাংশ ।"

কলকাতা, 9 জুলাই : চিকিৎসকদের 'ইন্ডাস্ট্রি' খারাপ হয়ে গেছে । চিকিৎসকরা ফার্মা কম্পানির 'হাতে খেলছেন' । 500 টাকায় যে ওষুধ পাওয়া যায় কর্পোরেট হাসপাতালে সেই ওষুধের বিল হয় 14-16 হাজার টাকা । কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন ডাক্তার কাফিল খান । তাঁর 'সকলের জন্য স্বাস্থ্য', পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের ঘোষণা উপলক্ষ্যে গতকাল কলকাতায় আসেন তিনি ।

2017 সালের অগাস্টে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে বাবা রাঘব দাস মেডিকেল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে 70টি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল । কেন ও কীভাবে ওই নির্মম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল গতকাল কলকাতায় তার বর্ণনা দেন কাফিল । এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমি যদি ডাক্তার হই, তাহলে এটাও মানছি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি খারাপ হয়ে গেছে । কিছু মাছ খারাপ হয়ে গেছে । চিকিৎসক যারা আছেন, তাঁরা ফার্মা কম্পানির হাতে খেলছেন । কিছু ডায়াগনসিস করানো হয়, যা করানোর প্রয়োজন নেই । বাজারে একটি ওষুধ 500 টাকায় পাওয়া যায়, কর্পোরেট হাসপাতালে সেটারই 14-16 হাজার টাকা বিল হয়ে যাবে । আমি তো এর বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলব ।"

তবে, তিনি একা এই কাজ করতে পারবেন না । সেজন্য সকলের সাহায্য প্রয়োজন । যে কারণে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন । শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । শুধুমাত্র তাই নয়, 9 মাস তাঁকে জেলেও কাটাতে হয়েছিল । সেই সময় তিনি যে ডায়েরি লিখেছেন তা বই আকারে প্রকাশের জন্য লেখকের খোঁজ করছেন । কাফিল বলেন, "এই শহরে অনেক লেখক আছেন বলে আমি শুনেছি । জেলে থাকার সময় প্রতিদিন ডায়েরি লিখতাম । আমি একজন লেখকের খোঁজ করছি যিনি আমার ডায়েরির লেখাগুলিকে স্বপ্ন দিতে চান ।" পরক্ষণেই হাসতে হাসতে বলেন, "মনে রাখবেন কেউ যদি এসব লেখেন, তা হলে যোগী (উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ) আবার আসবেন । হুমকি ফোন আসবে ।" পাশাপাশি কাফিল খান দাবি করেন, মৃতের সংখ্যা কম দেখাতে উত্তর প্রদেশের ওই হাসপাতালের পিছনের দরজা দিয়ে সংবাদমাধ্যমের চোখ এড়িয়ে শিশুদের দেহ বের করা হয়েছিল ।

তিনি আরও বলেন, "যোগীজি মনে করেন, আমাকে ভয় দেখিয়ে, আমার ভাইয়ের উপর গুলি চালিয়ে আমাকে থামিয়ে দেবেন । এটা তাঁর ভুল ধারণা । ডাক্তার কাফিল ভয় পাবেন না ।" তিনি বলেন, "ডাক্তার কাফিল RSS-র আদর্শের বিরুদ্ধেও লড়ছে । এই আদর্শ আমাদের ভারতের কাঠামো ভাঙার চেষ্টা করছে । মনুষ্যত্ব, বহুত্ববাদ, সমান অধিকারের উপর ভিত্তি করে ভারত গড়ে উঠেছে । জাতীয়তাবাদের নামে এটা ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে । আমি এর বিরুদ্ধে লড়ছি । আমি লড়ছি ওই 70 জন শিশুর জন্য যারা ওই দিন মারা গেছিল । যে আট লাখ শিশু প্রতি বছর মারা যায়, তাদের জন্যও লড়ছি ।"

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করার কথা ডাক্তার কাফিল খানের । তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছে । গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গেও অনেক ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । তাঁদের কথাও কি মুখ্যমন্ত্রীকে বলবেন তিনি ? কাফিল খান বলেন, "সরকার অথবা যে কোনও কারও কাছে যারা অত‍্যাচারের শিকার হয়েছেন, তাঁদের সকলের কথাই আমরা সব শক্তি দিয়ে বলব ।" NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারদের উপর আক্রমণ ও কর্মবিরতি প্রসঙ্গে কাফিল খান বলেন, "চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ঘটনার বিরুদ্ধে আমি । তবে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি সমর্থন করি না ।" তাঁকে যখন অভিযুক্ত করা হয়েছিল শিশুমৃত্যুর ঘটনায়, তখন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেনি । তবে সম্প্রতি একটি মেইল পেয়েছেন । সেই অনুযায়ী, বুধবার (10 জুলাই) IMA-র সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ।

ভিডিয়োয় শুনুন কাফিল খানের বক্তব্য

কাফিল খান বলেন, "আমি অনুভব করেছি, অক্সিজেনের অভাবে 70টি শিশুমৃত্যুর ট্র্যাজেডি ভগ্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নির্মম মুখ । এটা ঠিক হওয়া প্রয়োজন । "

তিনি বলেন, "প্রতিদিন ভারতে 2200টি শিশুর মৃত্যু হয় । আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় 10 কোটি পরিবারের 10 কোটি মানুষের জন্য প্রতিবছর পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । যদি কোনও পরিবারের জন্য 20 হাজার টাকা খরচ হয়, তাহলে 10 কোটি পরিবারের জন্য 10 লক্ষ কোটি টাকার প্রয়োজন । কিন্তু, বাজেটে ওই পরিমাণ টাকার এখনও সংস্থান হয়নি । " কাফিল খান বলেন, "বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে GDP-র 6-8 শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে খরচ করা হয়, সেখানে ভারতের ক্ষেত্রে তা মাত্র 1.2 শতাংশ ।"

Intro:কলকাতা, ৮ জুলাই: ডাক্তারদের "ইন্ডাস্ট্রি" খারাপ হয়ে গিয়েছে। ডাক্তাররা ফার্মা কোম্পানির "হাতে খেলছে"। ৫০০ টাকার ওষুধ কর্পোরেট হাসপাতালে বিল হয় ১৪-১৬ হাজার টাকা। কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করলেন ডাক্তার কাফিল খান। তাঁর "সকলের জন্য স্বাস্থ্য", পশ্চিমবঙ্গ চ্যাপ্টারের ঘোষণা উপলক্ষে সোমবার কলকাতায় আসেন তিনি।


Body:২০১৭-র অগাস্ট মাসে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে বাবা রাঘব দাস মেডিকেল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে ৭০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। কেন কিভাবে ওই নির্মম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তার বর্ণনা করে ডাক্তার কাফিল খান এক প্রশ্নের উত্তরের শেষে বলেন, "আমি যদি ডাক্তার হই, তা হলে এটাও মানছি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি খারাপ হয়ে গিয়েছে। কিছু মাছ খারাপ হয়ে গিয়েছে। ডাক্তার যারা আছে, ফার্মা কোম্পানির হাতে খেলছে। কিছু ডায়াগনসিস করানো হয়, যা করানোর প্রয়োজন নেই। বাজারে একটি ওষুধ ৫০০ টাকায় পাওয়া যায়, কর্পোরেট হাসপাতালে ১৪ হাজার, ১৬ হাজার বিল হয়ে যাবে। আমি তো এর বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলব।"

তবে, তিনি একাকী এ কাজ করতে পারবেন না। এর জন্য সকলের সাহায্য প্রয়োজন। যে কারণে ভারতের যে কোনও স্থানে তিনি যাচ্ছেন। ওই শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুধুমাত্র তাই নয়। ৯ মাস তাঁকে জেলেও কাটাতে হয়েছিল। ওই সময় তিনি যে ডায়েরি লিখেছেন বই আকারে লেখার জন্য লেখকের খোঁজ করছেন। কলকাতার সাহিত্যের বিষয়েও তিনি শুনেছেন। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, "এই শহরে অনেক লেখক আছেন বলে আমি শুনেছি। জেলে থাকার সময় প্রতিদিন ডায়েরি লিখতাম।" তিনি একজন লেখকের খোঁজ করছেন যিনি তাঁর ডায়েরির লেখাগুলিকে "স্বপ্ন" দিতে চান। এ কথা বলার পাশাপাশি হাসতে হাসতে তিনি বলেন, "মনে রাখবেন কেউ যদি এ সব লেখেন, তা হলে যোগী (মুখ্যমন্ত্রী) আবার আসবেন। থ্রেটনিং কল আসবে।"

একইসঙ্গে তিনি বলেন, "যোগীজি মনে করেন, আমাকে ভয় দেখিয়ে আমার ভাইয়ের উপর গুলি চালিয়ে আমাকে থামিয়ে দেবেন। এটা ওনার ভুল ধারণা। ডাক্তার কাফিল ভয় পাবেন না।" তিনি বলেন, "ডাক্তার কাফিল RSS-এর আদর্শের বিরুদ্ধেও লড়ছে। এই আদর্শ আমাদের ভারতের ফ্রেমওয়ার্ক ভাঙ্গার চেষ্টা করছে। হিউম্যানিটি উপর ভিত্তি করে ভারত গড়ে উঠেছে। বহুত্ববাদ, সমান অধিকারের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ন্যাশনালিজমের নামে এটা ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। আমি এর বিরুদ্ধে লড়ছি। আমি লড়ছি ওই ৭০ জন শিশুর জন্য যারা ওই দিন মারা গিয়েছিল। যে ৮ লক্ষ শিশু প্রতি বছর মারা যায়, আমি তাদের জন্যেও লড়ছি।"

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঙ্গলবার ৯ জুলাই ডাক্তার কাফিল খানের দেখা হওয়ার কথা। তিনি সাসপেন্ডেড ডাক্তার। পশ্চিমবঙ্গেও গত কয়েক বছরে অনেক ডাক্তারকে সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছে। তাঁদের কথাও কি মুখ্যমন্ত্রীকে বলবেন তিনি? ডাক্তার কাফিল খান বলেন, "সরকার অথবা, যে কোনও কারও কাছে যাঁরা অত‍্যাচারের শিকার হয়েছেন, তাঁদের সকলের কথাই তাঁর সব শক্তি দিয়ে তিনি বলবেন।" NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারদের উপর আক্রমণ এবং তার পরে কর্মবিরতি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ডাক্তারদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ঘটনা বিরুদ্ধে আমি। তবে ডাক্তারদের কর্মবিরতিকে তিনি সমর্থন করি না।" তাঁকে যখন অভিযুক্ত করা হয়েছিল শিশুমৃত্যুর ঘটনায়, তখন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) তাঁর পক্ষে এগিয়ে আসেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটি মেইল তিনি পেয়েছেন। যেখানে আগামী ১০ জুলাই IMA-র সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা।



Conclusion:ডাক্তার কাফিল খান বলেন, "আমি রিয়ালাইজ করেছি, গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিকেল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে ৭০টি শিশুমৃত্যুর ট্রাজেডি ভগ্ন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নির্মম মুখ। এটা ঠিক হওয়া প্রয়োজন। ডাক্তার, আইনজীবী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২৫ জন স্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মীকে নিয়ে, সকলের জন্য স্বাস্থ্য-র প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।" তিনি এমন তথ্য জানতে পেরেছেন যেখানে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ভারতে ২,২০০ শিশুর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, "আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য বীমা যোজনায় ১০ কোটি পরিবারের ৫০ কোটি মানুষের জন্য প্রতিবছর ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদি কোন পরিবারের জন্য কুড়ি হাজার টাকা খরচ হয় তাহলে ১০ কোটি পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ কোটি টাকার প্রয়োজন।" কিন্তু, বাজেটে এই টাকারও এখনও সংস্থান হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে জিডিপির ৬-৮ শতাংশ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে খরচ করা হয়, সেখানে ভারতে খরচ করা হয় ১.২ শতাংশ।
_______
Last Updated : Jul 9, 2019, 7:39 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.