নিউটাউন, 18 এপ্রিল: পরপর নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, হতাশা তৈরি হয়েছে ৷ তবে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সমস্যা মেটাতে হবে ৷ মত বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh on Anupam Hazra's comment)৷ বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা ফেসবুকে রাজ্য বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছিলেন ৷ তাঁকে আজ সমর্থনের সুর শোনা যায় দিলীপর গলায় ৷ এ দিকে, বালিগঞ্জে উপনির্বাচনে সিপিআইএম-এর ভোট শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও দিলীপের দাবি, সংখ্যালঘুরা শাসক দলকে হুমকি দিতেই বামেদের ভোট দিয়েছে ৷ তবে বাংলার মানুষ প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বেছে নিয়েছে বিজেপিকেই ৷
সোমবার নিউটাউনে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh reacts on Anupam Hazra's comment)৷ বিজেপি নেতাদের ইস্তফা প্রসঙ্গে অনুপম হাজরার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে দিলীপ বলেন, "তিনি ঠিকই বলেছেন ৷ কেন্দ্রের তরফে তিনি পরামর্শ দেবেন ৷ কী হচ্ছে তার ফিডব্যাক কেন্দ্রকে দেবেন ৷ যাঁরা লোকসভা বিধানসভার আগে দলে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেক বড় নেতাও আছেন ৷ অনেকে ভেবেছিলেন পার্টি জিতে যাবে ৷ তবে তা হয়নি ৷ সরকারও গড়তে পারেনি ৷ সেই জন্য অনেকে কনফিউজড (Bengal BJP leadership )৷ একে অপরকে দোষ দিচ্ছেন ৷ আমার মনে হয় নিজের দায়িত্ব পালন করা উচিত ৷ পরিস্থিতি যখন প্রতিকূল হয় তখন লড়াই করাটা আসল নেতার কাজ ৷ অন্যকে দোষ দিয়ে পালিয়ে যাওয়া কোনও নেতার কাজ নয় ৷ পুরনো কর্মীরা যে কোনও কারণে হোক নিষ্ক্রিয় আছেন ৷ তাঁদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে । সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে ৷ তাই তাঁরা নিষ্ক্রিয় আছেন ৷ যথা সময়ে তাঁরা ঠিক পার্টির দায়িত্ব নিয়ে পার্টিকে দাঁড় করাবেন ।"
আরও পড়ুন: Didi Ke Bolo-2 : তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী মমতার শপথ গ্রহণের বর্ষপূর্তিতে চালু হচ্ছে দিদিকে বলো-2
বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তীকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তলব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, "দুই জায়গায় উপনির্বাচন হয়ে গেল ৷ ছয় মাস ধরে নির্বাচন চলছে ৷ নির্বাচনে আমরা যেমন আশা করেছিলাম তেমন রেজাল্ট হয়নি এখানে যেমন আলোচনা করা উচিত কেন্দ্রের কাছেও সেই ফিডব্যাক থাকা উচিত ৷ মূল সমস্যাটা কোথায় সেটা খুঁজে বের করে সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে ।"
দিলীপের কথায়, "ছন্নছাড়া ভাব দেখলাম বিজেপির মধ্যে ৷ কোথাও সঙ্ঘবদ্ধ দেখলাম না ৷ নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে । বালিগঞ্জে মুসলিম সমাজ তৃণমূলের উপর অসন্তুষ্ট ৷ অতি সম্প্রতি যে যে ঘটনা ঘটেছে মুসলমানদের উপরে, সেই নিয়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ ছিলেন ৷ তৃণমূলকে একটু সচেতন করতেই কিছু মুসলিম সিপিএম-কে ভোট দিয়েছে ৷ এটা তাদের এক প্রকার প্রচ্ছন্ন হুমকি ৷ বাংলার রাজনীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি ৷ সাধারণ মানুষ এখন তৃণমূলকে ভোট দিয়ে পরিতাপ করছে ৷ তারা আর সিপিএমের দিকে তাকাবেই না ৷ বিজেপিকেই তারা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ৷ আমরা সেই দায়িত্ব পালন করে মানুষের জন্য লড়াই করছি ৷"
আরও পড়ুন: Anupam Hazra : ফেসবুক পোস্টে বাবুলকে কটাক্ষ অনুপম হাজরার, পাল্টা প্রাক্তন সাংসদের