কলকাতা , 25 ফেব্রুয়ারি : 28 তারিখ ওড়িশায় অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ সেজন্য ইতিমধ্যেই ওড়িশা রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক ইশুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গেল BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায় ৷ বললেন "রাজ্যে CAA বিরোধী আন্দোলন ফ্লপ ৷ চিঠিপত্র পাঠিয়েও কাজ হচ্ছে না ৷ তাই হয়ত অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ হয়ত অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে নমস্কার করে আসবেন৷"
মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গেলেও যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি ইতিবাচক বলেই মনে করছেন দিলীপবাবু ৷ তাঁর কথায়, "স্বচ্ছ-সুন্দর প্রশাসনের জন্য দুই সরকারের মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার ৷ অমিতজির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকে আমরা খারাপভাবে দেখছি না ৷ এটা ইতিবাচক দিক ৷ রাজ্যের জন্য এই পদক্ষেপ ভালো ৷"
অন্যদিকে, যাদবপুরের নির্বাচন নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মন্তব্য ইশুতে দিলীপ ঘোষ বলেন , "তিনি বাংলার সাংবিধানিক প্রধান । যাদবপুর উদাহরণ হওয়া উচিত । নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে ধরনের ঘটনা ঘটে তা এবার হয়নি । তাই যাদবপুর উদাহরণ হওয়া উচিত। যদি হিংসা না হয় তা হলে TMC-এর কী অবস্থা হয়, সেটা যাদবপুর দেখে বোঝা গিয়েছে। অহিংস পথে নির্বাচন আশা করা যায় না । এতে মনে হয় TMC খুশি হয়নি ।"
পাশাপাশি, দিল্লিতে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "জামিয়া মিলিয়ায় পুলিশ ঢুকিয়ে অত্যাচার করা হয়েছিল, তখন সেখান থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । সাধারণ ছাত্রদের উপর অত্যাচারের জন্য সারা দেশ তোলপাড় হয়েছিল। গণতন্ত্র হত্যা করা হচ্ছে বলে সারা দেশ তোলপাড় হয়েছিল । আর আজ যখন উৎপাত হচ্ছে, আগুন জ্বলছে । তখন বলছে প্রশাসন কোথায় ? সরকার অনেক সহ্য করেছে । যারা দুস্কৃতী, বিদেশের পয়সায় বিরিয়ানি খেয়ে উৎপাত করছে, দেশের সুনাম নষ্ট করছে, তাদের সহ্য করেছে আমাদের সরকার। কিন্তু কংগ্রেস সরকারের আমলে পুলিশ পাঠিয়ে রামদেব বাবাসহ মহিলা পুলিশকে আধমরা করেছিল । এই সরকার পুলিশ পাঠিয়ে তা করতে পারত । কিন্তু, এই সরকার তা করেনি । এটাকে হাতিয়ার করে বলা হচ্ছে প্রশাসন নেই। আর যদি কড়া পদক্ষেপ নেয় তা হলে বিরোধীরা বলছে গণতন্ত্র নেই । বিরোধীরা ঠিক করুন কার দিকে থাকবেন । "