কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতির জন্য বাংলায় শিক্ষা এখন অশিক্ষায় পরিণত হয়েছে ৷ শনিবার এই ভাষাতেই তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ৷ তাঁর আরও অভিযোগ, তৃণমূল আমলে বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রো তোলাবাজি ও কাটমানির রাজত্ব চলছে (Dharmendra Pradhan on recruitment scam issue) ৷ রাজ্যে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে যে বড় দুর্নীতি ধরা পড়েছে, ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি এর তদন্ত করে সব খুঁজে বের করবে ও দোষীদের শাস্তি দেবে ৷"
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে সিবিআই, ইডি'র মতো সংস্থাগুলি রাজ্যে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ঘটনার তদন্ত করছে ৷ ইতিমধ্যেই এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি ৷ গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ আরও অনেকে ৷ এই প্রসঙ্গ টেনে এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আরও অনেক বড় নাম আসবে সিবিআই এর স্ক্যানারের নীচে, এখন এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মিডলম্যানদের ধরা হচ্ছে ৷"
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধর্মেন্দ্র প্রধান এদিন বলেন, "নিয়োগ দুর্নীতি, মিড-ডে মিল দুর্নীতি, তোলাবাজি করে টাকা তোলা এইসবই করছে তৃণমূল ৷ একদা যে বাংলা দেবী সরস্বতীর ভূমি বলে পরিচিত ছিল সেই রাজ্যের অবস্থা দেখলে এখন দুঃখ হয় ৷" তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর এই মন্তব্যগুলির প্রেক্ষিতে তাঁকে পালটা আক্রমণ করেছে রাজ্যের শাসকদল (Bengal teacher recruitment scam) ৷
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে শিক্ষক-অভিনেতা শাহিদ ইমামকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রসঙ্গ টানেন ৷ তিনি বলেন, "রাজ্যে কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে, তার সত্যি বেরিয়ে আসুক সেটা তৃণমূলও চায় ৷ আমরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করছি ৷ সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ৷ কিন্তু বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি প্রসঙ্গে ধর্মেন্দ্র প্রধান চুপ কেন ? ভারত ও বিশ্বে বাংলার ছাত্র ও শিক্ষকদের মেধা প্রশংসিত, এই নিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধানরা কিছু বলেন না ৷"