ETV Bharat / state

আচার্য-উপাচার্য যোগসূত্রে সমস্যা, যাদবপুর নিয়ে ফের টুইট রাজ্যপালের - আচার্য ও উপাচার্যর যোগাযোগ থাকে সচিবালয়ের মাধ্যমে

রাজ্যপাল টুইট করে লেখেন , 'আচার্য ও উপাচার্যর যোগাযোগ থাকে সচিবালয়ের মাধ্যমে । কিন্তু সেখানেই কিছু বাধা তৈরি হয়েছে । তাই আচার্যের সঙ্গে তাঁদের নির্ভীক কথোপকথন সম্ভব হচ্ছে না । যা হচ্ছে তা অসংবিধানিক । সবাইকে এর বিরোধিতা করে এগিয়ে আসতে হবে । '

rajyapal
রাজ্যপাল
author img

By

Published : Dec 22, 2019, 1:58 PM IST

Updated : Dec 22, 2019, 3:42 PM IST

কলকাতা , 22 ডিসেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন ইশুতে ফের টুইট করলেন জগদীপ ধনকড় । তাঁর মতামত না নিয়েই EC বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্ত কীভাবে নিল এই নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি । এবার সরাসরি উপাচার্য-আচার্য যোগসূত্র নিয়ে কথা বললেন ।

তিনি টুইট করে লেখেন , 'আচার্য ও উপাচার্যর যোগাযোগ থাকে সচিবালয়ের মাধ্যমে । কিন্তু সেখানেই কিছু বাধা তৈরি হয়েছে । তাই আচার্যের সঙ্গে তাঁদের নির্ভীক কথোপকথন সম্ভব হচ্ছে না । যা হচ্ছে তা অসংবিধানিক । সবাইকে এর বিরোধিতা করে এগিয়ে আসতে হবে । '

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত প্রসঙ্গে গতকাল অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল । তিনি বলেন, "রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যত জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে । " সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর প্রশ্ন, "আচার্যের অনুমতি না নিয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নিতে পারে কি ?" রাজ্যপালের অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপেই উপাচার্যকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ।

সমাবর্তনের দিন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রবল ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড় । সেই আশঙ্কা করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে । অনুষ্ঠানে ছাত্র সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হতে পারে আশঙ্কা রয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যপালের বিভিন্ন কাজকর্ম ও মন্তব্যে গত কয়েক মাসে এটা স্পষ্ট যে, তিনি BJP ও RSS-এর হয়ে কাজ করছেন । সেই সূত্রেই 24 ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল কয়েকটি ছাত্র সংগঠন । তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হবে । কারণ বিশেষ পর্বে সাম্মানিক ডিলিট এবং DSC প্রাপকদের ডিগ্রি দিয়ে থাকেন আচার্য তথা রাজ্যপাল । এ বার সাম্মানিক ডিলিট পেতেন শঙ্খ ঘোষ এবং প্রাক্তন বিদেশসচিব সলমন হায়দার । DSC পেতেন বিজ্ঞানী সিএনআর রাও এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্ত্রী সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে ।

2014 সালে 'হোক কলরব' আন্দোলনের সময়ও সমবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের হাত থেকে ডিগ্রি নিতে অস্বীকার করেন এক ছাত্রী । সেবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে । সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজ্যপালকে এড়িয়ে সমবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা । যদিও মঙ্গলবার সমবর্তন অনুষ্ঠানের আগে সোমবার আরও একটি বৈঠক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে হবে । আজ রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সমাবর্তন স্থগিতের সিদ্ধান্তে তাঁর সমর্থন নেই । এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান পেছানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা হল। সিদ্ধান্ত উপাচার্যকে জানানো হয়েছে । শিক্ষার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নিলাম।" যাদবপুরের প্রাক্তন উপাচার্য বলেন , 24 ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয় । কিন্তু এরকম ঘটনা এইবারই প্রথম ।

কলকাতা , 22 ডিসেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন ইশুতে ফের টুইট করলেন জগদীপ ধনকড় । তাঁর মতামত না নিয়েই EC বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্ত কীভাবে নিল এই নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি । এবার সরাসরি উপাচার্য-আচার্য যোগসূত্র নিয়ে কথা বললেন ।

তিনি টুইট করে লেখেন , 'আচার্য ও উপাচার্যর যোগাযোগ থাকে সচিবালয়ের মাধ্যমে । কিন্তু সেখানেই কিছু বাধা তৈরি হয়েছে । তাই আচার্যের সঙ্গে তাঁদের নির্ভীক কথোপকথন সম্ভব হচ্ছে না । যা হচ্ছে তা অসংবিধানিক । সবাইকে এর বিরোধিতা করে এগিয়ে আসতে হবে । '

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত প্রসঙ্গে গতকাল অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল । তিনি বলেন, "রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যত জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে । " সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর প্রশ্ন, "আচার্যের অনুমতি না নিয়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নিতে পারে কি ?" রাজ্যপালের অভিযোগ, রাজনৈতিক চাপেই উপাচার্যকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ।

সমাবর্তনের দিন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রবল ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড় । সেই আশঙ্কা করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে । অনুষ্ঠানে ছাত্র সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হতে পারে আশঙ্কা রয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যপালের বিভিন্ন কাজকর্ম ও মন্তব্যে গত কয়েক মাসে এটা স্পষ্ট যে, তিনি BJP ও RSS-এর হয়ে কাজ করছেন । সেই সূত্রেই 24 ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল কয়েকটি ছাত্র সংগঠন । তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হবে । কারণ বিশেষ পর্বে সাম্মানিক ডিলিট এবং DSC প্রাপকদের ডিগ্রি দিয়ে থাকেন আচার্য তথা রাজ্যপাল । এ বার সাম্মানিক ডিলিট পেতেন শঙ্খ ঘোষ এবং প্রাক্তন বিদেশসচিব সলমন হায়দার । DSC পেতেন বিজ্ঞানী সিএনআর রাও এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্ত্রী সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে ।

2014 সালে 'হোক কলরব' আন্দোলনের সময়ও সমবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের হাত থেকে ডিগ্রি নিতে অস্বীকার করেন এক ছাত্রী । সেবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে । সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজ্যপালকে এড়িয়ে সমবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা । যদিও মঙ্গলবার সমবর্তন অনুষ্ঠানের আগে সোমবার আরও একটি বৈঠক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে হবে । আজ রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সমাবর্তন স্থগিতের সিদ্ধান্তে তাঁর সমর্থন নেই । এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান পেছানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা হল। সিদ্ধান্ত উপাচার্যকে জানানো হয়েছে । শিক্ষার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নিলাম।" যাদবপুরের প্রাক্তন উপাচার্য বলেন , 24 ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয় । কিন্তু এরকম ঘটনা এইবারই প্রথম ।

Nagpur (Maharashtra), Dec 22 (ANI): To counter ongoing protests across the country, a massive rally was organised in support of Citizenship Amendment Act (CAA) in Maharashtra's Nagpur on December 22. The rally was organised by Lok Adhikar Manch, Bharatiya Janata Party (BJP), Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS) and other organisations. The rally began from Yashwant Stadium in Nagpur. President Ram Nath Kovind gave his assent to the Citizenship Amendment Bill (CAB) on December 13 which will give Indian citizenship to non-Muslim immigrants who faced persecution in three neighbouring countries-Pakistan, Bangladesh and Afghanistan.
Last Updated : Dec 22, 2019, 3:42 PM IST

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.