কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: পুজোর মুখে শহরে ক্রমশ সংকটপূর্ণ হয়ে উঠছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি । আর সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার উত্তর থেকে দক্ষিণে গেলেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ । এদিন যাদবপুরের কৃষ্ণা গ্লাস ফ্যাক্টরি, বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, বিজয়গড় হাসপাতাল ঘুরে দেখেন তিনি । সঙ্গে ছিলেন ভেক্টর কন্ট্রোল টিম । ড্রোন চালিয়ে বিভিন্ন আবর্জনাময় এলাকায় কীটনাশক স্প্রে করেন তাঁরা । সেখানেই বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে অতীন ঘোষ জানতে পারেন হাসপাতাল সুপার দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে আসেন না ।
শুধু তাই নয়, সকাল থেকে একাধিকবার তাঁকে পৌর স্বাস্থ্যকর্তারা ফোন করলেও তোলেননি । আর তাতেই বেজায় চটেছেন স্বাস্থ্যবিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পরিষদ সদস্য ও কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ । তিনি বলেন, চারদিকে এমন ডেঙ্গি পরিস্থিতি তার মধ্যে দীর্ঘদিন সুপার হাসপাতালে আসেন না । আমি ডিরেক্টর অব হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে বিষয়টা জানাচ্ছি ।"
এদিন যাদবপুর এলাকার কৃষ্ণা গ্লাস ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত জমিতে যান অতীন ঘোষ । সঙ্গে ছিলেন ভেক্টর কন্ট্রোল আধিকারিকরা ও স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা । প্রায় 12 বিঘা জমি পড়ে আছে । এই জমি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্প পুনর্গঠন নিগমের । এখানে ড্রোনের মাধ্যমে আবর্জনা স্তূপের উপর মশা বিনাশক ওষুধ স্প্রে করা হয় । এরপরেই সেখান থেকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যান তাঁরা । আশপাশের গোটা এলাকা ও শ্রমিক আবাস চত্বর ঘুরে দেখেন । সেখানেই দেখতে পান মশার লার্ভা ৷ যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন ডেপুটি মেয়র ৷ বিজয়গড় হাসপাতালেও যান ।
অতীন ঘোষ এদিন জানান, হাসপাতাল, শ্রমিক আবাসন এলাকা স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়ে পরিষ্কার করেছেন । তবে এই হাসপাতালের যিনি সুপার তাঁকে পাওয়া যায় না । আমি তাঁর বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যভবনে অভিযোগ জানাব । তিনি বেশিরভাগ সময় আসেন না । সহকারী সুপার সক্রিয় । সুপার নিয়মিত না এসেও ওই পদে আছেন । স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব এমন সময় সুপার না এলে তো পরিষেবা দিতে সমস্যা তৈরি হবে । শ্রমিক আবাসন সমস্যা ছিল সেটা পরিষ্কার করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে রেলকে কাঠগড়ায় তুলল দক্ষিণ দমদম পৌরসভা