ETV Bharat / state

প্রতারককে অপহরণের ঘটনায় ধৃত BSF জওয়ানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত - জওয়ান

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটা অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জওয়ানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে BSF ৷ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে ধৃত কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানাল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ৷ প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে এই বিষয়ে তথ্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা ৷

বিভাগীয় তদন্ত
author img

By

Published : Oct 12, 2019, 8:47 PM IST

Updated : Oct 12, 2019, 11:33 PM IST

কলকাতা, 12 অক্টোবর : অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জওয়ানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে BSF ৷ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে ধৃত কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানাল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ৷ প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে এই বিষয়ে তথ্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা ৷ এই অপহরণের ঘটনায় সার্ভিস রাইফেল অভিযুক্ত BSF কর্মী আমির হোসেন ব্যবহার করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে ৷ কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের কনস্টেবলের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত হবে ৷ রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে সূত্রের খবর ৷

বাহিনীর কোনও সদস্য যদি কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ে কিংবা গ্রেপ্তার হয়, সেক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্ত হওয়াটাই নিয়ম ৷ অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ গুরুতর ৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোনওভাবেই জওয়ানকে ছাড়া হবে না ৷ অন্যদিকে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সাম্প্রতিক এক ক্রাইম মিটিংয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়া পুলিশকর্মীদের রেওয়াত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ৷ মুচিপাড়া থানা এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ও এক কনস্টেবলের নাম জড়িয়েছিল ৷ ইতিমধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ সেই মামলায় চার্জশিটও জমা পড়েছে ৷

প্রকাশ্যে কলকাতার ই-মলের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার একজনকে অপহরণ করা হয় । একটি বোলেরো গাড়িতে জোর করে একজনকে তুলে নিয়ে যেতে দেখে 100 নম্বরে পুলিশকে ফোন করেন এক ব্যক্তি । সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় পুলিশ । ই-মলের সামনেই রয়েছে ট্রাফিক বিভাগের CCTV ক্যামেরা । দ্রুত সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয় গাড়িটি । আর সেই সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে পুরো গল্প । ঘটনায় তিন পুলিশকর্মী, এক BSF জওয়ান সহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । অভিযোগ, এই অপহরণে নিজেদের সরকারি পরিচয় এবং সার্ভিস আর্মসের অপব্যবহার করেছে ওই চারজন ।

আরও পড়ুন : ই-মলের সামনে অপহরণ, পুলিশ ও BSF কর্মী সহ গ্রেপ্তার 7

লালবাজার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটে অপহরণের ঘটনা । জানা গেছে, সৌমেন বসু নামে এক ব্যক্তি সরকারি চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক কোটি টাকা তুলেছিল বেকার যুবকদের কাছ থেকে । বারবার বলা সত্ত্বেও সৌমেন টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছিল না । প্রতারিতদের মধ্যে একজন অভিজিৎ ঘোষ । তার দাবি, চাকরির জন্য সৌমেনকে এক কোটি টাকা দিয়েছিল সে । বারবার বলা সত্ত্বেও টাকা ফেরায়নি সৌমেন । তখন অভিজিৎ অপহরণের ছক কষে । উদ্ধার হওয়া টাকার ৪০ শতাংশ দেওয়ার কথা বলে অভিজিৎ দলে নেয় তিন পুলিশকর্মী এবং এক BSF জওয়ানকে । ওই তিন পুলিশকর্মীর মধ্যে দু'জন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের সদস্য । তাদের নাম শ্যামল মণ্ডল এবং জাকির খান । অন্যজন মহম্মদ হানিফ । তিনি রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য । এই দলে যোগ দেয় BSF জওয়ান আমির হোসেন । দলে ছিল মনজারুল হক নামে আরও একজন । এই দলটি অভিজিতের নেতৃত্বে ই-মলের সামনে থেকে অপহরণ করে সৌমেনকে ।

কলকাতা পুলিশ ওই বোলেরো গাড়ির নম্বর প্লেট দেখে বুঝতে পারে সেটি বীরভূমের । সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বীরভূম জেলা পুলিশকে । বীরভূমের জেলা পুলিশ এই সূত্র ধরে গতরাতে নাকা চেকিং চালায় । আর তাতেই উদ্ধার করা হয় অপহৃত সৌমেনকে । ঘটনায় গাড়ির চালকসহ 7 অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে লাভপুর থানার পুলিশ । তাদের আনা হয় বউবাজার থানায় । ঘটনায় সৌমেনের বিরুদ্ধেও একটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ । মূলত চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।

ধৃতদের জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ । জানা গেছে, এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল দুর্গাপুজোর আগেই । দুর্গাপুজোর সময় পুলিশের নজরদারি অনেক বেশি থাকে বলে, ঠিক হয় অপহরণ করা হবে দুর্গাপুজো মিটে গেলেই । সেই মতোই অপহরণ করা হয় দ্বাদশীর দিন ।

কলকাতা, 12 অক্টোবর : অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জওয়ানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে BSF ৷ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে ধৃত কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানাল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ৷ প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে এই বিষয়ে তথ্য নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা ৷ এই অপহরণের ঘটনায় সার্ভিস রাইফেল অভিযুক্ত BSF কর্মী আমির হোসেন ব্যবহার করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে ৷ কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের কনস্টেবলের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত হবে ৷ রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে সূত্রের খবর ৷

বাহিনীর কোনও সদস্য যদি কোনও অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ে কিংবা গ্রেপ্তার হয়, সেক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্ত হওয়াটাই নিয়ম ৷ অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ গুরুতর ৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোনওভাবেই জওয়ানকে ছাড়া হবে না ৷ অন্যদিকে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সাম্প্রতিক এক ক্রাইম মিটিংয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়া পুলিশকর্মীদের রেওয়াত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ৷ মুচিপাড়া থানা এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ও এক কনস্টেবলের নাম জড়িয়েছিল ৷ ইতিমধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ সেই মামলায় চার্জশিটও জমা পড়েছে ৷

প্রকাশ্যে কলকাতার ই-মলের সামনে থেকে বৃহস্পতিবার একজনকে অপহরণ করা হয় । একটি বোলেরো গাড়িতে জোর করে একজনকে তুলে নিয়ে যেতে দেখে 100 নম্বরে পুলিশকে ফোন করেন এক ব্যক্তি । সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় পুলিশ । ই-মলের সামনেই রয়েছে ট্রাফিক বিভাগের CCTV ক্যামেরা । দ্রুত সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয় গাড়িটি । আর সেই সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে পুরো গল্প । ঘটনায় তিন পুলিশকর্মী, এক BSF জওয়ান সহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । অভিযোগ, এই অপহরণে নিজেদের সরকারি পরিচয় এবং সার্ভিস আর্মসের অপব্যবহার করেছে ওই চারজন ।

আরও পড়ুন : ই-মলের সামনে অপহরণ, পুলিশ ও BSF কর্মী সহ গ্রেপ্তার 7

লালবাজার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটে অপহরণের ঘটনা । জানা গেছে, সৌমেন বসু নামে এক ব্যক্তি সরকারি চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েক কোটি টাকা তুলেছিল বেকার যুবকদের কাছ থেকে । বারবার বলা সত্ত্বেও সৌমেন টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছিল না । প্রতারিতদের মধ্যে একজন অভিজিৎ ঘোষ । তার দাবি, চাকরির জন্য সৌমেনকে এক কোটি টাকা দিয়েছিল সে । বারবার বলা সত্ত্বেও টাকা ফেরায়নি সৌমেন । তখন অভিজিৎ অপহরণের ছক কষে । উদ্ধার হওয়া টাকার ৪০ শতাংশ দেওয়ার কথা বলে অভিজিৎ দলে নেয় তিন পুলিশকর্মী এবং এক BSF জওয়ানকে । ওই তিন পুলিশকর্মীর মধ্যে দু'জন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের সদস্য । তাদের নাম শ্যামল মণ্ডল এবং জাকির খান । অন্যজন মহম্মদ হানিফ । তিনি রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য । এই দলে যোগ দেয় BSF জওয়ান আমির হোসেন । দলে ছিল মনজারুল হক নামে আরও একজন । এই দলটি অভিজিতের নেতৃত্বে ই-মলের সামনে থেকে অপহরণ করে সৌমেনকে ।

কলকাতা পুলিশ ওই বোলেরো গাড়ির নম্বর প্লেট দেখে বুঝতে পারে সেটি বীরভূমের । সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বীরভূম জেলা পুলিশকে । বীরভূমের জেলা পুলিশ এই সূত্র ধরে গতরাতে নাকা চেকিং চালায় । আর তাতেই উদ্ধার করা হয় অপহৃত সৌমেনকে । ঘটনায় গাড়ির চালকসহ 7 অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে লাভপুর থানার পুলিশ । তাদের আনা হয় বউবাজার থানায় । ঘটনায় সৌমেনের বিরুদ্ধেও একটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ । মূলত চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।

ধৃতদের জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ । জানা গেছে, এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল দুর্গাপুজোর আগেই । দুর্গাপুজোর সময় পুলিশের নজরদারি অনেক বেশি থাকে বলে, ঠিক হয় অপহরণ করা হবে দুর্গাপুজো মিটে গেলেই । সেই মতোই অপহরণ করা হয় দ্বাদশীর দিন ।

Intro:কলকাতা, ১২ অক্টোবর: অপরাধে জড়িয়ে পড়া জওয়ানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে BSF। প্রতারনায় অভিযুক্তকে অপহরণের অভিযোগে ধৃত কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দিল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে নেওয়া হবে এই বিষয়ে তথ্য। নিজের সরকারি অস্ত্র এই অপহরণে অভিযুক্ত বিএসএফ কর্মী আমির হোসেন ব্যবহার করেছেন কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের কনস্টেবলের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে সূত্রের খবর।Body:বাহিনীর কোন সদস্য যদি কোন অপরাধমূলক কাজকর্ম জড়িয়ে পড়ে কিংবা গ্রেপ্তার হয়, সে ক্ষেত্রে বিভাগীয় তদন্ত হওয়াটাই রীতি। এই অপহরণের ঘটনায় অভিযোগ গুরুতর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কোনোভাবেই জওয়ানকে ছাড়া হবে না বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সাম্প্রতিক এক ক্রাইম মিটিংয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়া পুলিশকর্মীদের রেওয়াত করা হবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। মুচিবাজার থানা এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং ডাকাতির ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এক আসিস্টেন্ট সাব-ইন্সপেক্টর এবং এক কনস্টেবলের নাম জড়িয়ে ছিল। ইতিমধ্যেই তাদের পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। সেই মামলার চার্জশিটও জমা পড়েছে।


প্রকাশ্যে দিনের আলোয় কলকাতার ই-মলের সামনে থেকে তুলে নেওয়া হয় জ্বলজ্যান্ত একজনকে। একটি বোলেরো গাড়িতে জোর করে একজনকে তুলে নিয়ে যেতে দেখে 100 ডায়ালে ফোন করেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় পুলিশ। ইমলের সামনেই রয়েছে ট্রাফিক বিভাগের CCTV ক্যামেরা। দ্রুত সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হয় গাড়িটি। আর সেই সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে পুরো গল্প। ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মী, এক বিএসএফ জওয়ান সহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ, নিজেদের সরকারি পরিচয় এবং সার্ভিস রিভলবার এই অপহরণে অপব্যবহার করেছে ওই চারজন।

লালবাজার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটে এই অপহরণের ঘটনা। জানা গেছে, সৌমেন বসু নামে এক ব্যক্তি সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল বেকার যুবকদের থেকে। কিন্তু সেই চাকরি আর তারা পায়নি। বারবার বলা সত্ত্বেও সৌমেন টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছিল না। প্রতারিতদের মধ্যে একজন অভিজিৎ ঘোষ। তার দাবি, সৌমেনকে এক কোটি টাকা চাকরির জন্য গিয়েছিল সে। বারবার বলা সত্ত্বেও টাকা ফেরায়নি সৌমেন। তখন অভিজিৎ অপহরণের ছক কষে। উত্তর হওয়া টাকার ৪০ দেওয়ার কথা বলে সেই অপহরণের জন্য দলে নেয় তিন পুলিশকর্মী এবং এক বিএসএফ জওয়ানকে। ওই তিন পুলিশ কর্মীর মধ্যে দুজন কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের সদস্য। তাদের নাম শ্যামল মন্ডল এবং জাকির খান। অন্যজন মহম্মদ হানিফ। তিনি রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য। এই দলে যোগ দেয় BSF জওয়ান আমির হোসেন। দলে ছিল মনজারুল হক নামে আরেকজন। এই দলটি গতকাল অভিজিতের নেতৃত্বে ইমলের সামনে থেকে অপহরণ করে সৌমেনকে।
Conclusion:কলকাতা পুলিশ ওই বোলেরো গাড়ির নাম্বার প্লেট দেখে বুঝতে পারে, সেটি বীরভূমের। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বীরভূম জেলা পুলিশকে। বীরভূমের জেলা পুলিশ এই সূত্রে গতরাতে নাকা চেকিং চালায়। আর তাতেই উদ্ধার করা হয় অপহৃত সৌমেনকে। ঘটনায় গাড়ির চালকসহ 7 অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে লাভপুর থানার পুলিশ। তাদের আনা হয় বউবাজার থানায়। ঘটনায় সৌমেনের বিরুদ্ধেও একটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। মূলত চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ধৃতদের জেরা করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল দুর্গা পুজোর আগেই। দুর্গাপূজার সময় পুলিশের নজরদারি অনেক বেশি থাকে বলে, ঠিক হয় অপহরণ করা হবে দুর্গাপুজো মিটে গেলেই। সেই মতোই অপহরণ করা হয় দ্বাদশীর দিন।
Last Updated : Oct 12, 2019, 11:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.