নয়াদিল্লি, 8 মার্চ: অনুব্রত এখন দিল্লিতে ৷ মঙ্গলবার গভীর রাতে দিল্লির একটি বিশেষ আদালত তাঁকে 10 মার্চ পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ৷ বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার আইনজীবী মুদিত জৈন একটি সংবাদসংস্থাকে বলেন, "তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে 10 মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ৷" গরুপাচার কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বোলপুরে তাঁর বাড়ি থেকে গত বছর সিবিআই কেষ্টকে গ্রেফতার করে ৷ এরপর তাঁর ঠিকানা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই সংশোধনাগার ৷ সেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পরে হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে (Delhi Court sends TMC's Anubrata Mondal to ED custody till March 10) ৷
এদিন আইনজীবী আরও বলেন, "এই মামলার (গরুপাচার) সঙ্গে আমার মক্কেলের কোনও যোগাযোগ নেই ৷ আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না ৷ আদালতে এই সওয়াল-জবাব করেছিলাম ৷ ইডি জানায়, ফের তদন্তের জন্য অনুব্রতকে হেফাজতে নিতে হবে ৷ দ্বিতীয়ত, গরুপাচারের টাকা কীভাবে কোথায় গিয়েছে, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ইডি 14 দিনের হেফাজত চেয়েছিল ৷ কিন্তু বিচারক রাকেশ কুমার তদন্তকারী সংস্থাকে 10 মার্চ অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতের সামনে পেশ করার নির্দেশ দেন ৷"
দীর্ঘ টালবাহানার পর সোমবার আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতের হস্তক্ষেপে ইডি যাত্রার জটিলতা কেটে যায় ৷ মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কলকাতা নিয়ে যায় ৷ সেখানে ইএসআই জোকা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেয় পুলিশ ৷ সন্ধ্যার বিমানে তিনি দিল্লি রওনা হন ৷ প্রসঙ্গত 24 জানুয়ারি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলের জামিন খারিজ করে দেয় ৷ এরপর ফের ইডি তাঁকে দিল্লি নিয়ে এসে জেরা করার প্রক্রিয়া শুরু করে ৷ দিল্লির তিহার জেলেই রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন রয়েছেন ৷ তাঁর বিরুদ্ধেও গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ৷
আরও পড়ুন: আদালতের হস্তক্ষেপে কাটল জট, শীঘ্রই দিল্লি যাচ্ছেন কেষ্ট