ETV Bharat / state

চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু, 5 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

author img

By

Published : Dec 3, 2019, 12:01 AM IST

চিকিৎসক শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে 2018 সালের 18 মার্চ ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় অনিন্দিতা মণ্ডলকে । এরপর 19 মার্চ তাঁর গলব্লাডার স্টোন অপারেশন হয় । পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময়ই চরম গাফিলতি করেন ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক । 8টা পাথর বের করার পাশাপাশি অপারেশনের সময় পিত্তথলিতে ছিদ্র হয়ে যায় । কিন্তু তা জানানো হয়নি অনিন্দিতা মণ্ডলের বাড়ির লোকদের ।

highcourt
হাইকোর্ট

কলকাতা, 2 ডিসেম্বর : চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যু । মুকুন্দপুরের আর এন টেগোর হাসপাতালকে 5 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ বহাল রাখলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য । আগামী 15 দিনের মধ্যে মৃত অনিন্দিতা মণ্ডলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট ।

মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, চিকিৎসক শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে 2018 সালের 18 মার্চ ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় অনিন্দিতা মণ্ডলকে । এরপর 19 মার্চ তাঁর গলব্লাডার স্টোন অপারেশন হয় । পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময়ই চরম গাফিলতি করেন ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক । অস্ত্রোপচারের পর 8টা পাথর বের করা হয় ।

দুদিন পর ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক অনিন্দিতা মণ্ডলের পরিবারকে জানান যে তাঁর সমস্ত শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে ৷ ফলে আরও দুটি অস্ত্রোপচার করাতে হবে । এর পর অস্ত্রোপচার হয়েছে কি না তা অনিন্দিতার বাড়ির লোককে জানানো হয়নি । হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় অনিন্দিতার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে । এরপর একমাস ওই হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিলেন অনিন্দিতা মণ্ডল । 20 এপ্রিল সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর ।

এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোকেরা । পূর্ব যাদবপুর থানায় চিকিৎসক শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিয়োগ দায়ের করা হয় । মৃতার বাবা রাজেশ মণ্ডলের অভিযোগ করেন, পরে দুটি অস্ত্রপচার তাঁদের না জানিয়ে হয়েছে । অস্ত্রোপচারের আগে তাঁদের বলা হয়নি । অনিন্দিতার মৃত্যুর পর তাঁরা অস্ত্রোপচারের বিষটি জানতে পারেন ।

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে অনিন্দিতার পরিবার স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় । হাসপাতালের সুপার ডাক্তার জয়দীপ ভট্টাচার্য কমিশনে জানান তাঁরা এর জন্য 5 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেবেন । কিন্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে এই নির্দেশের কিছুদিন পরে আবার হাসপাতালের তরফে ডাক্তার নীতিন মঞ্জু নাথ স্বাস্থ্য কমিশনের এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান । স্বাস্থ্য কমিশন হাসপাতালের এই দাবি খারিজ করে দেয় । স্বাস্থ্য কমিশন জানায় সুপার হিসাবে জয়দীপ ভট্টাচার্য এর আগে হাজির ছিলেন । তিনি 5 লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । ফলে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার প্রশ্নই ওঠে না ।

স্বাস্থ্য কমিশনের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই বেসরকারি হাসপাতাল । আজ মামলার শুনানিতে হাসপাতালের তরফে আইনজীবী জানান, "স্বাস্থ্য কমিশনের এই ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশের আদৌ এক্তিয়ার আছে কি না সেটা নিয়েই সন্দেহ আছে ।" বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, এই রকম ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কমিশন 50 লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করতে পারে । সেই ক্ষমতা কমিশনের আছে । সুতরাং স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশই বহাল থাকছে । আগামী 15 দিনের মধ্যে মৃতের পরিবারকে 5 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৷

কলকাতা, 2 ডিসেম্বর : চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যু । মুকুন্দপুরের আর এন টেগোর হাসপাতালকে 5 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ বহাল রাখলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য । আগামী 15 দিনের মধ্যে মৃত অনিন্দিতা মণ্ডলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট ।

মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, চিকিৎসক শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে 2018 সালের 18 মার্চ ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় অনিন্দিতা মণ্ডলকে । এরপর 19 মার্চ তাঁর গলব্লাডার স্টোন অপারেশন হয় । পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময়ই চরম গাফিলতি করেন ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক । অস্ত্রোপচারের পর 8টা পাথর বের করা হয় ।

দুদিন পর ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক অনিন্দিতা মণ্ডলের পরিবারকে জানান যে তাঁর সমস্ত শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে ৷ ফলে আরও দুটি অস্ত্রোপচার করাতে হবে । এর পর অস্ত্রোপচার হয়েছে কি না তা অনিন্দিতার বাড়ির লোককে জানানো হয়নি । হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় অনিন্দিতার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে । এরপর একমাস ওই হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিলেন অনিন্দিতা মণ্ডল । 20 এপ্রিল সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর ।

এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোকেরা । পূর্ব যাদবপুর থানায় চিকিৎসক শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিয়োগ দায়ের করা হয় । মৃতার বাবা রাজেশ মণ্ডলের অভিযোগ করেন, পরে দুটি অস্ত্রপচার তাঁদের না জানিয়ে হয়েছে । অস্ত্রোপচারের আগে তাঁদের বলা হয়নি । অনিন্দিতার মৃত্যুর পর তাঁরা অস্ত্রোপচারের বিষটি জানতে পারেন ।

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে অনিন্দিতার পরিবার স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয় । হাসপাতালের সুপার ডাক্তার জয়দীপ ভট্টাচার্য কমিশনে জানান তাঁরা এর জন্য 5 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেবেন । কিন্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে এই নির্দেশের কিছুদিন পরে আবার হাসপাতালের তরফে ডাক্তার নীতিন মঞ্জু নাথ স্বাস্থ্য কমিশনের এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান । স্বাস্থ্য কমিশন হাসপাতালের এই দাবি খারিজ করে দেয় । স্বাস্থ্য কমিশন জানায় সুপার হিসাবে জয়দীপ ভট্টাচার্য এর আগে হাজির ছিলেন । তিনি 5 লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । ফলে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার প্রশ্নই ওঠে না ।

স্বাস্থ্য কমিশনের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই বেসরকারি হাসপাতাল । আজ মামলার শুনানিতে হাসপাতালের তরফে আইনজীবী জানান, "স্বাস্থ্য কমিশনের এই ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশের আদৌ এক্তিয়ার আছে কি না সেটা নিয়েই সন্দেহ আছে ।" বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, এই রকম ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কমিশন 50 লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করতে পারে । সেই ক্ষমতা কমিশনের আছে । সুতরাং স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশই বহাল থাকছে । আগামী 15 দিনের মধ্যে মৃতের পরিবারকে 5 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৷

Intro:চিকিৎসায় গাফিলতি;পাচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের Body:মানস নস্কর


চিকিৎসায় গাফিলতি;পাচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ R N Tagore হাসপাতালকে

কলকাতা ২ ডিসেম্বর ঃ
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মুকুন্দপুরের R N Tagore হাসপাতালকে ৫ লক্ষটাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এই নির্দেশ দিলেন।আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত অনিন্দিতা মন্ডলের পরিবারকে ঐ টাকা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের।

মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, চিকিৎসক শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে গত বছর ১৮ মার্চ ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনিন্দিতা মণ্ডলকে। এরপর ১৯ মার্চ তাঁর গলব্লাডারে স্টোন অপারেশন হয়। পরিবারের অভিযোগ, অপারেশনের সময়ই চরম গাফিলতি করেন ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক । ৮টা স্টোন বের করার পাশাপাশি অপারেশনের সময় পিত্তথলির নালিতে ছিদ্র হয়ে যায়। কিন্তু তা জানান হয়নি রোগীর বাড়ির লোকদের। পরিবার আরও জানিয়েছে, দুদিন পর ওই অভিযুক্ত চিকিৎসকই তাদের জানায় যে রোগীর সমস্ত শরীরে পিত্তরস ছড়িয়ে যাচ্ছে ফলে আরও দুটি অপারেশন করাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আরও দুটি অপারেশন হলেও হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় অনিন্দিতার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরপর একমাস ধরে ওই হাসপাতালে ভেন্টিলেশনেই ছিল অনিন্দিতা মন্ডল।
সমস্ত শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে ২০ মে সন্ধ্যায় ভেন্টিলেশনেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপরেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর বাড়ির লোকেরা। পূর্ব যাদবপুর থানায় ওই চিকিৎসক শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিয়োগ দায়ের করা হয়। মৃতার বাবা রাজেশ মণ্ডলের অভিযোগ, পরের দুটি অপারেশন তাদের না জানিয়েই করা হয়েছিল।

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে অনিন্দিতার পরিবার স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়।তাতে হাসপাতালের তরফে হাসপাতাল সুপার ডাক্তার জয়দীপ ভট্টাচার্য কমিশনে জানান তারা এর জন্য ৫ লক্ষটাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেবেন।কিন্ত ক্ষতিপুরন না দিয়ে এই নির্দেশের কিছুদিন পরে আবার হাসপাতালের তরফে ডাক্টার নীতিন মঞ্জু নাথ স্বাস্থ্য কমিশনের এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান।তাতে স্বাস্থ্য কমিশন হাসপাতালের এই দাবি খারিজ করে দেয়।স্বাস্থ্য কমিশন জানায় সুপার হিসাবে জয়দীপ ভট্টাচার্য এর আগে হাজির ছিলেন।তিনি ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার প্রশ্নই ওঠে না। এর বিরুদ্ধেই হাসপাতালের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
আজ মামলার শুনানিতে হাসপাতালের তরফে আইনজীবী জানান, "স্বাস্থ্য কমিশনের এই ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশের আদৌ এক্তিয়ার আছে কিনা সেটা নিয়েই সন্দেহ আছে।" কিন্ত বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান এই রকম ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কমিশন ৫০ লক্ষ টাকা পরজন্ত ক্ষতিপুরনের সুপারিশ করতে পারে।সেই ক্ষমতা কমিশনের আছে।সুতরাং স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশই বহাল থাকছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে হাসপাতাল। Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.