কলকাতা, 12 অগস্ট: যাদবপুরের পর আরজিকর! আরজিকর হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু। মৃত ওই জুনিয়র চিকিৎসকের নাম শুভ্রজ্যোতি দাস। আরজি করে তাঁর ইন্টার্নশিপ চলছিল। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও কথাই বলতে চাইছে না। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য ৷ কিন্তু কীভাবে হল তাঁর মৃত্যু সেনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, বুধবার মাঝরাতে আচমকাই আরজিকর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই ডাক্তারি ছাত্রকে ভরতি করা হয়। প্রচণ্ড বমি হচ্ছিল সেকারণেই তিনি জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি হন ৷ সেইসময় চিকিৎসকরা তাঁকে জল দিলে মুখ থেকে সাদা জাতীয় কিছু বেরোতে থাকে ৷ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তিনি ভরতি হওয়ার আগে কোনও ওষুধ খেয়েছিলেন ৷ কিন্তু ভোররাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার ফলে তাঁকে মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়।
কিন্তু সেখানে আরজিকর হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা শুভ্রজ্যোতির শারীরিক পরীক্ষা করে তাঁকে ফের স্থানান্তরিত করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল, শুক্রবার রাতে জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। যদিও এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে তরফ থেকে কোনও তথ্য সরবরাহ করা হয়নি ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনও কথাই বলতে চাইছে না। যদিও এই বিষয় টালা থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা ইতিমধ্যেই রুজু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই শুভ্রজ্যোতির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে ওষুধের ওভারডোজের ফলেই শুভ্রজ্যোতির মৃত্যু হয়েছে। আরজিকর হাসপাতালে যে সকল চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের নামের তালিকা তদন্তকারীরা তৈরি করেছেন। প্রয়োজনে হাসপাতালে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ওই সকল চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: চলত ব়্যাগিং সেল, সৌরভের নির্দেশই ছিল হস্টেলের শেষ কথা; দাবি পুলিশের