কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর : তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় মঙ্গলবারই আটকে থাকা পেনশনের ফাইল চালু হয়েছে ইরা বসুর। এ খবর পাওয়ার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যামন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা। বুধবার ব্যারাকপুর ডিআই অফিসের কর্তারা পেনশনের যাবতীয় কাগজ তুলে দিলেন ইরা বসুর হাতে। বুঝিয়ে দিলেন কী করতে হবে। ডিআই অফিসের কর্তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রিয়নাথ স্কুলের প্রতিনিধিরাও ৷ কাগজপত্রের সমস্যা সমাধানে স্কুলের তরফেও সাহায্য করা হয়েছে ৷ সবমিলিয়ে প্রশাসনের এই তৎপরতায় পেনশন সমস্যার জট কাটায় খুশি ইরা বসু। কাগজপত্র বুঝে নিয়েছেন এবং একই সঙ্গে নমিনি হিসেবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কন্যা সুচেতনা ভট্টাচার্যের নাম উল্লেখ করেছেন পেনশনের কাগজপত্রে। যা নিয়ে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যেমের মারফত তাঁর 'নমিনি' হওয়ার খবর জানার পর সুচেতনা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, তিনি ইরা বসুর নমিনি হতে কোনও ভাবেই রাজি নন। তাঁর মা মীরা ভট্টাচার্য এবং বাবা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও ইরা বসুর আচরণে বিরক্ত ৷ ভবিষ্যতে তাঁদের এই ব্যাপারে না-জড়ানোর কথা বলেন বুদ্ধ-তনয়া। এর আগে মীরা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, ইরা তাঁর ছোট বোন। তবে তাঁর আচরণে পরিবার অসম্মানিত হয়েছে ৷ একজন শিক্ষিত মহিলা বাড়ি ঘর থাকা সত্ত্বেও কেন রাস্তায় ছিলেন, তার ব্যাখ্যা তাঁদের কাছেও নেই ৷ ইচ্ছা করলেই নিজের বাড়িতে ফিরতে পারেন ইরা।
আরও পড়ুন : অভিষেকের উদ্যোগে পেনশন চালু, খুশি ইরা বসু
বুধবার পেনশন সমস্যা মেটার পরে ইরা বসু বর্তমান শাসকদলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি জানান, আবার তিনি পড়াতে চান। তবে খড়দহের এই বাড়িতে তা সম্ভব নয় ৷ অন্য কোনও বাড়ির ব্যবস্থা করে তিনি পড়ানো শুরু করার পরিকল্পনা করবেন। আপাতত তিন বছর খড়দহ অঞ্চলে থেকে নিজের বাসস্থানে ফেরার কথা ভাবেন প্রিয়নাথ স্কুলের জীবনবিজ্ঞানের প্রাক্তন শিক্ষিকা ৷ তাঁর এই সময়ে যাঁরা পাশে দাঁড়িয়েছেন সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইরা বসু। তবে মাসি-ভাইঝি বিতর্কে নিয়ে সিপিএম নেতারা মুখ খুলতে রাজি নন। পুরোটাই পারিবারিক সমস্যা বলে এড়িয়ে যান তাঁরা।