কলকাতা, 12 জুন: কলেজ সার্ভিস কমিশন 2018 সালে নেওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে যেপ্যানেল লিস্ট তৈরি করেছিল তা অব্যাহত রেখে কলেজগুলোতে অধ্যাপক নিয়োগ করতে হবে। এইদাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায়উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের বক্তব্য, “কলেজ সার্ভিস কমিশন 2018 সালে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেয়।সেই অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা নেয় কমিশন। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় কত নম্বর থাকবে সেটাউল্লেখ করা হয়নি। পরবর্তীকালে এক প্রার্থী RTI করে জানতে পারেন 15℅এর বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে মৌখিকপরীক্ষাতে। এরপর নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছিল। প্যানেলে যাঁদের আগে নাম ছিল তাঁরানিয়োগপত্র পেয়ে গেছে। কিন্ত প্যানেলের শেষেরদিকে থাকা প্রার্থীরা সুযোগ পায়নি।”
এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলএই প্যানেলের কার্যকারিতা থাকবে আগামী এক বছর অথবা পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুহওয়ার আগে পর্যন্ত। ইতিমধ্যে COVID-19 এর কারণে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াই বন্ধরয়েছে। ফলে বহু পদে নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি কমিশন। এই পরিস্থিতিতেপ্যানেলের কার্যকারিতার সময়সীমা বাড়ানো হোক। প্রার্থীরা গত এপ্রিল মাসে কলেজসার্ভিস কমিশনকে এক চিঠিতে তাঁদের বক্তব্য জানালেও কমিশনের তরফে কোনও সদুত্তরদেওয়া হয়নি।
মামলাকারী প্রার্থীদের দাবি, বিভিন্ন বিষয়ের রেজাল্ট বিভিন্ন সময়েপ্রকাশ করা হয়েছিল। যেমন ফিজিক্স, এনথ্রোপলজি বিষয়ের ফল প্রকাশিত হয়েছিল 2019-এর 26 মে। মানে চলতি বছরের মে মাসে এইপ্যানেলের কার্যকারিতা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্ত COVID-19 এর কারণে প্রায় 2 থেকে 3 মাস ধরে সমস্ত কাজকর্মই বন্ধ। এইপরিস্থিতিতে কলেজ সার্ভিস কমিশন প্যানেলের কার্যকারিতা বাড়ানোর দাবি তোলেন তাঁরা।পাশাপাশি মৌখিক পরীক্ষায় 15% ওয়েটেজরেখে প্যানেল তৈরি করে নিয়োগ করুক কলেজ সার্ভিস কমিশন।
প্রার্থীদেরতরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "মামলাকারীদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরিকমিশনও তাঁদের নির্দিষ্ট বিভিন্ন প্রোগ্রামের সময়সীমা বাড়াচ্ছে। এই বিষয়গুলি বিচারবিবেচনা করুক কলেজ সার্ভিস কমিশন।"