কলকাতা, 22 মার্চ: এবার ছিনতাইয়ের মামলায় নাম জড়াল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রর (Ambikesh Mahapatra) । 2012 সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুন শেয়ার করে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছিল অম্বিকেশকে ৷ গ্রেফতারও হতে হয়েছিল ৷ 11 বছর সেই মামলা চলার পর সম্প্রতি অব্যাহতি পেয়েছিলেন তিনি । এবার নতুন করে আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে গেলেন তিনি ৷ যদিও অম্বিকেশের দাবি তিনি এই বিষয়ের বিন্দু বিসর্গও জানেন না ৷
জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট নবীকরণের (Passport Renew) জন্য আবেদন করেছিলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র ৷ সেই কারণে পুলিশ ভেরিফিকেশন (Police Verification) হয় ৷ পুলিশের তরফে পাসপোর্টের আঞ্চলিক অফিসে তাঁর নামে বিরূপ বা অ্যাডভার্স রিপোর্ট জমা পড়ে ৷ কারণ, হিসেবে দেখানো হয় যে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা (Criminal Case) দায়ের হয়ে রয়েছে ৷
অম্বিকেশ মহাপাত্রের দাবি, তিনি জানতে পেরেছেন যে হরিদেবপুর থানায় সুব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায় নামে এক ব্যাক্তি 2016 সালের 30 এপ্রিল তাঁর নামে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন । এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হরিদেবপুর থানা আলিপুর আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা করে । 2018 সালে এই মামলার চার্জশিটও জমা পড়ে ।
পুলিশের এই পদক্ষেপ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অম্বিকেশ ৷ তিনি বলেন, "অভিযোগ জমা পড়ল ৷ মামলা করা হল ৷ তারপর চার্জশিটও জমা পড়ল । অথচ তদন্তের সময় আমাকে থানা থেকে ডেকে পাঠানো হল না কিংবা আদালত থেকে সমনও পাঠানো হল না । এতদিন এই বিষয়টি আমি জানতেই পারলাম না ।"
তাঁর আরও দাবি, অভিযোগকারী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় হরিদেবপুর থানার অধীনে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কর্মী । যেদিন তিনি এই অভিযোগটি করেছিলেন, সেইদিন বেহালা পূর্বের বিধানসভা নির্বাচন ছিল । ঘটনাচক্রে অম্বিকেশ ওই নির্বাচনে বাম কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী ছিলেন ।
তিনি বলেন, "সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে আমি ওই দিন নাকি সাত আট জনকে নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করি এবং তার টাকা ছিনতাই করি । এটা একেবারেই ভিত্তিহীন ও একটা বানানো গল্প । আমি আগামিকাল রিজওনাল পাসপোর্ট অফিসে যাব । তাঁর পর তাঁরা যেভাবে বলেন, আমি সেই মতো করব ।"
আরও পড়ুন: কার্টুনকাণ্ডে 11 বছর পর মুক্তি, ফের গণতন্ত্র বিরোধী কাজের অভিযোগ অম্বিকেশের