ETV Bharat / state

ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ, সবার উপরে অন্ধ্রপ্রদেশ - Credit to deposit ratio declining in Bengal

আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতের জাতীয় গড় 78.3 শতাংশের অনেক নিচে পশ্চিমবঙ্গ । অপরদিকে এই মুহূর্তে ঋণের অনুপাতে সবচেয়ে এগিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ । রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী 2019 অন্ধ্রপ্রদেশে ঋণের অনুপাত হলো 121.6 শতাংশ, যা জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি । ঋণের অনুপাতের নিরিখে এগিয়ে আছে তামিলনাড়ু (110.3 শতাংশ), মহারাষ্ট্র (105.2 শতাংশ) এবং গুজরাত (78.8 শতাংশ)।

Credit to deposit ratio
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Nov 16, 2020, 7:26 PM IST

কলকাতা, 16 নভেম্বর : আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতে ক্রমেই পিছচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ । জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ । সবার আগে অন্ধ্রপ্রদেশ । এগিয়ে গুজরাত, তামিলনাডু এবং মহারাষ্ট্রর মতো রাজ্যগুলিও।

পশ্চিমবঙ্গের স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এই পিছিয়ে পড়াটা শুরু হয় 2011 সাল থেকে । অর্থাৎ, যে বছরে দীর্ঘ 34 বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস । 2011 সালে যখন বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটে তখন রাজ্যের আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ ছিল 63.7 শতাংশ, যা মোটের উপর চলনসই । 2012 সালে একটু বেড়ে 63.8 শতাংশ হলেও, পরের বছর থেকে শুরু অধোগতির । 2013 সালে 62 শতাংশ, 2014 তে 61.6 শতাংশ, 2015তে 57.8 শতাংশ, 2016তে 55.1 শতাংশ, 2017তে 50.3 শতাংশ, 2018তে 51.1 শতাংশ এবং সর্বশেষ 2019 সালে 49.5 শতাংশ ।

আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতের জাতীয় গড় 78.3 শতাংশের অনেক নিচে পশ্চিমবঙ্গ । অপরদিকে এই মুহূর্তে ঋণের অনুপাতে সবচেয়ে এগিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ । রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী 2019 অন্ধ্রপ্রদেশে ঋণের অনুপাত হল 121.6 শতাংশ, যা জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি । ঋণের অনুপাতের নিরীখে এগিয়ে আছে তামিলনাড়ু (110.3 শতাংশ), মহারাষ্ট্র (105.2 শতাংশ) এবং গুজরাত (78.8 শতাংশ)।

কিন্তু কেন পশ্চিমবঙ্গের এই বেহাল দশা । সর্বস্তরের শিল্পেক্ষেত্রে ভাঁটা এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী নিয়ে রাজ্য সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতির অভাবের কারণেই এই বেহাল অবস্থা, মত অর্থনীতিবিদদের । বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের মতে, বড় শিল্পের সঙ্গে আসে অনুসারী শিল্প এবং বড় শিল্পের চারপাশে গড়ে ওঠে বহু নতুন ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প । "সুতরাং শুধু বড় শিল্পের থেকেই নয়, ঋণের চাহিদা বাড়ে সেই সমস্ত ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প থেকেও । আর ঋণের চাহিদা বাড়লেই আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতের বৃদ্ধি হয় । আর এটা তো নতুন কথা কিছু নয় যে জমিসংক্রান্ত সমস্যার কারণে কোনও বড় শিল্পগঠন হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে রাজ্য সরকারের নীতির ফলে জমি কিনেও ফিরত দিয়ে গেছে উইপ্রো এবং ইনফোসিসের মতো সংস্থা । ফলে বড় শিল্পের অভাবে প্রাণ পায়নি ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প ক্ষেত্র । এর ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে ।" প্রবীরবাবু বলেন।

এর উপর আবার আছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে সুস্পষ্ট নীতির অভাব । প্রবীরবাবুর মতে অন্ধ্রপ্রদেশের এই চমকপ্রদ আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতের পিছনে একটা মূল কারণ সেই রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির চমকপ্রদ অগ্রগতি । বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা বার বার বলেছেন যাতে পশ্চিমবঙ্গ অন্ধ্রের "স্বনির্ভর গোষ্ঠী মডেল"-কে অনুকরণ করেন । অনুকরণ করা তো দূরের কথা অন্ধ্র মডেলকে আদৌ স্টাডি করা হয়েছে কি না সেই নিয়েও প্রশ্ন আছে, মন্তব্য প্রবীরবাবুর ।

ব্যাঙ্কাররা অবশ্য আর একটি কারণের কথা উল্লেখ করেন স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির প্রত্যেকটি মিটিংয়ে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্ক অধিকর্তার মতে বারবার বলা সত্ত্বেও অনাদায়ী ঋণের উদ্ধারের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সাহায্য পায়নি ব্যাঙ্কগুলি । "বহুবার আমাদের রিকভারি এজেন্টরা নিগৃহীত হয়েছে ঋণ উদ্ধার করতে গিয়ে । এর ফলে নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি একটু বেশি সতর্ক," তিনি বলেন ।

এটা নতুন কিছু নয় । কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের ভ্রান্ত নীতির জন্য বিনিয়োগ নেই দেশ এবং রাজ্যে । সেই কারণেই আমরা 49 শতাংশে গিয়ে নেমেছি বলে মন্তব্য করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু । তিনি বলেন, "বিনিয়োগ নেই, শিল্প-কলকারখানা গত কয়েক বছরে তৃণমূল সরকারের রাজত্বকালে এরাজ্যে গড়ে ওঠেনি । খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে চাইলেও ঋণ নেওয়ার মতো শিল্পোদ্যোগী ছিল না । এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে দেশের এবং রাজ্যের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে । রাজ্য সরকার অবিলম্বে যদি কর্মসংস্থান মুখী প্রকল্প গ্রহণ না করে রাজ্যজুড়ে সাংঘাতিক মন্দা তৈরি হবে । কেন্দ্রীয় সরকারের পথেই চলছে রাজ্য সরকার ।"

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, "রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী, স্বপন দেবনাথ অবশ্য মানতে চান না যে যে রাজ্যে ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়নি। "এই ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার বহু স্কিম ঘোষণা করেছেন যার ফলে বহু ছোটো এবং মাঝারি শিল্প গঠিত হয়েছে এই রাজ্যে গত নয় বছরে," তিনি বলেন । আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতে কেন কম এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য উনি করতে চাননি । ETV ভারতের পক্ষ থেকে বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পান্ডের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি । তাঁর ফোন বেজে গেছে ।

কলকাতা, 16 নভেম্বর : আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতে ক্রমেই পিছচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ । জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ । সবার আগে অন্ধ্রপ্রদেশ । এগিয়ে গুজরাত, তামিলনাডু এবং মহারাষ্ট্রর মতো রাজ্যগুলিও।

পশ্চিমবঙ্গের স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এই পিছিয়ে পড়াটা শুরু হয় 2011 সাল থেকে । অর্থাৎ, যে বছরে দীর্ঘ 34 বছরের বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস । 2011 সালে যখন বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটে তখন রাজ্যের আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ ছিল 63.7 শতাংশ, যা মোটের উপর চলনসই । 2012 সালে একটু বেড়ে 63.8 শতাংশ হলেও, পরের বছর থেকে শুরু অধোগতির । 2013 সালে 62 শতাংশ, 2014 তে 61.6 শতাংশ, 2015তে 57.8 শতাংশ, 2016তে 55.1 শতাংশ, 2017তে 50.3 শতাংশ, 2018তে 51.1 শতাংশ এবং সর্বশেষ 2019 সালে 49.5 শতাংশ ।

আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতের জাতীয় গড় 78.3 শতাংশের অনেক নিচে পশ্চিমবঙ্গ । অপরদিকে এই মুহূর্তে ঋণের অনুপাতে সবচেয়ে এগিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ । রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী 2019 অন্ধ্রপ্রদেশে ঋণের অনুপাত হল 121.6 শতাংশ, যা জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি । ঋণের অনুপাতের নিরীখে এগিয়ে আছে তামিলনাড়ু (110.3 শতাংশ), মহারাষ্ট্র (105.2 শতাংশ) এবং গুজরাত (78.8 শতাংশ)।

কিন্তু কেন পশ্চিমবঙ্গের এই বেহাল দশা । সর্বস্তরের শিল্পেক্ষেত্রে ভাঁটা এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী নিয়ে রাজ্য সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতির অভাবের কারণেই এই বেহাল অবস্থা, মত অর্থনীতিবিদদের । বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের মতে, বড় শিল্পের সঙ্গে আসে অনুসারী শিল্প এবং বড় শিল্পের চারপাশে গড়ে ওঠে বহু নতুন ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প । "সুতরাং শুধু বড় শিল্পের থেকেই নয়, ঋণের চাহিদা বাড়ে সেই সমস্ত ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প থেকেও । আর ঋণের চাহিদা বাড়লেই আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতের বৃদ্ধি হয় । আর এটা তো নতুন কথা কিছু নয় যে জমিসংক্রান্ত সমস্যার কারণে কোনও বড় শিল্পগঠন হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে রাজ্য সরকারের নীতির ফলে জমি কিনেও ফিরত দিয়ে গেছে উইপ্রো এবং ইনফোসিসের মতো সংস্থা । ফলে বড় শিল্পের অভাবে প্রাণ পায়নি ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প ক্ষেত্র । এর ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে ।" প্রবীরবাবু বলেন।

এর উপর আবার আছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে সুস্পষ্ট নীতির অভাব । প্রবীরবাবুর মতে অন্ধ্রপ্রদেশের এই চমকপ্রদ আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতের পিছনে একটা মূল কারণ সেই রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির চমকপ্রদ অগ্রগতি । বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা বার বার বলেছেন যাতে পশ্চিমবঙ্গ অন্ধ্রের "স্বনির্ভর গোষ্ঠী মডেল"-কে অনুকরণ করেন । অনুকরণ করা তো দূরের কথা অন্ধ্র মডেলকে আদৌ স্টাডি করা হয়েছে কি না সেই নিয়েও প্রশ্ন আছে, মন্তব্য প্রবীরবাবুর ।

ব্যাঙ্কাররা অবশ্য আর একটি কারণের কথা উল্লেখ করেন স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির প্রত্যেকটি মিটিংয়ে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্ক অধিকর্তার মতে বারবার বলা সত্ত্বেও অনাদায়ী ঋণের উদ্ধারের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সাহায্য পায়নি ব্যাঙ্কগুলি । "বহুবার আমাদের রিকভারি এজেন্টরা নিগৃহীত হয়েছে ঋণ উদ্ধার করতে গিয়ে । এর ফলে নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি একটু বেশি সতর্ক," তিনি বলেন ।

এটা নতুন কিছু নয় । কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের ভ্রান্ত নীতির জন্য বিনিয়োগ নেই দেশ এবং রাজ্যে । সেই কারণেই আমরা 49 শতাংশে গিয়ে নেমেছি বলে মন্তব্য করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু । তিনি বলেন, "বিনিয়োগ নেই, শিল্প-কলকারখানা গত কয়েক বছরে তৃণমূল সরকারের রাজত্বকালে এরাজ্যে গড়ে ওঠেনি । খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে চাইলেও ঋণ নেওয়ার মতো শিল্পোদ্যোগী ছিল না । এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে দেশের এবং রাজ্যের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে । রাজ্য সরকার অবিলম্বে যদি কর্মসংস্থান মুখী প্রকল্প গ্রহণ না করে রাজ্যজুড়ে সাংঘাতিক মন্দা তৈরি হবে । কেন্দ্রীয় সরকারের পথেই চলছে রাজ্য সরকার ।"

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, "রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী, স্বপন দেবনাথ অবশ্য মানতে চান না যে যে রাজ্যে ক্ষুদ্র, ছোটো ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়নি। "এই ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার বহু স্কিম ঘোষণা করেছেন যার ফলে বহু ছোটো এবং মাঝারি শিল্প গঠিত হয়েছে এই রাজ্যে গত নয় বছরে," তিনি বলেন । আমানতের তুলনায় ব্যাঙ্ক ঋণের অনুপাতে কেন কম এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য উনি করতে চাননি । ETV ভারতের পক্ষ থেকে বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পান্ডের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি । তাঁর ফোন বেজে গেছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.