কলকাতা, 27 অক্টোবর : পরলোক গমন করলেন প্রবীণ বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য ৷ বয়স হয়েছিল 65 বছর ৷ বাম নেতা নিজেই একথা জানিয়ে আজ সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ৷ সেখানে তাঁদের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের স্মৃতিচারণ করে বেশ কিছু কথা লিখেছেন তিনি ৷ আজ সকালে ফেসবুকে তিনি লেখেন, "কিছুক্ষণ আগেই চলে গেল আমার 41 বছরের জীবনের সঙ্গী ৷ আমার অনুপ্রেরণা, সাহস এবং মানুষের পাশে থাকা রত্না ভট্টাচার্য ৷"
গত 21 অক্টোবর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রত্না ভট্টাচার্যকে ৷ ফেসবুকে সেই খবরও জানিয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য ৷ এর আগে শিলিগুড়ির হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর ৷ সেখানে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে সাত দিন আগে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল । সেখানেও মৃত্যুর সঙ্গে টানা লড়াইয়ের পর আজ সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ।
41 বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল অশোক ও রত্নার ৷ অশোক ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক জীবনেও ভীষণ প্রভাব ছিল সহধর্মিণীর ৷ শুধুমাত্র পার্টির একজন সদস্য হিসেবেই নয় নিজের স্ত্রীর লড়াকু মনোভাবের প্রশংসা করেছেন প্রবীণ নেতা ৷ লিখেছেন, "আমার সহধর্মিনী বলে বলছি না ও ছিল একজন প্রকৃত ভাল মেয়ে, একজন উদার, নমনীয়, সবাইকে ভালোবাসতে পারত। মন্ত্রী বা মেয়রের স্ত্রী হিসেবে ওর নিজের মধ্যে কোনো দিন কোনো রকম ঔদ্ধত্ত ছিল না সেভাবে কোন পরিচয় দিত না। বহু মানুষ, বহু রাজনীতিবিদ, বহু খেলোয়াড়ের সঙ্গে ওর ছিল এক মধুর সম্পর্ক। অনেক খেলোয়াড়রা তাকে নিজের কাকিমা বলে মনে করত ।"
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: "পাহাড়ে আমরা সবাই এক", প্রশাসনিক বৈঠকে প্রকাশ্যে শান্তা ছেত্রীকে ধমক মুখ্যমন্ত্রীর
কলেজ জীবনে এসএফআই করতেন রত্না ভট্টাচার্য । তারপর বাম যুব সংগঠন এবং পরে সক্রিয় বাম রাজনীতিতে অংশ নেন । মিটিং, মিছিলে সক্রিয় অংশ নিতেন । তাঁর মৃত্যুর পর পাহাড় থেকেই যাবতীয় খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অশোক ভট্টাচার্যর সঙ্গে ফোনে কথা বলে শোক বার্তা জানিয়েছেন তিনি । এছাড়াও রত্নাদেবীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সৌরভ চক্রবর্তী, সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসুর মতো প্রথম সারির বাম নেতারা ।
বৃহস্পতিবার সকালে রত্না ভট্টাচার্যের দেহ শিলিগুড়িতে তাঁর নিজ বাসভবনে নিয়ে আসা হবে । ওইদিনই দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের দলীয় কার্যালয় অনিল বিশ্বাস ভবনে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ।