ETV Bharat / state

রাজ্যের ভোট-পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট সঠিক, সুজন চক্রবর্তী

পুরসভা ভোট বকেয়া থাকলেও উপনির্বাচন নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে রাজ্য়ের শাসকদল ৷ অন্যদিকে রাজ্যে একের পর এক জঙ্গির আস্তানার খোঁজ মিলছে ৷ ভোট-পরবর্তী হিংসাত্মক পরিবেশ নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে ৷ এর মধ্যে আবার যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সাম্প্রতিক বিতর্কিত নানা বিষয়ে মুখ খুললেন প্রবীণ বামনেতা সুজন চক্রবর্তী ৷

বামনেতা সুজন চক্রবর্তী
বামনেতা সুজন চক্রবর্তী
author img

By

Published : Jul 16, 2021, 10:59 AM IST

কলকাতা, 16 জুলাই : এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই তা গত দশ বছর ধরে বারবার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে স্পষ্ট করেছি, বললেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী । ভোট-পরবর্তী হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তে এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল ৷ তাদের রিপোর্ট নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা-সহ আরও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মত প্রকাশ করলেন বামনেতা ৷

পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি-

"রক্ষক ভক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ৷ যারা অপরাধী তাদের মাথায় প্রশাসনের হাত, শাসকদলের হাত", বললেন সুজন ৷ তাঁর দাবি, অপরাধীরা পুলিশের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে । বিপর্যস্ত মানুষ আইনের সহযোগিতা পাচ্ছে না, "হা-হুতাশ" করছে, "তাদের কথা শোনার মতো কেউ থাকছে না, থানা পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না, বারে বারে বলেছি", বললেন বামনেতা । শাসকদলের মদতপুষ্ট হয়ে প্রশাসন-সহ সবাই চলছে, তা মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে পরিষ্কার বলে রিপোর্টকে সমর্থন করলেন তিনি । এর সপক্ষে তিনি বলেন, "ডিজিপি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে অ্য়াটেম্পট টু রেপ বা সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট, যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, তার মাত্র 4% কাস্টডিতে আছে ৷" আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় 12% গ্রেফতার হয়েছে, অথচ ভিতরে রয়েছে 1.8%, 98.2 % প্রায় ছাড়া ৷ এই অবস্থায় সুজন চক্রবর্তী "কোর্টের মনিটরিংয়ে তদন্ত হওয়া জরুরি" বলে দাবি করেন ৷ কারণ সিআইডি বা সিবিআই, কেউ যথাযথ ভূমিকা নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বামনেতার । তাঁর অভিযোগ, সিআইডি রাজ্যপুলিশের কথায় চলছে, সিবিআইও এখন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যেন কেন্দ্রীয় সরকারের কথায় উঠছে, বসছে ৷ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, দলতন্ত্র, সরকারের চাপে এবার মানুষ বিপন্ন ৷

পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের "সেফ হেভেন" হয়ে উঠেছে বলে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ খাগড়াকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর জানা গিয়েছিল সেই বাড়িতেই তৃণমূলের অফিস রয়েছে ৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, "রাজ্য সরকার কি তার দায়িত্ব অস্বীকার করার মনোভাব নিয়ে চলছে ? কেন্দ্রীয় সরকারও কি হাল তুলে দেওয়ার মতো করে চলছে ?" এমনকি জঙ্গিরা শাসকদলের প্রশ্রয়প্রাপ্ত ৷ এতে বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে ৷ তাঁর মতে, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারকেই "রাজনীতির আস্তিন ছেড়ে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী মনোভাব নেওয়া উচিত, জরুরি", কারণ জঙ্গিদের কোনও জাত, ধর্ম হয় না ৷

রাজ্য সরকারের উপনির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে-

বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ছ'জনের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে উপনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে । এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "সময়মতো নির্বাচন হোক ৷ এটাই আমরা সবসময় চাই, চেয়ে এসেছি ৷ যতদিন পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট ছিল প্রতিটি নির্বাচন, পঞ্চায়েত, পৌরসভা নির্দিষ্ট সময়ে হয়েছে ৷" শাসকদলের বিরুদ্ধে সময়মতো নির্বাচন না করার অভ্যাসের অভিযোগ তোলেন তিনি ৷ কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করবে, তা গুরুত্বপূর্ণ হলেও পশ্চিমবঙ্গে সময়ে নির্বাচন না হওয়ার বন্দোবস্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজে করছেন ৷ রাজ্যের অবস্থা এতটাই খারাপ যে ট্রেন চলছে না, স্কুল বন্ধ, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দাবি মানে প্রতিপক্ষের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া বলে মনে করেন তিনি ৷ এ ছাড়া "রাজ্যের পৌরসভাগুলোর নির্বাচন গত তিন বছর, 2018 থেকে বকেয়া রয়েছে ।" তাঁর মতে বিধানসভা নির্বাচন বড় এলাকার, আর পৌরনির্বাচনগুলো ছোট এলাকার হলেও তা হয়নি ৷ এতে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বার্তা যাচ্ছে যে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ এখানে নেই, এটা যুক্তিসঙ্গত নয় ৷

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট, রাজ্যের উপনির্বাচন-সহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে মনের কথা জানালেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী

প্রধানমন্ত্রীর যোগী প্রশংসা-

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে উত্তর প্রদেশে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সচেতন মানুষ হাসবে ৷ তারা বিপন্ন বোধ করবে ৷ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা তাদের আরও কমবে ৷" করোনা আক্রান্ত মৃত ব্য়ক্তির লাশ ভেসে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এতে প্রধানমন্ত্রী উল্লসিত, এর চাইতে বড় অপরাধ হতে পারে না, তিনি বলছেন, "যোগী রাজত্বের মতো রাজত্ব নেই ৷" এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করলেন "রতনে রতন চেনে", বললেন বামনেতা ৷ এতে পরিষ্কার হল যে অপরাধীদের রক্ষা করাটাই মোদির কাজ ৷ এমনকি সুজন বলেন, "যোগীজিকে তিনি ভয় পাচ্ছেন ৷" তাই তাঁর প্রশংসা করে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি দাবি করেন, "প্রধানমন্ত্রী পারলে তাঁর কথা উইথড্র করুন ৷"

রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের রায়-

সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নির্যাতনের জন্য় বিভীষিকার মতো করে এই আইন প্রণয়ন করেছিল ৷ কিন্তু স্বাধীনতার 75 বছর পরেও সেই একইরকমভাবে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে ৷ স্টান স্বামীর মৃত্যুকে "হত্যাকাণ্ড" বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমি বলব এটা কাস্টডিয়াল ডেথ ৷ কেন হল, কে তার উত্তর দেবে ?" একের পর এক এই ঘটনা ঘটছে । বিরোধীদের স্বর পছন্দ হচ্ছে না বলে তাদের দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে দিল্লি সরকার । সুপ্রিম কোর্ট তা নস্যাৎ করে কার্যত বলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের এ ভাবে চলা মেনে নেওয়া যায় না ৷ আর তাই আইন পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে । পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করা হচ্ছে । বিনা বিচারে আটক করা হচ্ছে । জেলে পচিয়ে মারা হচ্ছে । চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না । নূন্যতম মানবাধিকার খারিজ করা হচ্ছে । সরকারের বিরোধিতা করলেই দেশের বিরোধিতা করা হচ্ছে ৷ সরকারের বিরোধিতা দরকার, কারণ সরকার সংবিধান বিরোধী মনোভাব নিয়ে চলছে ৷ দেশব্যাপী সরকারের বিরোধিতায় আন্দোলনকে আরও জোরালো করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী ।

কলকাতা, 16 জুলাই : এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই তা গত দশ বছর ধরে বারবার ঘটনার উদাহরণ দিয়ে স্পষ্ট করেছি, বললেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী । ভোট-পরবর্তী হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তে এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল ৷ তাদের রিপোর্ট নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা-সহ আরও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মত প্রকাশ করলেন বামনেতা ৷

পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি-

"রক্ষক ভক্ষককেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ৷ যারা অপরাধী তাদের মাথায় প্রশাসনের হাত, শাসকদলের হাত", বললেন সুজন ৷ তাঁর দাবি, অপরাধীরা পুলিশের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে । বিপর্যস্ত মানুষ আইনের সহযোগিতা পাচ্ছে না, "হা-হুতাশ" করছে, "তাদের কথা শোনার মতো কেউ থাকছে না, থানা পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না, বারে বারে বলেছি", বললেন বামনেতা । শাসকদলের মদতপুষ্ট হয়ে প্রশাসন-সহ সবাই চলছে, তা মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে পরিষ্কার বলে রিপোর্টকে সমর্থন করলেন তিনি । এর সপক্ষে তিনি বলেন, "ডিজিপি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে অ্য়াটেম্পট টু রেপ বা সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট, যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, তার মাত্র 4% কাস্টডিতে আছে ৷" আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় 12% গ্রেফতার হয়েছে, অথচ ভিতরে রয়েছে 1.8%, 98.2 % প্রায় ছাড়া ৷ এই অবস্থায় সুজন চক্রবর্তী "কোর্টের মনিটরিংয়ে তদন্ত হওয়া জরুরি" বলে দাবি করেন ৷ কারণ সিআইডি বা সিবিআই, কেউ যথাযথ ভূমিকা নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বামনেতার । তাঁর অভিযোগ, সিআইডি রাজ্যপুলিশের কথায় চলছে, সিবিআইও এখন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যেন কেন্দ্রীয় সরকারের কথায় উঠছে, বসছে ৷ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন, দলতন্ত্র, সরকারের চাপে এবার মানুষ বিপন্ন ৷

পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের "সেফ হেভেন" হয়ে উঠেছে বলে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ খাগড়াকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর জানা গিয়েছিল সেই বাড়িতেই তৃণমূলের অফিস রয়েছে ৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, "রাজ্য সরকার কি তার দায়িত্ব অস্বীকার করার মনোভাব নিয়ে চলছে ? কেন্দ্রীয় সরকারও কি হাল তুলে দেওয়ার মতো করে চলছে ?" এমনকি জঙ্গিরা শাসকদলের প্রশ্রয়প্রাপ্ত ৷ এতে বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে ৷ তাঁর মতে, কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারকেই "রাজনীতির আস্তিন ছেড়ে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী মনোভাব নেওয়া উচিত, জরুরি", কারণ জঙ্গিদের কোনও জাত, ধর্ম হয় না ৷

রাজ্য সরকারের উপনির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে-

বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ছ'জনের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে উপনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে । এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "সময়মতো নির্বাচন হোক ৷ এটাই আমরা সবসময় চাই, চেয়ে এসেছি ৷ যতদিন পশ্চিমবাংলায় বামফ্রন্ট ছিল প্রতিটি নির্বাচন, পঞ্চায়েত, পৌরসভা নির্দিষ্ট সময়ে হয়েছে ৷" শাসকদলের বিরুদ্ধে সময়মতো নির্বাচন না করার অভ্যাসের অভিযোগ তোলেন তিনি ৷ কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করবে, তা গুরুত্বপূর্ণ হলেও পশ্চিমবঙ্গে সময়ে নির্বাচন না হওয়ার বন্দোবস্ত মুখ্যমন্ত্রী নিজে করছেন ৷ রাজ্যের অবস্থা এতটাই খারাপ যে ট্রেন চলছে না, স্কুল বন্ধ, এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দাবি মানে প্রতিপক্ষের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া বলে মনে করেন তিনি ৷ এ ছাড়া "রাজ্যের পৌরসভাগুলোর নির্বাচন গত তিন বছর, 2018 থেকে বকেয়া রয়েছে ।" তাঁর মতে বিধানসভা নির্বাচন বড় এলাকার, আর পৌরনির্বাচনগুলো ছোট এলাকার হলেও তা হয়নি ৷ এতে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বার্তা যাচ্ছে যে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ এখানে নেই, এটা যুক্তিসঙ্গত নয় ৷

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট, রাজ্যের উপনির্বাচন-সহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে মনের কথা জানালেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী

প্রধানমন্ত্রীর যোগী প্রশংসা-

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে উত্তর প্রদেশে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সচেতন মানুষ হাসবে ৷ তারা বিপন্ন বোধ করবে ৷ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা তাদের আরও কমবে ৷" করোনা আক্রান্ত মৃত ব্য়ক্তির লাশ ভেসে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এতে প্রধানমন্ত্রী উল্লসিত, এর চাইতে বড় অপরাধ হতে পারে না, তিনি বলছেন, "যোগী রাজত্বের মতো রাজত্ব নেই ৷" এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করলেন "রতনে রতন চেনে", বললেন বামনেতা ৷ এতে পরিষ্কার হল যে অপরাধীদের রক্ষা করাটাই মোদির কাজ ৷ এমনকি সুজন বলেন, "যোগীজিকে তিনি ভয় পাচ্ছেন ৷" তাই তাঁর প্রশংসা করে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তিনি দাবি করেন, "প্রধানমন্ত্রী পারলে তাঁর কথা উইথড্র করুন ৷"

রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের রায়-

সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নির্যাতনের জন্য় বিভীষিকার মতো করে এই আইন প্রণয়ন করেছিল ৷ কিন্তু স্বাধীনতার 75 বছর পরেও সেই একইরকমভাবে তা প্রয়োগ করা হচ্ছে ৷ স্টান স্বামীর মৃত্যুকে "হত্যাকাণ্ড" বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আমি বলব এটা কাস্টডিয়াল ডেথ ৷ কেন হল, কে তার উত্তর দেবে ?" একের পর এক এই ঘটনা ঘটছে । বিরোধীদের স্বর পছন্দ হচ্ছে না বলে তাদের দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে দিল্লি সরকার । সুপ্রিম কোর্ট তা নস্যাৎ করে কার্যত বলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের এ ভাবে চলা মেনে নেওয়া যায় না ৷ আর তাই আইন পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে । পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করা হচ্ছে । বিনা বিচারে আটক করা হচ্ছে । জেলে পচিয়ে মারা হচ্ছে । চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না । নূন্যতম মানবাধিকার খারিজ করা হচ্ছে । সরকারের বিরোধিতা করলেই দেশের বিরোধিতা করা হচ্ছে ৷ সরকারের বিরোধিতা দরকার, কারণ সরকার সংবিধান বিরোধী মনোভাব নিয়ে চলছে ৷ দেশব্যাপী সরকারের বিরোধিতায় আন্দোলনকে আরও জোরালো করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.