কলকাতা, 31 মার্চ: হাওড়ায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির ঘটনা তৃণমূল ও বিজেপির পরিকল্পিত উস্কানি বলেই মনে করছে রাজ্য সিপিএম । গ্রাম, শহরে যখন মানুষ রাজ্য ও কেন্দ্রের চুরি, দুর্নীতি, জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, তখনই দৃষ্টি ঘোরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো হচ্ছে বলে শুক্রবার দাবি করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । আগামী 2 এপ্রিল হাওড়া শিবপুরে শান্তি মিছিলের ডাক দিয়েছে সিপিএম । সেখানে আহ্বান জানানো হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী সকলকে ।
এদিন সেলিম বলেন, ‘‘রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীর মিছিলে তৃণমূল ও বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের একসঙ্গে পা মেলাতে দেখা গিয়েছে । আরএসএস ও তৃণমূলের যৌথবাহিনী রামনবমীর নাম করে রাস্তায় তাণ্ডব করেছে । গ্রামের মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছে, রেগার (একশো দিনের কাজ) টাকা বন্ধ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে ৷ তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চায় তৃণমূল-বিজেপি ।’’
সেলিমের আরও অভিযোগ, এই দুই শাসক দল রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে । মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সেলিমের প্রশ্ন, তিনি যদি জেনে থাকেন এমন মিছিল থেকে কোনও অশান্তি হবে, তাহলে তাঁর দলের লোকজনকে কেন আরএসএস লোকের সঙ্গে পা মেলাতে বলেছিলেন ?
এদিকে হাওড়ার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই প্রসঙ্গে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন পুলিশ শিথিলতা দেখিয়েছেন । তিনি নিজেই তো সেই দফতরের মন্ত্রী । তিনি দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না । বামেদের নবান্ন অভিযান হলে পুলিশের চরম তৎপরতা থাকে । বিরাট বাহিনী থেকে জলকামান, কমব্যাট ফোর্স সব মোতায়ন থাকে ।’’ আর এই অশান্তিতে পুলিশ তৎক্ষণাৎ কেন ব্যবস্থা নেয়নি, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কাজ নিয়েও আঙুল তোলেন তিনি ।
সেলিমের দাবি, ‘‘রাজ্যের সংস্কৃতির ইতিহাসে উৎসব নতুন নয়, কিন্তু এই ধরনের ঘটনা আমরা আগে দেখিনি । উৎসব কোনও জায়গায় মিলিত হাওয়া বা উপসনা প্রার্থনা ।’’ এছাড়াও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা মঞ্চ সরকারি টাকায় করা নিয়ে সরব হন তিনি । লোকসভা ও রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদদের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করেন । 100 দিনের টাকা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেন মহম্মদ সেলিম ।
আরও পড়ুন: অমিত শাহের ফোন পাওয়ার পরই হাওড়া যাচ্ছেন রাজ্যপাল