কলকাতা, 16 মে : নির্বাচনী হেরেছেন তো কী ! বরং গরীবের মসীহা হয়ে উঠেছেন ডাক্তার ফুয়াদ হালিম ৷ তাঁর কিড স্ট্রীটের নার্সিংহোমে ফের চালু হল পঞ্চাশ টাকায় ডায়ালিসিস ৷ " দায়িত্ব এড়াতে পারি না। আমি সবার আগে চিকিৎসক ৷" দৃঢ়কণ্ঠে বললেন ডাক্তারবাবু ৷
এবারের নির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে সিপিএমের হয়ে দাঁড়িয়োছিলেন তিনি ৷ কিন্তু বিরাট ব্যবধানে হেরে যান তৃণমূলের সুব্রত মুখ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৷ নির্বাচনী দ্বৈরথে পরাজিত হলেও মানুষের সেবা থেকে সরে যাননি বাম জোটের চিকিৎসক প্রার্থী। বরং জোরকদমে অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত নিয়েছেন বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আবদুল হালিমের ছেলে এই বামনেতা । আগের বছর লকডাউনের সময় থেকে অসুস্থদের পাশে থেকে নামমাত্র টাকা নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি ৷ এবারেও একজন চিকিৎসক হিসাবে তাঁর গুরুদায়িত্বের কথা ভুলে যাননি ফুয়াদ৷
"আমরা করোনার বিরুদ্ধে সকলে লড়াই করছি। কিন্তু করোনা ছাড়াও আরও অনেক মারণ রোগ রয়েছে। যার চিকিৎসা জরুরি। অধিকাংশ হাসপাতাল এখন করোনা রোগীকে সামলাতে ব্যস্ত। কিন্তু বাকিদেরও তো পরিষেবা দিতে হবে। আর আমার বেসরকারি হাসপাতাল করোনা রোগীদের জন্য নয়। তাই আমি অন্যভাবে পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছি ৷" বললেন ডাক্তারবাবু ৷
আরও পড়ুন : কিছুটা স্বস্তি, পরপর দু’দিন নামল করোনা আক্রান্তের গ্রাফ
পাশাপাশি তিনি বললেন, " আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। কড়া বিধিনিষেধ মানতে হবে। না হলে ফল মারাত্মক। লকডাউন করলেই হবে না। সবার জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে।"
ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। ভয় না পেয়ে সাতবার প্লাজমা দান করে নজিরও গড়েছেন। ফুয়াদ বললেন, "প্লাজমা করোনা রোগীর জন্য জরুরি। করোনাজয়ী মানুষদের এই নিয়ে আরও এগিয়ে আসতে হবে। তবে সবার আগে ভ্যাকসিন দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই প্লাজমা দানের প্রয়োজন হবে না।"