কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: 'টক টু মেয়র' (Talk to Mayor) অনুষ্ঠানে কলকাতা পৌরনিগমের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মণিকা জানার অভিযোগ তোলপাড় ফেলেছে প্রশাসনিক মহলে । হকারি করার জন্য শ্যামবাজার এলাকায় দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে ডালা কেনার পরেও তাঁকে ব্যবসা করতে দিচ্ছে না ওখানকার ইউনিয়ন। এই অভিযোগ শুনে পুলিশকে ব্যাবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim)। তবে গ্রাউন্ড জিরো বলছে অন্যকথা।
বাস্তবে সেই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা হয় ইটিভি ভারতের তরফে । শ্যামবাজার মোড়ে যে ডালা ঘিরে অভিযোগ সেখানে এখন হকারি চলছে মোবাইল ফোন সরানোর দোকানের । সেই দোকানদার বিকি দাস জানাচ্ছেন, এই ডালা যার ছিল তিনি মারা গিয়েছেন । তাঁর স্ত্রীর অনুমতিতে তিনি দোকান করছেন । এর বাইরে কী হয়েছে তিনি জানেন না ।
মণিকা জানার অভিযোগ সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের হকার নেতা সুকুমার হাজরা জানান, পাপ্পু নামে এক ব্যক্তির দোকান ছিল । তাঁর দোকানেই এই মহিলা হকারি করতেন । পাপ্পু মারা যাওয়ার পর এই মহিলা আচমকা দাবি করেন, তিনি নাকি পাপ্পুকে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে ওই ডালা কিনে নিয়েছেন । সুকুমার বলেন, "আমরা এই বিষয় কেউ কিছু জানি না । পাপ্পুর স্ত্রীও জানেন না । আর ফুটপাত সরকারের জায়গা, সেটা কীভাবে বিক্রি করা যায় বা কেনা যায় ৷ এটা সম্পূর্ণ বেআইনি । আমরা ফুটপাতে ব্যবসা করি কিন্তু কখনই সেই জায়গা বিক্রি করতে পারি না । বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা করতে বলা হয়েছিল ।"
10 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিষয়টি অনেক আগের । এটা আমাদের বিধায়ক শশী পাঁজা জানেন । তাঁর কাছে ওই মহিলা গেয়েছিলেন ৷ কিন্তু তিনিও জানান ফুটপাত সরকারের, সেটা কেনাবেচার কোনও অধিকার নেই কারোর । মেয়র সাহেব আমাদের থেকে জানতে চাইলে আমরা বিষয়টি জানাব । কিন্তু ওই মহিলা টাকা দিয়েছিল কি না, জানি না । দিয়ে থাকলে তিনি বেআইনি কাজ করেছেন ।" 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে মহিলা কান্নায় ভেঙে পরে মেয়রের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তিনি অনেক কষ্ট করেছেন । মণিকা শ্যামবাজার গান্ধি মার্কেটে একটা ডালা নিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁকে যে জায়গাটা দিয়েছে তিনি তার জন্য দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছে । তাঁর কাছে সব কাগজ আছে ।
আরও পড়ুন: হকারির জন্য বেআইনি ভাবে জায়গা কিনে প্রতারিত মহিলা, অভিযোগ টক টু মেয়রে