কলকাতা, 16 জুলাই: তৃণমূলের 21 জুলাই সমাবেশকে সামনে রেখে জারি হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা ৷ যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷ সামনেই 21 জুলাই ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ স্মরণ দিবস ৷ প্রতি বছরের মতো এবারও এই দিনে কলকাতায় তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট বা মহা সমাবেশ হতে চলেছে ৷ তবে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কর্মীদের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে এবছর দিনটিকে 'শ্রদ্ধা দিবস' হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওইদিন কলকাতায় 21 জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দেবেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ৷ ইতিমধ্যেই তাঁদের আসা এবং থাকা-খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে ৷ তবে রাজ্যের শাসকদলের এই কর্মসূচির জন্য এবার জারি হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা ৷ স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে জারি করা ওই নির্দেশিকা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শহিদ দিবস উপলক্ষে 21 জুলাই প্রত্যেকটি হাসপাতাল যেন প্রস্তুত থাকে। তার সঙ্গে প্রতিটি ক্যাম্পে যেন রক্ত মজুত থাকে । 21 জুলাই রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের কর্মসূচি পালন করে তৃণমূল ৷ ঘটনাচক্রে বর্তমানে তারা রাজ্যের শাসকদলও ৷ কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের নির্দিষ্ট কর্মসূচির জন্য কেন রাজ্য সরকারের একটি দফতর এভাবে নির্দেশিকা দেবে? উঠছে প্রশ্ন ৷
স্বাস্থ্য দফতরের এই নির্দেশিকাকে ঘিরে প্রশ্ন তুলে রাজ্যপাল, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি লিখেছে চিকিৎসক সংগঠন । সংগঠনের নেতা চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন,"একটা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান, সেখানে সরকারি চিকিৎসকরা যাবেন কেন? সার্ভিস রুল বলেও একটা বিষয় থাকে । স্বাস্থ্য দফতরের কাছে একটাই প্রশ্ন, যদি অন্য কোনও রাজনৈতিক দল অনুষ্ঠান করে তাহলে স্বাস্থ্য দফতর একই পদক্ষেপ নেবে তো? অবিলম্বে এই নির্দেশিকা যেন প্রত্যাহার করা হয় ।"
আরও পড়ুন: চলছে ইডির তদন্ত, ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন সায়নী
অন্যদিকে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের সভাপতি চিকিৎসক নীলরতন নাইয়া জানান, সারা রাজ্যজুড়ে যেখানে ডাক্তার-নার্স-প্যারামেডিক্যাল স্টাফ-স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁদের ডিউটি আওয়ারের থেকেও বেশি ডিউটি করে পরিষেবা অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন এবং তা সত্ত্বেও লোকবলের অভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা বজায় রাখা ক্রমাগত সম্ভবপর হচ্ছে না; সেই পরিস্থিতিতে এই ধরনের নির্দেশ স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরেও অহেতুক চাপ সৃষ্টির নামান্তর । অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করা উচিত ৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগীকেও এ কারণে সমালোচিত হতে হয়েছে ৷