কলকাতা, 16 এপ্রিল : বস্তি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে কোরোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পৌরনিগম । ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মাইক্রো প্ল্য়ানিং । শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে পৌরনিগমের তরফে । চলবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়ার কাজ ।
আজ এনিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী একটি মাইক্রো প্ল্যানিং করা হয়েছে। শহরের বস্তি এলাকা, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলি আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সব এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। রেল কলোনি, লেবার কোয়ার্টারগুলিতেও চলবে নজরদারি ।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এলাকাগুলিকে ফোকাস জ়োন হিসেবে ধরে নিয়ে একটি হেলথ স্টাডি করা হবে। কারও বুকে ব্যথা অথবা পেটের সমস্যা সহ সবরকম অসুস্থতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে যদি কারও কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তাহলে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভরতি করানো হবে। বস্তি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলি নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে । একটি বস্তিতে কোরোনা সংক্রমণ হলে তা দ্রুত সংক্রমিত হয়ে পড়বে । কারণ স্নান, শৌচকর্মের জন্য এইসব এলাকার মানুষ একটাই জায়গা ব্যবহার করে । একটি ঘরে 8 -10 জন লোক থাকে। এর জেরে কয়েকজনকে আবার বাধ্য হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে সময় কাটাতে হয় । তাই সংক্রমণ রুখতে এলাকাগুলির উপর কড়া নজর রাখতে হবে ।"
এই মুহূর্তে কলকাতা পৌরনিগমের বহু অস্থায়ী সাফাই কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিদিন রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। শহরকে জীবাণুমুক্ত করতে শহরের একাধিক এলাকায় গিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন । বস্তি ও ঘিঞ্জি এলাকায় গিয়ে কাজ করছেন । রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন তাঁরা । এই বিষয়ে আজ মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অস্থায়ী সাফাই কর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীরা আজ এই কঠিন সময়ে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন । তাঁদের চাকরি স্থায়ী করার পরিকল্পনা নিচ্ছে পৌরনিগম।