কলকাতা, 4 নভেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে শনিবার। কিন্তু সেই বৈঠক ঘিরেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক । বৈঠকের বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই বৈঠকের পক্ষেই। শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ অনলাইনে এই বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু আইন উল্লেখ করে এই বৈঠকের বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। আর তার জেরে আবারও বিতর্কে বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কখনও কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে পারে না বলেই মত প্রশাসনের একটা বড় অংশের ৷
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী আমাদের সঙ্গে বৈঠক ডাকার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। আমি যতদূর জানি, এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে এই নিয়ে কোনও কথা হয়নি। এই অবস্থায় যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কেউ লঙ্ঘন করে তাহলে আমরা সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখব ৷"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, "আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করছি না। আদালতে যে 12 জনের কথা রয়েছে সেই তালিকায় আমি নেই। তার ফলে আমি বৈঠক ডাকতে পারি।" যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, "আইনতভাবে আমরা যে এই বৈঠক করতে পারি না সেটা উপাচার্য স্যারকে সরাসরি বলতে পারিনি। চিঠিটা সকালে পেয়েছি তা স্যারকে পাঠিয়েছি। আমি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করব। তারপর স্যার যা বলবেন সেই মত কাজ করব। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমতি না থাকায় এই বৈঠকে থাকবেন না তিনি বলেই জানান রেজিস্টার। "
আরও পড়ুন: 'উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে ?' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছিল ৷ তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসতে দেখা গিয়েছিল উপাচার্য, রেজিস্টার ও সহ-উপাচার্যকে। তবে ফের তড়িঘড়ি করে বৈঠক রাখলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিষয়ে বেশ কিছু কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার সঙ্গে বাজেট নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা বৈঠকে।