কলকাতা, 7 অগস্ট: প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অপারেশন 'মোজো' চালানোর পর এল সাফল্য (Commissioner of Police Appreciated the Force) । এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের থেকে শুরু করে কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্স এবং স্পেশাল অ্যাকশন ফোর্স যেভাবে ঘটনার একেবারে গ্রাউন্ড জিরোতে ঢুকে কাজ করেছে তাতে বেজায় খুশি কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল । গোটা কলকাতা পুলিশ বাহিনীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নগরপাল ।
কলকাতা পুলিশ যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনায় অন্য বাহিনীর সাহায্য না নিয়েই পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে যথেষ্ট সক্ষম বলে মনে করছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । শনিবার সন্ধে সাড়ে ছটার পর যেভাবে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট পড়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল অ্যাকশন ফোর্সের কমান্ডোরা সিআইএসএফের ব্যারাকের ভিতর ঢুকে ওই সিআইএসএফ জওয়ানকে বাগে এনেছেন, সেটা কোনও সিনেমার থেকে কম নয় বলে মনে করছেন বাহিনীর একাংশ ।
আরও পড়ুন: জাদুঘরে সিআইএসএফ জওয়ানের গুলিতে মৃত্যু সতীর্থের, জখম এক
বছরখানেক আগে বিধান নগর কমিশনারেটের আওতাধীন নিউ টাউন এলাকার শাপূর্জি আবাসনে লুকিয়ে ছিল পঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টাররা । বর্তমানে কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল সেই সময় ছিলেন রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এডিজি পদে । তাঁর নেতৃত্বে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় আবাসনের ভেতরে ঢুকে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে পঞ্জাবের সেই কুখ্যাত গ্যাংস্টারদের খতম করে ৷ এরপর তাদের নিথর দেহ বাইরে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্য পুলিশের এডিজি এসটিএফ বিনীত কোয়েলের নেতৃত্বে থাকা বিশেষ দল ।
এদিন পার্ক স্ট্রিটে ভারতীয় জাদুঘরের সামনে সিআইএসএফের জওয়ানের এলোপাথাড়ি গুলির ঘটনায় রীতিমতো ঘটনাস্থলে এসে বুলেটপ্রুভ জ্যাকেট পড়ে সিআইএসএফ ব্যারাকের মধ্যে ঢোকেন নগরপাল বিনীত গোয়েল । তাঁর নেতৃত্বেই ওই জওয়ানকে আয়ত্তে আনেন স্পেশাল অ্যাকশন ফোর্সের কমান্ডোরা ।