কলকাতা, 17 অগস্ট: রাজ্যের বিধায়ক-মন্ত্রীদের গণহারে ই-মেল, হোয়্যাটসঅ্যাপ করছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীরা । পাশাপাশি চলছে অনলাইন ক্যাম্পেন 'দুর্নীতি প্রতিরোধে খেলা হবে'। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার মাঠে নামলেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চাকরি প্রার্থীরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, দুর্নীতির কারণে যোগ্য ও মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন ৷ তাঁদের দ্রুত কলেজে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক, আবেদন প্রার্থীদের (College Service Commission Candidates mail and WhatsApp letter to MLA and Ministers) ।
ই-মেল, হোয়্যাটসঅ্যাপ বার্তায় তাঁরা লিখছেন, 2018 কলেজ সার্ভিসের নিয়োগ মূলত নিয়ম বহির্ভূতভাবে, দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে হয়েছে । অধিকাংশ অযোগ্য, কম যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন । সবদিক থেকে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত হয়ে মেধা তালিকার শেষের দিকে থাকতে হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে 2018-র কলেজ সার্ভিসে নিয়োগের সংখ্যাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে ৷ কলেজ সার্ভিস দুর্নীতি এসএসসি নিয়োগের থেকেও বড় বলে দাবি প্রার্থীদের ।
তাঁরা আরও লিখেছেন, ইতিমধ্যে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে 170-এর অধিক মামলা চলছে 2018 কলেজ সার্ভিসের নিয়োগ নিয়ে । এই সমস্ত মামলার মাধ্যমেই বোঝা যাবে স্কুল সার্ভিসের তুলনায় কলেজ সার্ভিস নিয়োগে আরও বড় দুর্নীতি হয়েছে । চাকরিপ্রার্থীদের দাবি এই দুর্নীতির কারিগর দীপক কর । আর নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর পদ বাঁচানোর জন্য সরকারকে নানাভাবে ভুল তথ্য দিচ্ছে আর আইনের দিক থেকে ততটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন চেয়ারম্যান । অনুসন্ধান করলেই সঠিক তথ্য-সহ পুরো বিষয়টি জানা যাবে ।
আরও পড়ুন: কলেজ সার্ভিস নিয়োগে দুর্নীতি, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে অভিযোগ মেধাতালিকা ভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের
শুধু চিঠি দেওয়াই নয়, এর সঙ্গে সমাধানের রাস্তাও বাতলে দিয়েছেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় নাম থাকা চাকরি প্রার্থীরা ৷ আর তা না হলে 'খেলা দেখাবেন' বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা ৷ তাঁদের দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যে আছে- অবিলম্বে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর-সহ এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সকলকে তদন্তের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা ।
দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত যোগ্য ও মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের দ্রুত কলেজে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হওয়া দরকার। অন্যথায় স্কুল সার্ভিসের খেলা শেষে একই মাঠে কলেজ সার্ভিস কমিশনের খেলা দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা । এর আগেও তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী-সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিককে ই-মেল মারফত আবেদন করেছিলেন । ভূ-নিয়োগের তালিকা ধরে নির্দিষ্ট দফতরে অভিযোগও জানানো হয়েছিল । তারপরেও সুরাহা না হওয়ায় এবার জনপ্রতিনিদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ, ই-মেল করে অভিযোগ জানানো হচ্ছে ।